সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে মনোনীত সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনব্যবস্থার নাম হলো ইসলাম। তাই সৃষ্টিজগতের সব ক্ষেত্রেই আছে ইসলামের নির্দষ্টি নীতিমালা। আয়-উপার্জন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ঘটেনি এর ব্যত্যয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, আমি এ কোরআনে কোনো কিছুই অবর্ণিত রাখিনি...। (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩৮) কোরআন ও হাদিসে ব্যবসা সম্পর্কে ইসলামের মৌলিক কিছু নীতিমালা বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন এক. ব্যবসায় ধোঁকা-প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি করা নিষদ্ধি। একদিন রাসুল (সা.) একজন খাদ্য-বিক্রেতার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি খাদ্যের ভেতরে হাত প্রবেশ করে দেখলেন, খাদ্যগুলো ভেজা বা নম্নি মানের। রাসুল (সা.) বলেন, হে পণ্যের মালিক। এটা কী? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল। এতে বৃষ্টি পড়েছিল। রাসুল (সা.) বলেন, তুমি এগুলো খাবারের স্তূপের ওপর রাখলে না কেন? তাহলে লোকেরা দেখতে...
ব্যবসায় যেসব কাজ করা নিষিদ্ধ
কে.এম. ছালেহ আহমদ জাহেরী
মুসলিমজীবনের জন্য অপরিহার্য মহাগ্রন্থ কোরআন
শাইখ মুহাম্মাদ জামাল উদ্দীন
জ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে সব বিস্তারিত বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহ প্রদত্তত আসমানি কিতাবের হেদায়াতের বাইরে কোনো জীবন দর্শন নেই, কোনো ধর্ম দর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানব জাতির সূচনালগ্নেই এ কথাটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা আদম ও মা হাওয়া (আ.)-কে আল্লাহ যখন পৃথিবীতে বিচরণের জন্য পাঠিয়েছেন তখন আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা সবাই এখান থেকে দুনিয়ায় যাও। তারপর তোমাদের মঙ্গলের জন্যে আমি অবশ্যই যুগে যুগে সত্যপথের দিক-নির্দেশনা প্রেরণ করব। তখন যারা এই দিক-নির্দেশনা অর্থাত্ কিতাবের বিধিবিধান অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় বা দুঃখ থাকবে না। আর যারা এই কিতাবের নৈতিক বিধিবিধান অস্বীকার করবে, তারাই জাহান্নামের আগুনে পুড়বে। সেখানেই...
আমেরিকায় মসজিদ ও মুসলমান
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
৫০ বছর আগেও আমেরিকায় জুমআর নামাযে পাঁচজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যেতো না। অথচ এখন হাজার হাজার মানুষ আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে সিজদায় লুটিয়ে পরছেন। ওয়াশিংটনভিত্তিক কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর) বক্তব্য, আমেরিকায় প্রায় ৭০ লাখ মুসলমানের বসবাস। বর্তমানে আমেরিকায় প্রায় তিন হাজার মসজিদ আছে। সত্য এটাই, যেখানে ২০১০ সালে শুক্রবারে প্রতি মসজিদে গড় উপস্থিতি ছিলো ৩৫৩ জন। সেখানে ২০২০ সালে প্রতি মসজিদে গড় উপস্থিতি ৪১০ জন। কেননা, (সত্যিকার অর্থে) মসজিদসমূহ আবাদ রাখা তাদেরই কাজ, যারা আল্লাহর ওপর এবং কিয়ামত দিবসের ওপর ঈমান রাখে... (সুরা তাওবা, আয়াত : ১৮) ১১৭৮ খ্রি.এ সং শাসনামলের (Song Dynasty) সারকা (Circa) নামক একজন চাইনিজ রচিত দলিল থেকে জানা যায়, ১১৭৮ খ্রি.এ চিন থেকে যাত্রা করে একদল মুসলিম নাবিক Mu-Lan-Pi বা বর্তমান আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া এলাকায় পেৌঁছে যান। এতে প্রমাণিত...
নারীরা কোথায় ইদ্দত পালন করবেন
শরিফ আহমাদ
ইদ্দত একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ গণনা করা। ইসলামের পরিভাষায়, কোনো স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে বা স্বামীর মৃত্যু হলে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত স্ত্রীকে এক বাড়িতে থাকতে হয়, অন্যত্র যেতে পারে না এবং অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারে না তাকে ইদ্দত বলে। ইদ্দত পালন করা নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়। তালাকপ্রাপ্তা নারীদের ইদ্দত তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীদের ইদ্দতের সময় তিন হায়েজ (ঋতুস্রাব)। তালাক দেওয়া তারিখের পর পূর্ণ তিন হায়েজ অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্ত্রীর পক্ষে অন্যত্র বিবাহ বসা হারাম। ইদ্দত শেষে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারবে। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীরা তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। আর তারা আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখলে তাদের গর্ভাশয়ে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা তাদের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর