পেট ও বুকে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়ে বই পড়া, ল্যাপটপ-মোবাইল চালান অনেকে। অনেকে আবার উপুড় হয়ে শোয়ে ঘুমান। সাময়িকভাবে আরামের মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। উপুড় হয়ে শোয়ার যেসব ক্ষতি ১. পেটে ভর দিয়ে শুয়ে বিভিন্ন কাজ করলে ক্ষতির শিকার হতে পারে মেরুদণ্ড এবং অন্ত্র। এ ছাড়াও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক বদলে গিয়ে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে। ২. পেটের ভরে শোওয়ার সময় ঘাড় প্রসারিত হয়ে দুই কাঁধ কানের কাছাকাছি পৌঁছায়। শরীরের বেশির ভাগ ভর পড়ে দুই হাতের ওপর। এই অবস্থায় বিভিন্ন হাড়ের জোড়ায় অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলে দীর্ঘ মেয়াদে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। ৩. শরীরে সব অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যাবলির নিয়ন্ত্রক স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে মেরুদণ্ড। স্নায়ুতন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে...
বদঅভ্যাসে ডেকে আনছেন বড় রোগ
অনলাইন ডেস্ক

টাকার চিন্তায় যে অসুখ হয়!
অনলাইন ডেস্ক

মানি ডিসমরফিয়া নামের একটি মানসিক রোগ রয়েছে। এ রোগটি টাকার কারণে হয়। মানি ডিসমরফিয়া শব্দটির অনুসন্ধান গত বছরে বেড়েছে। এ নিয়ে আজ বুধবার স্কাই নিউজ বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু এটা কী? কেন মানুষ এটা নিয়ে চিন্তিত? এবং আপনার কি এতে ভোগার সম্ভাবনা আছে? টাকাও যে একটা মানুষকে মেরে ফেলতে পারে , মানে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে সে বিষয়েই বলা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকার লোভ থেকে এই রোগ হয়। ধ্বংস করে দেয় মানুষের জীবন। অথচ আক্রান্ত রোগী টেরই পান না যে তিনি এ রোগে আক্রান্ত। মানি ডিসমরফিয়া কারো আর্থিক বাস্তবতা এবং তারা কতটা ধনী তা বোঝার মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। হাজ ব্যাংকের অর্থ বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টি কুক বলেছেন যে কিছু লোক আর্থিকভাবে অনিরাপদ বোধ করার কারণে খাবারের জন্য বাইরে যাওয়ার মতো ছোটখাটো খরচও এড়িয়ে যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে,...
রোজা অবস্থায় বারবার হেঁচকি উঠলে কী করবেন?
অনলাইন ডেস্ক

হেঁচকি একটি সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য ঘটে এবং কোনো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে রোজা রেখে হেঁচকি উঠলে এটি অনেক সময় অস্বস্তিকর হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকে। এ প্রতিবেদনে রোজা অবস্থায় হেঁচকি ওঠার কারণ ও তা নিরাময়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। হেঁচকি ওঠার কারণ হেঁচকি সাধারণত ডায়াফ্রাগম (শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী পেশি) আকস্মিক সংকুচিত হওয়ার ফলে হয়। রোজা অবস্থায় নিম্নলিখিত কারণগুলো হেঁচকির জন্য দায়ী হতে পারে খালি পেটে অ্যাসিডিটি: দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে, যা ভোগাস নার্ভকে (Vagus Nerve) উত্তেজিত করে হেঁচকির সৃষ্টি করতে পারে। পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি: রোজায় পানি কম খাওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে...
রোজায় খাদ্যাভ্যাস
ডা. এম শমশের আলী
অনলাইন ডেস্ক

গ্রামবাংলায় একটা সাধারণ কথা প্রচলিত আছে যে, আপনি যতটুকু হজম করতে পারবেন ঠিক ততটুকুই খাবেন, তার চেয়ে বেশি নয়। অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয় রমজানে কী খাব? কী খাব না? প্রথমেই এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক হৃদরোগীর প্রশ্ন থাকে ইফতারিতে ছোলা, বেগুনি, পিঁয়াজু, বড়া, পাকুরা, জিলাপি ইত্যাদি খেতে পারব কিনা? উপরোক্ত খাদ্যবস্তুগুলো আমাদের বাঙালি মুসলিম সামাজিকতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এ ধরনের খাদ্যবস্তু হৃদরোগীদের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর হলেও একেবারে বন্ধ করা সাধারণত সমীচীন হয় না। তবে হৃদরোগীদের তেলে ভাজা খাদ্যবস্তু যতটা সম্ভব কম পরিমাণে গ্রহণ করে তরমুজ, খিরা, শশা, টম্যাটো, আপেল, কমলা, নাশপাতি, পেয়ারা, বড়ই, আমড়া, বেল ও লিচু কম পরিমাণে আম, কাঁঠাল গ্রহণ করে খাদ্যকে সুষম রাখতে হবে। রোজার মাসে দই, মিষ্টি, পায়েস, ফিরনি, নুডলস, সেমাই, তেহারি, বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি, কোরমা,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর