চলছে রজব মাস। পরম পুণ্যের মাস রমজান নিকটবর্তী হচ্ছে তারই অগ্রিম আগমনী বার্তা দিচ্ছে।হিজরি ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাস রজব,তারপর শাবান তারপরই রমজান। মাঝে শুধু একটি মাস শাবান। রহমত, বরকতের মাস হলো রমজান। এই মাস শুরু হলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। মুসলিম মা-বোনেরা যারা রেগুলার হিজাব পড়ে না তারা হিজাব পড়ে, যারা নামাজ পড়ে না তারাও নামাজ পড়া শুরু করে। অর্থাত্ অধিকাংশ মুসলমান প্র্যাকটিসিং মুসলিম হয়ে যায়। কিন্তু রমজান ছাড়া বাকি মাসগুলোতে অনেকেই উদাসীন! রমজান থেকে আমরা তো অল্পই দুরে আছি। আমরা কি পারি না প্রস্তুতিটুকু এখন থেকেই শুরু করতে? আমাদের দেশে অধিকাংশ মুসলিম হলেও কোরআন পরতে জানে না এমন হার অনেক বেশি।রমাজান আসার জন্য অনেকেই বসে থাকে রমজানে কোরআন শিখবে কিন্তুু এই প্রস্তুতি তো রমজান আসার আগেই গ্রহণ করতে পারি। আর...
রজব থেকেই হোক রমজানের প্রস্তুতি
তাহমিনা আক্তার
সুন্নত নামাজের গুরুত্ব ও প্রতিদান
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
সুন্নত ওই আদেশমূলক বিধানকে বলা হয়, যা ফরজ-ওয়াজিবের মতো অপরিহার্য নয়, তবে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়মিত আমল থেকে প্রমাণিত। সুন্নত দুই প্রকার : সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও সুন্নতে জায়েদা। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ওই সব কাজ, যেগুলো রাসুলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত এমনভাবে আমল করতেন যে তা ওজরবিহীন কখনো ছাড়তেন না। যথাপুরুষদের জামাতে নামাজ পড়া, জামাতের জন্য আজান দেওয়া ইত্যাদি। এ ধরনের সুন্নতের বিধান হলো, এসব সুন্নত ওজরবিহীন নিয়মিত ছেড়ে দেওয়া গুনাহ, তবে হঠাত্ বিশেষ প্রয়োজনে ছাড়তে পারবে। ওজরবিহীন এমন সুন্নত ত্যাগকারীকে তিরষ্কার করা হবে, তবে তাকে ফাসিক বা কাফির বলা যাবে না। (আত-তাআরিফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ : ৩২৮, আল-মুজিজ ফি উসুলিল ফিকহ : ৪৩৯-৪০) সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতোই। অর্থাত্ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহি করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহি করতে হবে।...
যে তিন ব্যক্তির দোয়া অবশ্যই কবুল হয়
আবরার নাঈম
মুমিনের দোয়া কখনো ব্যর্থ হয় না। হয়তো সাময়িক বিলম্ব হতে পারে। তবে তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন। এবং তা খুব দ্রুতই হয়। ঈমাম বুখারি (রহ.) রচিত আল আদাবুল মুফরাদে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেন, তিনটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। (১) উত্পীড়িত বা মজলুমের দোয়া। জুলুম আরবি শব্দ। অর্থ হলো অত্যাচার,নির্যাতন, নিপীড়ন ইত্যাদি। তা বিভিন্ন পদ্ধতিতে হতে পারে। শারীরিকশরীরে প্রহার করা শারীরিক জুলুম; মানসিকভয়ভীতি বা অন্য কোনো উপায়ে ব্ল্যকমেইল করা। হকদারের হক অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা আর্থিক জুলুম। সবগুলোই অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি আল্লাহ পরকালে তো দিবেনই দুনিয়াতেও দিবেন ভয়াবহ সাজা। কারণ মাজলুম বা নিপীড়িত ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। তার দোয়া আর আল্লাহর মাঝে কোনো অন্তরাল থাকে না। ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) যখন মুআজ (রা.)-কে ইয়েমেনে পাঠান...
মা-বাবার অর্থনৈতিক অধিকার
মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
সন্তানের কাছে পিতা-মাতার যেমন সদাচরণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে, তেমনি তাদের অর্থনৈতিক অধিকারও রয়েছে। এক সময় পিতা-মাতা বৃদ্ধ হয়ে যান। তারা কর্ম করে খেতে পারেন না। তাদের আয়ের উত্স বন্ধ হয়ে যায়। এমন করুণ পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার দায়ভার নিতে হবে সন্তানকে। যেই পিতা-মাতা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সন্তান লালন-পালন করে বড় করে তুলেছে তাদের এ বয়সে ভালো থাকার অধিকার আছে। সন্তান তার সামর্থ্য অনুপাতে পিতা-মাতার জন্য খরচ করবে। সন্তান মানুষের সবচেয়ে বড় উপার্জন। সন্তানেরা একটি বৃক্ষের ন্যায়, যাদেরকে পিতা-মাতা সেবা- যত্ন করে বড় করে তুলে। সন্তান এক সময় উপার্জন করতে শেখে। বৃক্ষের ফলদানের সময় চলে আসে। এই ফল ভোগের সর্বাধিক অধিকার রাখেন পিতা-মাতা। তাই স্ত্রী ও সন্তানের পাশাপাশি পিতা-মাতার প্রয়োজনে খরচ করতে হবে। সন্তানের সম্পদ থেকে কী পরিমাণ ও কখন নিতে পারবেন পিতা-মাতা তাদের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর