সাবিঈ একটি পুরনো ধর্ম। শব্দটি আরবি অভিধানে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। (লিসানুল আরাব, ১ম খণ্ড, পৃ. ১০৭) এ ধর্মের অনুসারীদের বলা হয় সাবিঈন। তাদের এ নামে নামকরণ করার কারণ হলো, এরা আহলে কিতাব (আসমানি কিতাবের অনুসারী) থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ধর্মমত উদ্ভাবন করেছে। (আস-সিহাহ (বৈরুত : দারুল মারিফাহ, ২০০৭ খ্রি.), পৃ. ৫৭৭) এ ধর্মাবলম্বীরা মনে করে যে তারা নুহ (আ.)-এর ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলামের বহু আগ থেকে এ ধর্মের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। (আস-সাহারানি, আস-সাবিয়া, পৃ. ৯) পবিত্র কোরআনে আহলুল কিতাব ও মুমিনদের সঙ্গে তিনটি স্থানে সাবিঈদের কথা উল্লিখিত হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, যারা ইহুদি হয়েছে এবং খ্রিস্টান ও সাবিঈন যারাই আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান আনে ও সত্কর্ম করে, তাদের জন্য পুরস্কার আছে তাদের...
কোরআনে বর্ণিত সাবিঈদের পরিচয়
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
![কোরআনে বর্ণিত সাবিঈদের পরিচয়](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/06/1738784436-30aca345c2af8c0c2fe783194f09ed50.jpg?w=1920&q=100)
মসজিদ খালি রেখে ছাদে তারাবির জামাত করা
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
![মসজিদ খালি রেখে ছাদে তারাবির জামাত করা](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/06/1738784428-22309f7165d4e74fde44e1cd8c5a3964.jpg?w=1920&q=100)
আমার নাম আল কাউসার সুমন। আমার বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারহাটে। গত রমজানে তারাবিরর সময় প্রচণ্ড গরমের কারণে মহল্লার মসজিদে তারাবি পড়া কঠিন হয়ে যায়। গরমের কারণে অনেকে তারাবির জামাতে অংশগ্রহণ করেনি। তাই এবার মহল্লার কোনো কোনো মুরুব্বি দাবি করেছেন ফরজ নামাজের পর তারাবির নামাজ মসজিদের ছাদে বা মসজিদের সামনের খোলা বারান্দায় পড়া হোক। এভাবে মসজিদের ছাদে বা খোলা বারান্দায় তারাবির নামাজের জামাত করা কি বৈধ? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, জামাতে নামাজ আদায়ের সাধারণ নিয়ম হলো, মসজিদের ভেতরে মূল অংশে তা আদায় করা। শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়া অথবা সামান্য অসুবিধার জন্য মসজিদের মূল অংশ খালি রেখে ছাদে বা খোলা বারান্দায় জামাত করা অনুচিত। সুতরাং মুরব্বিদের দাবির প্রেক্ষিতে সামান্য গরমের কারণে মসজিদ ছেড়ে ছাদে বা খোলা বারান্দায় তারাবির জামাত করা ঠিক হবে না। তবে যদি গরম এত বেশি...
দ্বিনি বিষয়ে অবকাশ লাভের শর্ত
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
![দ্বিনি বিষয়ে অবকাশ লাভের শর্ত](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/06/1738784216-96fb9c770cbd117079b942088f9de795.jpg?w=1920&q=100)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মার্জনা করেছেন আমার উম্মতের ভুল, ভুলে যাওয়া বিষয় এবং এমন কাজ যা তাকে করতে বাধ্য করা হয়েছে। (সুনানে কুবরা লিল-বাইহাকি, হাদিস : ১৪৮৭১) আলোচ্য হাদিসে আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহের কথা ঘোষণা করেছেন। যেসব বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে তিনি উম্মতে মুহাম্মদির ভুলে করা কাজ, ভুলে যাওয়া বিষয় এবং বাধ্য হয়ে করেছে এমন কাজগুলো মার্জনা করে দিয়েছেন। ১. ভুলে যাওয়া : ভুলে যাওয়ার অর্থ হলো কোনো বিষয়ে অন্যমনস্ক হওয়ার কারণে বা তার স্মরণ না থাকা। এমন বিষয়ে ইসলামি শরিয়ত বহু ক্ষেত্রে মার্জনা ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাকড়াও করবেন না যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬) আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিররা সহিহ...
কোরআন ও বিজ্ঞানের বয়ানে পাহাড়ের গঠনশৈলী
আসআদ শাহীন
![কোরআন ও বিজ্ঞানের বয়ানে পাহাড়ের গঠনশৈলী](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/05/1738698818-7f0e2f7c91b4cfb8f1cd20b5153dab97.jpg?w=1920&q=100)
কোরআনের অসংখ্য মুজিজার মধ্যে অন্যতম একটি বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে দুটি শব্দের শিল্পসম্মত ব্যবহারে: নাসাবা (স্থাপন করা) এবং আলক্বা (নিক্ষেপ করা)। যদিও এই দুটি শব্দ একসূত্রে গাঁথা, তবে তাদের অর্থ ও প্রয়োগের মাঝে সূক্ষ্ম পার্থক্য এক অনন্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এই শব্দ দুটি বিশেষভাবে ব্যবহূত হয়েছে পাহাড়ের সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনের জন্য। কোরআনে বলা হয়েছে : আর পাহাড়ের দিকে তাকাও, কিভাবে সেগুলো স্থাপন করা হয়েছে। (সুরা আল-গাশিয়া, আয়াত : ১৯) অন্য আরেক জায়গায় এসেছে : তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছেন, যাতে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে নড়ে না যায়। (সুরা আন-নাহল, আয়াত : ১৫) কোরআনের শব্দসমূহের গভীরতা ও আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে তার তুলনা করলে বোঝা যায়, প্রতিটি শব্দ কতটা পরিপূর্ণ অর্থবোধক ও প্রাসঙ্গিক। ভূতত্ত্বের আলোকে, পাহাড়সমূহ গঠন প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর