মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য অন্যতম বিশেষ নেয়ামত হলো রমজান মাস। আর এ মাসে প্রত্যেক মুসলিম উম্মাহর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক বা ফরজ। রমজানে ইফতারের আগ মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। ইফতারের আগে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না; এ ব্যাপারে সহীহ হাদিস রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া। (বাইহাকী ৩/৩৪৫, প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৭৯৭নং) সুতরাং রোজাদারের জন্য ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত যে কোনো সময় দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই সে সময় দোয়া কবুলের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ এ ধরনের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় দোয়া করা হলে তা কবুলের...
ইফতারের আগে তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়
অনলাইন ডেস্ক

তারাবিতে কোরআনের বার্তা
সুরা নাহল

এই সুরার নাম নাহল। নাহল অর্থ মৌমাছি। মৌমাছির প্রসঙ্গ বর্ণিত হওয়ায় সুরার নাম নাহল রাখা হয়েছে। সুরা নাহলে ইসলামের মৌলিক মৌলিক বিশ্বাস বর্ণনা করা হয়েছে। এতে আল্লাহর একত্ববাদের দলিলস্বরূপ তারকা, পাহাড়, সাগর, পানি, ঘাস, প্রাণীজগৎ, উদ্ভিদ, সাগরের মাছ, নৌযান, বৃষ্টি, বাতাস, পাখি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই সুরায় কোরআন পাঠের সময় আউজুবিল্লাহ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুরার শেষের দিকে বিভিন্ন প্রাণীর হালাল-হারামের প্রসঙ্গ বর্ণনা করা হয়েছে। এর এ বিষয়ে ইহুদিদের সীমালঙ্ঘন তুলে ধরা হয়েছে। ইহুদিদের প্রার্থনার দিন শনিবার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। ইবরাহিম (আ)-এর প্রশংসা করে এই সুরা সমাপ্ত করা হয়েছে। সুরায় ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বলা হয়েছে এবং মুত্তাকিদের আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করতে বলা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. গবাদি...
পাপ বর্জনের সহজ নিয়ম
শরিফ আহমাদ

প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে পাপ-পুণ্যের অনুভূতি আছে। পুণ্য মানুষের ঈমান মজবুত করে। মুক্তির রাজপথে নিয়ে যায়। পাপ মানুষের আত্মাকে কলুষিত করে এবং আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। পাপের সংজ্ঞায়ন দুই ভাবে করা হয়েছে। এক. নাওয়াস ইবনে সামআন আনসারি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তখন উত্তর দিলেন, পুণ্য হচ্ছে সচ্চরিত্র। আর পাপ হচ্ছে যা তোমার (অন্তরে) খটকা সৃষ্টি করে এবং লোকে তা জানুক তা তুমি অপছন্দ করো। (মুসলিম, হাদিস : ৬২৮৫) দুই. আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) বলেন, মুমিনরা যে কাজকে ভালো মনে করে, আল্লাহ তাআলার কাছেও সেটি ভালো। এবং মুমিনরা যাকে মন্দ মনে করে আল্লাহ তাআলার কাছেও তা মন্দ। (মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস : ১৮১৬) কোন কাজ প্রশংসনীয় এবং কোন কাজ নিন্দনীয় মন থেকেই তার সাক্ষ্য পাওয়া যায়। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ সে সাক্ষ্যের পরোয়া...
বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের শাস্তি, ইসলামী আইনে যেমন
আতাউর রহমান খসরু

ধর্ষণ যে কোনো সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। জঘণ্য এই অপরাধ দমন করা না গেলে সমাজের শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। বিশেষত নারীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি অপরিহার্য। ধর্ষণ কাকে বলে ধর্ষণের আরবি প্রতিশব্দ ইগতিসাব। অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া। যেহেতু ধর্ষক নারীর সম্ভ্রম লুঠ করে তাই ধর্ষণকে ইগতিসাব বলা হয়। পরিভাষায় ধর্ষণ বলা হয়, অনিচ্ছায়, জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে যৌন চাহিদা পূরণ করা। ধর্ষকের জুলুমের মাত্রা অনুসারে ধর্ষণকে নানাভাবে চিহ্নিত করা যায়। ইসলামী আইনে ধর্ষণ একটি বহু মাত্রিক অপরাধ। যার মধ্যে কমপক্ষে তিনটি অপরাধ সংঘটিত হয়। তা হলো : ক. ব্যভিচার, খ. বলপ্রয়োগ ও ভীতি প্রদর্শন, সম্ভ্রম লুণ্ঠন। ইসলামী আইনে এই তিনটি বিষয়ই পৃথকভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর