রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রত্যেকটি কর্মই উম্মতের জন্য অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। তিনি কিভাবে খেয়েছেন, ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা ছাড়াও কিছু আমল আছেযেগুলো সুন্নতে জায়েদা বা নফল। কিন্তু এই সুন্নত জায়েদা কাজগুলোর মধ্যেও এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলো রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো ছাড়তেন না। তার মধ্যে নিম্নে এই চারটি আমল উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) বর্ণিত, যা রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো ত্যাগ করতেন না। এক. আশুরার রোজা। দুই. রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ। তিন. প্রতি মাসের তিন দিন তথা আইয়ামে বিজের রোজা, চার. ফজরের ফরজের আগের দুই রাকাত নামাজ। (নাসায়ি, মিশকাত : ২০৭০) এক. আশুরার রোজা : মহররম মাসের দশম দিনকে আশুরার দিন বলা হয়। এ দিনের রোজা রাখারও বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য আছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) আশুরা ও রমজানের রোজা সম্পর্কে যেরূপ গুরুত্বারোপ করতেন, অন্য কোনো রোজা সম্পর্কে...
যে চার আমল মহানবী (সা.) কখনো ছাড়তেন না
মুহিব্বুল্লাহ কাফি
![যে চার আমল মহানবী (সা.) কখনো ছাড়তেন না](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/12/1739304261-c8238b8c106d5811088effe14942ad92.jpg?w=1920&q=100)
আল্লাহভীতির ১০ নিদর্শন
মুফতি হুমায়ুন কবির মুহিউদ্দিন
![আল্লাহভীতির ১০ নিদর্শন](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/12/1739303679-11c62d4395533f46d668903909705ead.jpg?w=1920&q=100)
তাকওয়া বা আল্লাহভীতি হলো, আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বেচে থাকা। এটিই হচ্ছে সমস্ত নেক কাজের মূল উত্স। যার ভেতর আল্লাহভীতি আছে সে সর্বপ্রকার পাপ কাজ থেকে বেচে থাকে এবং শরিয়তের বিধানগুলো পালনে যত্নশীল হয়। আর যার ভিতর আল্লাহভীতি নেই সে খুব সহজেই পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। তাই আমাদের জন্য আল্লাহভীতি অর্জন এবং তার নিদর্শনগুলো জেনে রাখা উচিত। বিখ্যাত ফকিহ আবুল লাইস সামারকান্দি (রহ.) আল্লাহভীতির ১০ টি নিদর্শন বর্ণনা করেছেন : ১. গিবত থেকে জবানকে হিফাজত করা : আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, তোমরা একে অপরের গিবত করো না। (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১২) ২. খারাপ ধারণা থেকে বেঁচে থাকা : আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, তোমরা নানা প্রকার ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চই কতক ধারণা পাপ। (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১২) ৩. তিরস্কার থেকে বেঁচে থাকা : আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে ঈমানদাররা, কোনো সম্প্রদায় যেন...
ইসলামের সামাজিক সৌন্দর্য ও শিষ্টাচার
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
![ইসলামের সামাজিক সৌন্দর্য ও শিষ্টাচার](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/12/1739303363-026f345bd195d74e63d78c1e0410cb6d.jpg?w=1920&q=100)
শিষ্টাচার হলো ভদ্র, মার্জিত ও রুচিসম্মত আচরণ, যা মানুষকে সংযমী ও বিনয়ী করে তোলে। আদর্শ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামে শিষ্টাচারকে নবুয়তের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও পরিমিত ব্যয় বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করা নবুয়তের ২৫ ভাগের এক ভাগ। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৭৬) ইসলামের কয়েকটি সামাজিক শিষ্টাচার নিম্নরূপ জান-মালের নিরাপত্তা দান : একজন মানুষের ঈমান ও ইসলামের মাত্রা নিরূপণে মানবিক, কল্যাণকামী ও অন্যের জন্য নিরাপদ হওয়ার বিষয়টি খুবই জরুরি। নামাজ-বন্দেগি অপরিহার্য হলেও মুমিন-মুসলিমের পরিচয়ে এগুলোর আধিক্যকে উল্লেখ করা হয়নি। কারণ ইবাদতের সম্পর্ক ব্যক্তির সঙ্গে। নিজের পরিচয় নিজে প্রদান করলে ইনসাফ হয় না। অন্যের দ্বারা পরিচয় পেতে অন্যের সঙ্গে আচরণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে...
ইনসাফভিত্তিক বিচারব্যবস্থার গুরুত্ব
শাইখ মুহাম্মাদ জামাল উদ্দীন
![ইনসাফভিত্তিক বিচারব্যবস্থার গুরুত্ব](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/12/1739303104-356af004b52bc32783a89ba7e6ce93dd.jpg?w=1920&q=100)
একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র টিকে থাকে ইনসাফের ওপর। অন্যদিকে জুলুম একটি রাষ্ট্র ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। বিচারের ক্ষেত্রে ধনী-গরীব, নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী-দুর্বল পার্থক্য না করাই হল ইনসাফ। শুধু ইসলামী রাষ্ট্র নয়; বরং কল্যাণমূলক যেকোনো ধর্ম বা মতবাদের ওপর গড়ে ওঠা রাষ্ট্রের জন্যই ইনসাফভিত্তিক বিচারব্যবস্থা জরুরি। ইনসাফভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবীজিকে বলেন, হে নবী! তুমি কি তাদের দেখনি, যারা এই মর্মে দাবি করে চলেছে যে তারা ঈমান এনেছে সেই কিতাবের প্রতি, যা তোমার ওপর নাজিল করা হয়েছে এবং সেসব কিতাবের প্রতি, যেগুলো তোমার আগে নাজিল করা হয়েছিল; কিন্তু তারা নিজেদের বিষয় ফায়সালা করার জন্য তাগুতের দিকে ফিরতে চায়, অথচ তাদের তাগুত অস্বীকার করার হুকুম দেওয়া হয়েছিল? শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে সরল সোজা পথ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর