ইফতারের সময় হালাল খাবার খাওয়ার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। হারামের সন্দেহ থেকেও দূরে থাকা উচিত। কেননা ওই অবস্থায় রোজার কোনো অর্থ হয় না। হালাল খাবার ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত। যদি কোনো ব্যক্তি সারাদিন হালাল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পর হারাম খাবার দিয়ে ইফতার করে সে ওই ব্যক্তির মতো, যে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করল আর একটি শহর ধ্বংস করে দিলো। আবার হালাল খাবারও বেশি খাওয়া ক্ষতিকর। আর রোজা বেশি খাওয়ার শক্তিকে খতম করে দেয়। যে ব্যক্তি অনেক ওষুধ খাওয়ার ভয়ে বিষ খায়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তাকে নির্বোধ বলা যায়। হারামও একটি বিষ। বিষ যেমন দেহের জন্য ক্ষতিকর তেমনি হারাম জীবিকা ও দ্বিনের জন্য ক্ষতিকর। আর হালাল খাওয়ার দৃষ্টান্ত একটি ঔষধের মতো। যার কম পরিমাণ খাওয়া উপকারি, আর বেশি পরিমাণ খাওয়া ক্ষতিকর। রোজার উদ্দেশ্যহালাল খাবারও কম খেতে হবে, তাহলে উপকার হবে। তাড়াতাড়ি ইফতার...
ইফতারের প্রয়োজনীয় কিছু বিধান
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

নারীঘটিত অপরাধে ন্যায়সঙ্গত বিচার
আসআদ শাহীন

জোরপূর্বক ব্যভিচার বা ধর্ষণ শুধু ব্যক্তি ও নৈতিকতার পরিপন্থী নয়; এটি মানবাধিকার, নারীর মর্যাদা ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপর আঘাত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিচারিক সিদ্ধান্ত থেকে আমরা এর সঠিক দিকনির্দেশনা পাই। ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি একদিন নামাজের জন্য মসজিদগামী এক নারীর একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ভুলবশত অন্য এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে ফেলা হয় এবং তার শাস্তি কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু তখন প্রকৃত অপরাধী নিজেই নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। ফলে রাসুল (সা.) তাকে রজম তথা প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৪৫৪) এ থেকে প্রতীয়মান হয়, ধর্ষণ নিছক শরিয়তের লঙ্ঘন নয়, বরং এক নারীর পবিত্রতা, মর্যাদা ও মানসিক স্থিতি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়। ধর্ষণ সম্পর্কে ফকিহদের দৃষ্টিভঙ্গি সাহাবি ও তাবেয়িদের...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব-১৬
মুফতি আতাউর রহমান

সুরা আম্বিয়ায় তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু শুরুতেই আখেরাতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এরপর কয়েকজন নবীর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। পরে মক্কার মুশরিকদের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। এই সুরায় কিয়ামতের সময় ঘনিয়ে আসার প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এ কিয়ামতের আগে ইয়াজুজ-মাজুজ বের হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। এই সুরার শেষের দিতে মহানবী (সা.)-কে রহমাতুল লিল আলামিন (বিশ্ববাসীর জন্য রহমত) উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. কোরআন, কোরআনের আয়াত ও বিধান নিয়ে উপহাস করা হারাম। এতে মানুষের ঈমান নষ্ট হয়। (আয়াত : ২) ২. কোরআনের ব্যাপারে অমনোযোগী থাকা নিষিদ্ধ। কেননা তা মানুষকে পুরো দ্বিন থেকে উদাসীন করে দেয়। (আয়াত : ৩) ৩. মহানবী (সা.) মাটির তৈরি রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন। (আয়াত : ৭) ৪. আল্লাহ মুসলমানের সম্মান কোরআনে নিহিত রেখেছেন। (আয়াত : ১০) ৫. আল্লাহর কোনো...
আল্লাহর ভয়ে সংযম অবলম্বনের প্রতিদান
মাইমুনা আক্তার

দুনিয়া মানুষের জন্য পরীক্ষাগার, তাই এখানে মানুষের সামনে রয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ, যা তাকে সত্যের পথে দৃঢ় থাকতে বাধা দেয়। মিথ্যার পথে আকর্ষণ করে। লোভ-লালসা তাদের অন্তর্চোখকে অন্ধ করে দিতে চায়। তাই এ পথ চলতে হলে দৃঢ় ঈমান থাকা জরুরি। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যেকোনো ত্যাগ করার মানসিকতা থাকা জরুরি। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, তুমি যদি আল্লাহর জন্য কোনো কিছু ত্যাগ কর, তবে তিনি তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। (মুসনদে আহমদ, হাদিস : ২১৯৯৬) সাখাভী (রহ.) বলেন, এই হাদিসের প্রতিটি বর্ণনাকারী সহিহ। আলবানি (রহ.) বলেন, মুসলিমের শর্তের মানদণ্ডে এই হাদিস সহিহ। এ বাক্যের মূল বার্তা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিছু ত্যাগ করলে, তিনি তার উত্তম প্রতিদান দেন। একজন মুসলমান যখন তার প্রবৃত্তির চাহিদা ও কু-প্রবৃত্তির ধোঁকাকে অতিক্রম করে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর