সালাম শান্তির প্রতীক। মুমিনের পাপমোচন ও সওয়াব লাভের মাধ্যম। মিরাজের রজনীতে মহান আল্লাহ রাসুল (সা.)-কে যেসব বস্তু বা বিষয় উপহার দিয়েছেন, এর মধ্যে সালাম অন্যতম। তিনি বলেছেন, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সালামের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিয়ে অপর ভাইকে অভিবাদন জানানো জান্নাতিদের কাজ। ইসলাম ধর্মে এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রিয় নবী (সা.) এই কাজটিকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মুমিনরা জান্নাতে যাওয়ার সময় ফেরেশতারা তাদের সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানাবে। বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখী হও। (সুরা : জুমার : ৭৩) এরপর জান্নাতেও সালামের প্রচলন থাকবে। সেখানে তাদের অভিবাদন হবে সালাম। (সুরা : ইউনুস : ১০) এরপর জান্নাতে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন জান্নাতিদের সালাম দেবেন। সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সম্ভাষণ।...
অপরিচিতদের সালাম না দেওয়া কেয়ামতের আলামত
মাইমুনা আক্তার
জিজ্ঞাসা: প্রতিযোগীদের থেকে টাকা নিয়ে পুরস্কার দেওয়া
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
হাসিব হাসান মেহদির বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর থানায়। তিনি এলাকায় একটি যুব উন্নয়নমূলক সংস্থার সঙ্গে জড়িত। তাদের সংস্থা প্রতিবছর একটি সিরাতুন্নাবী মাহফিল করে থাকে। মাহফিলের সময় সিরাত বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতার প্রশ্নপত্র তৈরিসহ অন্যসব খরচ, এমনকি বিজয়ীদের পুরস্কারের টাকাও প্রতিযোগীদের থেকে নেওয়া হয়। তাঁর জানার বিষয় হলো, এভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং তাতে অংশ নেওয়া যাবে? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, প্রতিযোগীদের অর্থ দিয়ে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর জুয়া হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, হে মুমিনরা নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারণকারী শরসমূহ শয়তানের কাজ। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাকো। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৯০) সুতরাং প্রতিযোগিতা ও কুইজের বিষয়বস্তু বৈধ ও ভালো হলেও প্রতিযোগীদের অর্থ দ্বারা...
আসমানি শিক্ষায় মানুষের চূড়ান্ত মুক্তি
মাওলানা শামসুল হক নদভি
মহান স্রষ্টা যেভাবে মানুষকে সৃষ্টিজগতে সবচেয়ে কাজে-কর্মে সবচেয়ে সক্ষমতা দান করেছেন, তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তেমনি তিনি তাদেরকে অসংখ্য অগণিত নেয়ামত দান করেছেন। মানুষের প্রতি আল্লাহর সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হলো তিনি তাদেরকে জ্ঞান ও বুদ্ধি দান করেছেন। এই জ্ঞান-বুদ্ধির সাহায্যে মানুষ মানবসভ্যতার সূচনা থেকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগ পর্যন্ত অসামান্য সব কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে, সে নিজের চেয়ে শক্তিশালী প্রাণিকে অধীন করে তার দ্বারা উপকৃত হয়েছে। যুগে যুগে নিত্য-নতুন আবিষ্কার ও উন্নয়নেও জ্ঞান-বুদ্ধি প্রধান অবলম্বন। জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেকই মানুষকে অন্যান্য সৃষ্টির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব এবং তাকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা দান করেছে। যখন মানবইতিহাসের এবং মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রত্যেক পরবর্তী প্রজন্ম পূর্ববর্তীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও...
ক্ষমতা ও অহংকার ধ্বংসে সূরা ফীলের শিক্ষা
অনলাইন ডেস্ক
সূরা ফীল কুরআন মাজিদের ১০৫তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়। সূরাটিতে পাঁচটি আয়াত রয়েছে। ফীল অর্থ হাতি। এ সূরায় হস্তিবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। এ সূরায় ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহা কর্তৃক কাবা ঘর ধ্বংসের ব্যর্থ চেষ্টা নস্যাৎ করার ঐতিহাসিক ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে। এটি মহান আল্লাহর কুদরত ও হিকমতের অপূর্ব নিদর্শন। মহানবি (সা.) এর জন্মের ৫০ দিন পূর্বে ঘটনাটি ঘটে। আবরাহা অনেক ধন-সম্পদ ও সৈন্য-সামন্তের মালিক ছিল। তার বিশাল হস্তিবাহিনী ছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতার তুলনায় এসব সম্পদ ও সৈন্য-সামন্ত অতি তুচ্ছ ও নগণ্য। আল্লাহ তাআলা মহাপরাক্রমশালী ও সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করতে পারেন। আবরাহা ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়েছিল। গর্ব ও অহংকারবশত মহান আল্লাহর সঙ্গে শত্রুতা করেছিল।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর