লোক-দেখানো ইবাদত কিংবা লৌকিকতা-পূর্ণ আমলকে রিয়া বলে। ইসলামী শরিয়তে রিয়া নিষিদ্ধ ও হারাম। যে ইবাদতে রিয়া বা লোক-দেখানো মনোভাব থাকে, সে ইবাদত অগ্রহণযোগ্য। তার বিনিময়ে কোনো প্রতিদানও পাওয়া যাবে না। আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী বলেন, যে ব্যক্তি সম্পদ ও সুনামের জন্য জিহাদ করে, সে কী প্রতিদান পাবে? তিনি বলেন, সে কিছুই পাবে না। লোকটি একই প্রশ্ন তিনবার করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেকবার বললেন, সে কিছুই পাবে না। এরপর তিনি বললেন, যে আমল কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করা হয়, এমন খাঁটি আমল ছাড়া আল্লাহ তায়ালা আর কিছুই কবুল করেন না। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩১৪৪) লোক-দেখানো মনোবৃত্তিসম্পন্ন ইবাদতের কারণে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।...
লোক-দেখানো ইবাদত অগ্রহণযোগ্য
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
ঐক্য ও বিভেদ নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
ইফতেখারুল হক হাসনাইন
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, আর সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো এবং বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১০৩) এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিভেদ-বিচ্ছিন্নতা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। মূলনীতি হলো, প্রত্যেক মুমিনকে নিজের ব্যক্তিগত মতামত ত্যাগ করে শুধুমাত্র আল্লাহর বিধান ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহকে প্রাধান্য দিতে হবে। যখন সবার লক্ষ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি, তখন মতপার্থক্য ও বিভেদের অবকাশ থাকবে না। মতপার্থক্য ও বিভেদের মধ্যে পার্থক্য মানুষের স্বভাব ও চিন্তাধারা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় মতপার্থক্য স্বাভাবিক। তবে মতপার্থক্য তখনই গ্রহণযোগ্য, যখন সবার মূলনীতিতে ঐক্য থাকে, কিন্তু শাখাগত বিষয়ে ভিন্ন মত থাকে। যেমন, ফিকহের ক্ষেত্রে ইমামগণ বিভিন্ন মত দিয়েছেন, কিন্তু সবার লক্ষ্য ছিল কোরআন-সুন্নাহের...
ধর্মের আভিধানিক অর্থ ও প্রকৃতি
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
ধর্ম এমন এক অদৃশ্য বোধশক্তির নাম, যে শক্তি মানবীয় অন্তরে জাগ্রত হয়ে মানবাত্মাকে এক মহান স্রষ্টার সন্ধানে তাড়িত করে। সঙ্গে সঙ্গে এ শক্তি মানব অন্তরে এমন এক বিশ্বাসের জন্ম দেয় যা ব্যক্তিকে স্রষ্টার সঙ্গে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। এরই ধারাবাহিকতায় যে শক্তি ও সুশৃঙ্খল পদ্ধতি, নৈতিক উন্নতি সাধন এবং পারস্পরিক সম্প্রতি ও সংহতি স্থাপন করে ব্যক্তির জীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তা-ই ধর্ম। (ড. আহমাদ মাহমুদ আল-বারবারী, আদ-দীন বাইনাল ফারদ ওয়াল মুজতামা (কায়রো : মাকতাবা মিসর, তা.বি.), পৃ. ৪৩) সংস্কৃত ভাষায় ধৃর সঙ্গে মন প্রত্যয় যোগে ধর্ম শব্দের উত্পত্তি হয়েছে। এ ধাতুগত অর্থ হলো, যা ধারণ করে তাই ধর্ম। অন্তর ও বাহির মিলে মানুষের জীবনের পূর্ণ সামঞ্জস্যের মধ্যে যা মানুষের জীবনকে ধরে রাখে এবং সামাজিক জীবনের বৃহত্তর ঐক্যের মধ্যে যা মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ধর্ম...
ইসলামে দুগ্ধজাত প্রাণীর অধিকার
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
ইসলাম শুধু মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেনি, বরং ইসলাম সকল জীবনের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিশেষত যেসব প্রাণী স্তন্যপায়ী এবং যাদের দুগ্ধপোষ্য ছানা, বাছুর বা বাচ্চা আছে তাদের ব্যাপারে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। দুগ্ধপোষ্য প্রাণীর অধিকার ইসলাম দুগ্ধজাত ও স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোকে প্রয়োজনীয় সব অধিকার দিয়েছে। যেমন ১. মা থেকে বাচ্চাকে পৃথক না করা : যে প্রাণী দুধ দেয়, যা স্তন্যপায়ী এবং যার ছোট বাচ্চা আছে, বিনা প্রয়োজনে এমন মা প্রাণী ও বাচ্চাকে পৃথক করা ঠিক নয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তা পৃথক করা যাবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) পশু-পাখির মা থেকে বাচ্চাকে পৃথক করতে নিষেধ করেছেন। আবদুর রহমান ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহর (সা.) সফর সঙ্গী ছিলাম। তিনি তাঁর প্রয়োজনে অন্যত্র গেলেন। আমরা দুটি বাচ্চাসহ একটি পাখি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর