বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থপাচারের গুরুত্বপূর্ণ নথি ধ্বসংসের জন্য সচিবালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ছড়ান আটপুনিয়ায় এলাকায় সচিবালয়ে আগুন নির্বাপণের কাজে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোহানুর জামান নয়নের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণমাধ্যমের কাছে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তাঁর পতিত রাজনীতিবিদদের পাচার করা অর্থের নথিপত্র ধ্বংস করতে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনার মুখ্য সচিবের অর্থপাচারের নথিপত্র ছিল সেখানে। নয়ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনটি রক্ষা করতে জীবন দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পরাজিত শক্তিরা এখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘাপটি মেরে থেকে ষড়যন্ত্রের...

স্থানীয়ভাবে চ্যাক বাগা বা রোহিঙ্গা মাছ নামে পরিচিত সাকার মাউথ ক্যাটফিশ এখন দেশের জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। অ্যামাজন অববাহিকার এই সর্বভুক মাছটি, যা প্রকৃতপক্ষে শিকারি স্বভাবের, দেশের নদী ও জলাশয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের মৎস্য গবেষকরা বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলো ফিরিয়ে আনতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এর মধ্যেই সাকার মাছের দাপটে দেশি মাছগুলো বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়ছে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীতে জাল ফেললে প্রায়শই অন্যান্য মাছের বদলে উঠছে ১০-১৫ কেজি ওজনের সাকার মাছ। বিপণন নিষিদ্ধ থাকায় জেলেরা এই মাছ নদীতেই ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে সাকার মাছের বিস্তার আরও দ্রুত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এ সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে দেশের পুরো মৎস্য খাতই ঝুঁকির মুখে পড়বে। সাকার মাছের এই বিস্তার মোকাবিলায়...

শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে গুম, খুনের কথা জিঙ্গেস না করে তৈলমর্দন করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সভা প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় পরিণত হতো। এভাবে শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার থেকে মহাস্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট থেকে মহাফ্যাসিস্ট বানানোর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে দালাল সাংবাদিকরা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম নানা সংকটে আবর্তিত। এই সংকট তৈরি করেছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। বিগত ১৫টি বছর এ দেশের গণমাধ্যম সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে পারে নাই। এ দেশের গণমাধ্যম ফ্যাসিস্ট সরকারের খুন, গুম, লুটপাট, হত্যার তথ্য তুলে ধরতে পারে...

শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনাকে বিসর্জন দেবে না। ভূ-রাজনৈতিক কারণ বিবেচনায় তারা হাসিনাকে ফেরত দেবে না। গত সপ্তাহে ২৩শে ডিসেম্বর সকালে দিল্লির চাণক্যপুরীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সেই বার্তা নোট ভার্বালের আকারে তুলে দেয়া হলো সাউথ ব্লকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বা নীতিনির্ধারকরা বেশ কিছুদিন ধরেই আকারে ইঙ্গিতে বা খোলাখুলি বলে আসছিলেন, তারা ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে তারা ফেরত চাইবেন, যাতে তাকে গণহত্যার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় তোলা যায়। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক, আনুষ্ঠানিকভাবে সে বার্তা বা চিঠি কিন্তু দিল্লির কাছে পাঠানো হচ্ছিল না। অবশেষে সেটা যখন এলো, তখন তা এলো নোট...