গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সারা দেশে রেল যোগাযোগ অচল হয়ে যায়। ট্রেন চালানোর সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। তারা বলেন, বারবার তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি। সে জন্য তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। হঠাৎ করে রেল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়ে লাখো মানুষ। জনজীবনে নেমে আসে এক দুর্বিষহ অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সরেজমিন কমলাপুর স্টেশনে যান। তিনি কর্মচারীদের ক্ষমতা দেখান, আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানান। ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে কী করতে পারেন সে ব্যাপারেও সতর্ক করেন। কিন্তু এসব কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। সন্ধ্যায় রেল উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত নেতাদের বৈঠকও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এক অনিশ্চয়তায় যখন...
দেশ পরিচালনায় কেন ব্যর্থ হয় সুশীলরা?
অদিতি করিম
অনেক আওয়ামী লীগ হলো আমাদের সত্যিকারের বিপদ
ফাহাম আব্দুস সালাম
বাংলাদেশে অনেকেই হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগের ফিরে আসা নিয়ে আতংকিত। না, আওয়ামী লীগ কিংবা হাসিনা ফিরে আসবে না। আমাদের সামনে আছে এর চেয়ে অনেক ভয়াবহ বিপদ। আমরা যদি খুব দ্রুত জব ক্রিয়েশান এবং ওয়েলথ ক্রিয়েট করতে না পারি - এই দেশে কমপ্লিট ব্রেক ডাউন অফ অর্ডার হবে। এই সিচুয়েশানে প্রত্যেকে একটা ট্রাইব তৈরী করবে। মিলিট্ৰি এবং সিভিল বিউরোক্রেসি আলাদাভাবে চলবে। যেটা সবচেয়ে সমস্যাজনক হবে - সেটা হোলো প্রত্যেকটা ফ্র্যাকশান নিজে নিজেই আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করবে। একটার বদলে অনেক আওয়ামী লীগ হোলো আমাদের সত্যিকারের বিপদ। যেই ট্রাইব বেশী টাকা দিবে - য়ুটিউবাররা সেই দিকে আগুন দিবে। এবং অতি অবশ্যই রেমিটেন্স শাট-ডাউনের আহবান করা হবে। এই সরকার টিকে আছে বিএনপি-জামাত-মিলিট্ৰির অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক সাপোর্টের কারণে। এলারমিস্ট নই, কিন্তু রিয়ালিটি হোলো যে বাংলাদেশের...
রাজনীতির জন্য কী সর্বনাশা পরিণতি অপেক্ষা করছে!
গোলাম মাওলা রনি
প্রথমে একজন অসহায় ব্যবসায়ীর গল্প বলি। ভদ্রলোকের বয়স ৭৩ বছর। ব্যবসাবাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত আছেন ৫০ বছর ধরে। নারায়ণগঞ্জে বেশ বড়সড় একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি চালাতেন। করোনার ধাক্কায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকার লোকসানের কবলে পড়েন। তারপর সেই লোকসানকে কেন্দ্র করে শুরু হয় একের পর এক বিপদ-বালামুসিবত। প্রথমে কোম্পানির পরিচালকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব। তারপর ব্যাংক-বিমা-ক্রেতা-দেনাদার-পাওনাদার সবাই মিলে এমন চাপ দেয় যা তার শরীর-মন-মস্তিষ্ক ধারণ করতে পারে না। হঠাৎ করে একদিন স্ট্রোক করে বসেন। দেশবিদেশে চিকিৎসা করে একটু সুস্থ হয়ে আবার ব্যবসার হাল ধরার চেষ্টা করেন। কারণ ব্যাংকের দায়দেনার একটা দফারফা না হলে তিনি এবং তাঁর ছেলেকে জেলে যেতে হবে, এই ভয়ে নিজের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক দিয়ে দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তাঁর ব্যাংকে ঘুরতে গিয়ে তিনি আরেক দফা...
কোন পথে অবাধ নির্বাচন?
ফাইজুস সালেহীন
অনলাইন ডেস্ক
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সর্বগ্রাসী রূপ পরিগ্রহ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটেছিল মারাত্মকভাবে। ১৯৭৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা জারির আগপর্যন্ত একই পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, লালবাহিনী ও রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দুর্ভিক্ষে মানুষ মরেছে বেশুমার। বিপর্যয়কর সেই পরিস্থিতির জন্য আমরা কোনোভাবে কি ১৯৭২ সালের সংবিধানকে দায়ী করতে পারি? কিংবা দেশের নামের জন্য কি এসব ঘটেছিল? না। ভয়ানক সেই খারাপ পরিস্থিতির জন্য কোনো দিক দিয়েই সংবিধান দায়ী ছিল না। এমনকি একদলীয় বাকশালও সেই সংবিধান থেকে উৎপন্ন নয়। বাক ও ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণের কোনো সুযোগ বাহাত্তরের সংবিধানে ছিল না। আবার ওই সংবিধান অবক্ষয় রুখে দিতেও পারেনি। ইংরেজি রিপাবলিকের বাংলা তখনই যদি গণজনতন্ত্র বা নাগরিকতন্ত্র করা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর