আজ সোমবার (২৬ রজব) দিবাগত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পালন করবেন পবিত্র শবেমেরাজ। শবেমেরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। ইসলামি ঐতিহ্যে এই রাতটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও আধ্যাত্মিক যাত্রার স্মারক। নবুয়তের ১১তম বছরে মহান আল্লাহ নবীজিকে তাঁর সান্নিধ্যে আহ্বান করেন এবং সৃষ্টিজগতের মধ্যে একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-ই আল্লাহর সরাসরি সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন। মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ অসংখ্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এটি শুধু নবুয়তের অলৌকিক প্রমাণই নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য মহাবিশ্ব জয়ের অনুপ্রেরণা। ইসলামী চিন্তাবিদ ও সুফি সাধকরা শবেমেরাজকে প্রেম, ভালোবাসা এবং আল্লাহর প্রতি নিবেদন ও প্রশান্তির অন্যতম নিদর্শন বলে অভিহিত করেন। নবুয়ত লাভের ১১তম বছরটি নবীজির (সা.) জন্য ছিল দুঃখ ও শোকের। এ বছর...
আজ পবিত্র শবেমেরাজ
অনলাইন ডেস্ক
মিরাজ কী ও কেন
মুফতি মুহাম্মাদ ইসমাঈল
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের ওপর চলছিল চরম নির্যাতন। খাজা আবু তালিব নবীজি (সা.)-কে কাফেরদের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতেন। ঘরে নবীজি (সা.)-কে শান্তনা দিতেন খাদিজাতুল কুবরা (রা.)। কয়েকদিনের ব্যবধানে শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালিব ও প্রিয় স্ত্রী খাদিজাতুল কুবরা (রা.) ইন্তেকাল করলেন। এরপর অনেক আশা নিয়ে তায়েফবাসীর কাছে তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে গেলেন। তারা দাওয়াত কবুল করল না। ক্ষতবিক্ষত করল নবীজি (সা.)-কে। এমন কঠিন মুহূর্তে মহান আল্লাহ নবীজি (সা.)-কে বড় বড় নিদর্শন দেখিয়ে সম্মানিত করতে ডেকে নিলেন ঊর্ধ্বজগতে। সশরীরে, সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় ভ্রমণ করালেন আসমান জমিন-সহ ঊর্ধ্বজগত। স্বচক্ষে দেখালেন অনেক কিছু। যাকে মিরাজ বলা হয়। মিরাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনা বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী, হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে এক রাতে নবীজি (সা.) নফল হিসেবে রাতের নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর খানায়ে কাবা...
পশুপাখি পালনে যেন প্রতিবেশীর কষ্ট না হয়
আলেমা হাবিবা আক্তার
ইসলামী শরিয়তে পশুপালন একটি বৈধ পেশা। নবী-রাসুলগণও পশুপালন করেছেন। তাই যে কোনো মুসলিম জীবিকার তাগিদে পশুপালন করতে পারেন। প্রাচীন যুগে মানুষ পশুপালন করত উন্মুক্ত মাঠে, পাহাড়ি ভূমিতে, লোকালয়ের বাইরে জনশূন্য ভূমিতে। বর্তমান যুগে পশুপালন করা হয় বাড়িতেই। বিশেষ করে বাণিজ্যিক ভিত্তিক পশুপালনের বড় অংশই বাড়িতে বা বাড়ি সংলগ্ন খামারে হয়ে থাকে। অনেকেই বাড়িতে হাস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি পালন করে থাকেন। যারা বাড়িতে বা লোকালয়ের ভেতর পশু-পাখি পালন করে তাদের জন্য ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো তারা যেন প্রতিবেশীর কষ্টের কারণ না হয়। অনেককেই দেখা যায়, পশু-পাখির মল-মূত্র ঠিকভাবে পরিষ্কার করেন না। আর করলেও তা উন্মুক্ত স্থানে এমনভাবে রেখে দেন যা প্রতিবেশীর কষ্টের কারণ হয়। কখনো দেখা যায় পশু-পাখির মলমূত্র ধোয়া পানি মানুষ চলাচলের রাস্তায় ফেলা হয়। এতে দুর্গন্ধে...
কল্যাণকর সাত অভ্যাস
মাইমুনা আক্তার
প্রত্যেক মুসলমানের ওপর মুসলমানের ওপর কিছু হক আছে, যেগুলো আদায় করার মাধ্যমে পরস্পর মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়, আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। তাই নবীজি (সা.) বিভিন্ন সময় সাহাবায়ে কেরামকে এমন কিছু কাজ বা অভ্যাস গড়ে তোলার নির্দেশ দিতেন, যেগুলো তাদের দুনিয়া-আখিরাতকে কল্যাণকর করে তুলবে। বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সাতটি কাজের রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, হাঁচি দাতার জন্য দোয়া করা, দুর্বলকে সাহায্য করা, মাজলুমের সাহায্য করা, সালাম প্রসার করা এবং কসমকারীর কসম পূর্ণ করা। (বুখারি, হাদিস : ৬২৩৫) হাদিসে উল্লেখিত প্রতিটি অভ্যাসই মুমিনের জন্য কল্যাণকর, এতে একদিকে যেমন অপর মুসলমানের হক আদায় হয়, অন্যদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেক আমলের পাল্লাও ভারি হয়। নিম্নে হাদিসের আলোকে এই সাত অভ্যাসের ফজিলত তুলে ধরা হলো;...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর