সুরা আরাফ এই সুরায় কোরআন আল্লাহর কালাম, কোরআনের অলৌকিকতা, আদি পিতা আদম ও আদি মাতা হাওয়া (আ.)-এর ঘটনা, শয়তানের অবাধ্যতা, সিজদা করার নির্দেশ অমান্য করা, আদম (আ.)-এর জান্নাত থেকে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের গুণাবলি, জান্নাতের নিয়ামত ও জাহান্নামের আজাব সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থান আরাফের বর্ণনা এসেছে। এছাড়াও সুরায় নুহ (আ.), হুদ (আ.), লুত (আ.). সালিহ (আ.), শোয়াইব (আ.) প্রমুখ নবী ও তাঁদের উম্মতের আলোচনা এসেছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. মানুষের ধর্মহীনতা দেখে ব্যথিত হওয়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য। (আয়াত : ২) ২. কোরআন নাজিলের উদ্দেশ্যই হলো জীবনবিধান হিসেবে তার অনুসরণ করা। (আয়াত : ৩) ৩. মন্দ স্বভাবগুলোর মধ্যে হিংসা ও অহংকার মানুষের জন্য সবচেয়ে...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেরু অঞ্চলের নামাজ ও রোজা পালনের পদ্ধতি
মুফতি মাহমুদ হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক

পৃথিবীর যে সব দেশসমূহে স্বাভাবিক রাত-দিন রয়েছে, সে সব দেশেসমূহে তো নামাজ-রোজার সময় নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। তবে মেরু অঞ্চলের ওই সব দেশসমূহে যাতে বছরের বিভিন্ন সময়ে দিবারাত্রি অস্বাভাবিক বড়-ছোট হয়ে যায়, সেখানে নামাজ-রোজা আদায়ে সমস্যা হয়। নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় বছরের কোনো কোনো সময়ে ইফতারের সময় হওয়ার কিছুক্ষণ পরে এশার সময় আসার পূর্বেই পুনরায় ফজরের সময় হয়ে যায়। এ জন্য সে সব দেশসমূহের নামাজ-রোজার বিধান আলেমরা কোরআন-সুন্নাহ গবেষণা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অধিকাংশ আলেম এসব এলাকার মুসলমানদের নামাজ রোজার সকল বিধান বলবত্ থাকারই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তবে তা আদায়ের নিয়মের মধ্যে কিছু ব্যাখ্যা আছে। (হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকি পৃ. ১৭৮, রদ্দুল মুহতার ১/৩৬২) এ সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে এই হাদিস আছে। দাজ্জালের আবির্ভাব...
যেমন ছিল পূর্ববর্তী নবীদের রোজা
রায়হান আল ইমরান
নিজস্ব প্রতিবেদক

হিজরি বর্ষের নবম মাস রমজান। রমজান সকল মাসের শ্রেষ্ঠ। ইসলামের অন্যতম বিধান রোজা এ মাসে পালিত হয়। রোজার বিধান শুধু নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপরই ফরজ হয়নি, বরং এর সূচনা হয় পূর্ববর্তী নবীদের সময় থেকে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) তবে রোজার বিধান এক হলেও ধরনে ছিল ভিন্নতা। নিম্নে পূর্ববর্তী নবীদের রোজার ধরন তুলে ধরা হলো ১. আদম (আ.)-এর রোজা: আদম (আ.) পৃথিবীর প্রথম মানব ও প্রথম নবী। তিনিই প্রথম রোজা পালন করেন। তাঁর রোজা কেমন ছিল সে ব্যাপারে কোরআন, হাদিস ও ইতিহাস থেকে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। তবে তিনি যে রোজা রেখেছিলেন তা জানা যায়। আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে একটি নিষিদ্ধ গাছের ফল খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি সেই গাছের ফল আহার করে ফেলেন। পরক্ষণেই আল্লাহ তাঁকে...
মহানবী (সা.)- এর সেহরি ও ইফতার যেমন ছিল
আসআদ শাহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেহরি খাওয়া সুন্নত এবং এতে অফুরন্ত বরকত আছে। সেহরি খাওয়ার ফলে মানুষ শারীরিক শক্তি ও কর্মশক্তি লাভ করে, যা সারাদিনের রোজা পালনে সহায়ক হয়। সেহরির সর্বোত্তম সময় হলো ফজরের আজানের প্রায় পনেরো থেকে ২০ মিনিট আগে। এই সময়ে সেহরি খাওয়ার অন্যতম বড় উপকারিতা হলো, এতে ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করার সুযোগ সহজ হয়। তবে মনে রাখতে হবে, সাহরি মানেই যে বাহারি খাবার কিংবা নানা আয়োজন থাকতে হবে, এমন নয়। বরং কারো যদি খাওয়ার ইচ্ছা না থাকে, তবু অন্তত একটি খেজুর বা কয়েক ঢোক পানি সাহরির নিয়তে গ্রহণ করলেও সেহরির বরকত লাভ করা সম্ভব। কেননা রমজান মাসে রোজার সূচনা করতেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) সাহরির মাধ্যমে। তিনি নিজে সাহরি করতেন এবং সাহাবাদেরও এর প্রতি বিশেষভাবে উত্সাহিত করতেন। তিনি বলেন, সাহরি করো, কেননা সাহরির মাঝে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ বরকত নিহিত রয়েছে। (সহিহ বুখারি,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর