সুপথ গ্রহণে অসৎ সঙ্গ একটি বাঁধা। অসৎ মানুষ তাদের সঙ্গীকে সৎ হওয়ার সুযোগ দিতে চায় না। সঙ্গীদের কেউ সুপথে চলতে চাইলে অসৎ মানুষ নানাভাবে প্রতি বন্ধকতা তৈরি করে। যেমন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অতীত পাপের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া, আল্লাহর ক্ষমা লাভের ব্যাপারে হতাশ করা, পার্থিব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো ইত্যাদি। যারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তাদের প্রতি পরামর্শ হলো আপনি আপনার ইচ্ছার ওপর অটল থাকুন, ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। অচিরেই আল্লাহ আপনার জন্য রাস্তা খুলে দেবেন। মহান আল্লাহ বলেন, অতঃপর তুমি কোনো সংকল্প করলে আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে। যারা নির্ভর করে আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত...
অসৎ সঙ্গ থেকে বাঁচার উপায়
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
বেগানা নারীর সঙ্গে নির্জনতা ও সফরের বিধান
উম্মে আহমাদ ফারজানা
সমাজের পর্দাহীনতার সয়লাবের একটি উপমা হলো গায়র মাহরাম তথা বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হওয়া। ইসলাম একে হারাম ঘোষণা করেছে। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যাদের স্বামী উপস্থিত নেই, সেসব নারীদের কাছে তোমরা যেয়ো না। কেননা তোমাদের সবার মাঝেই শয়তান (প্রবাহিত) রক্তের শিরায় বিচরণ করে। আমরা বললাম, আপনার মধ্যেও কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমার মধ্যেও। কিন্তু আমাকে আল্লাহ তাআলা সাহায্য করেছেন, তাই আমি নিরাপদ। (তিরমিজি, হাদিস : ১১৭২) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন কখনো কোনো নারীর সঙ্গে নির্জনে সাক্ষাৎ না করে যতক্ষণ না ওই মেয়ের কোনো মাহরাম তার সাথে থাকে। কারণ সে সময় তৃতীয় জন থাকে শয়তান। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৬৫) বর্তমানে নারী-পুরুষের নির্জনতাকে অনেকে পাপই মনে করে না। দেবর-ভাবী, শালী-দুলাভাই,...
হাদিসে বিভিন্ন অর্থে দ্বীন শব্দের ব্যবহার
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
দ্বীন ইসলামে বহুল ব্যবহূত একটি শব্দ। পবিত্র কোরআনে একাধিক অর্থে এই শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। পাশাপাশি হাদিসেও বিভিন্ন অর্থে দ্বীন শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। এখানে ১০টি অর্থে দ্বীন শব্দের ব্যবহার দেখানো হলো এক : বাধ্য, পরাভূত ও কর্তৃত্ব : যেমন রাসুল (সা.)-এর বাণী : বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসকে পরাভূত বা বাধ্য করেছে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করেছে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৯) দুই : বিচার করা ও মীমাংসা করা : যেমন জনৈক ব্যক্তিকে আলী (রা.) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নবী করিম (সা.)-এর পর তিনি এ উম্মতের সবচেয়ে বড় বিচারক ছিলেন। (লিসানুল আরব, ১৩ম খণ্ড, পৃ. ১৬৯) তিন : দাসত্ব করা, কারো বশীভূত হওয়া এবং কারো নির্দেশাধীন হওয়া : যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি কুরাইশকে এমন এক বাক্যের অনুবর্তী করতে চাই, তারা তা স্বীকার করে নিলে সমগ্র আরব তাদের বশীভূত হবে এবং অনারবরা...
মিথ্যা সর্বকাজেই অপছন্দনীয়
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
মিথ্যা বলা মহাপাপ। মিথু্যক ব্যক্তি ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এর বিপরীতে সত্যবাদিতা হলো মানুষের নৈতিক গুণাবলীর অন্যতম। এটি দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা ও মুক্তির অন্যতম প্রধান কারণ। এজন্য আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্যবাদিতার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ অবলম্বন করো। (সুরা তাওবা, আয়াত : ১১৯) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সত্য নেকির দিকে পরিচালিত করে আর নেকি জান্নাতে পৌঁছায়। মানুষ সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে অবশেষে সিদ্দিক এর দরজা লাভ করে। আর মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়। পাপ তাকে জাহান্নামে পৌঁছায়। মিথ্যা বলতে বলতে মানুষ অবশেষে আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৯৪) এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর