ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বসে সালাত আদায়কারীর ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ানো ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব। আর যে শুয়ে আদায় করল, তার জন্য বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব। (বুখারি, হাদিস : ১১১৬) এ হাদিসের আলোকে ইসলামী আইনবিদরা লিখেছেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ বসে পড়া শুদ্ধ নয়। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০) তবে হ্যাঁ, কোনো সমস্যা বা ওজরের কারণে বসে নামাজ পড়তে পারবে। আর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য নফল নামাজ বসে পড়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ১০৪৯) যে ব্যক্তি বসে নামাজ পড়বে সে তাশাহহুদের মতো করে বসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২/৫২৭) দাঁড়িয়ে নফল নামাজ শুরু করা ব্যক্তি বসে তা...
বসে নামাজ পড়লে অর্ধেক সওয়াব
সাখাওয়াত উল্লাহ

কোরআনের মৌলিক আলোচ্য বিষয়
মুফতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

কোরআন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মালিক আল্লাহ তাআলার নাজিলকৃত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি গ্রন্থ। কোরআনের বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য, অপূর্ব ধ্বনি ব্যঞ্জনা, শব্দের লালিত্য, বর্ণনার বলিষ্ঠতা, প্রকাশভঙ্গির প্রাঞ্জলতা, রসবোধ ইত্যাদি গুণাবলি আরবপণ্ডিতদের ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। ড. মরিস বুকাইলির ভাষায়, কোরআন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিজ্ঞান গ্রন্থ, ভাষাবিদদের জন্য একটি শব্দকোষ, ব্যাকরণবিদদের জন্য একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ, কবিদের জন্য একটি ছন্দ সংহিতা এবং আইনজ্ঞদের জন্য একটি আইন গ্রন্থ। কোরআনের মৌলিক আলোচ্য বিষয়: কোরআন মাজিদে পাঁচ ধরনের বিষয় আলোচিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, কোরআন পাঁচ বিষয় সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। ১. হালাল ২. হারাম ৩. মুহকাম ৪. মুতাশাবিহ ও ৫ আমসাল বা উপমা। অতএব, তোমরা হালালগুলো মেনে চলো, হারাম থেকে বিরত থাকো, মুহকামের অনুসরণ করো,...
যেসব আমলে জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়
মাইমুনা আক্তার

যেসব আমলে মুমিনের ওপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়, তার একটি হলো নামাজ। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, হানযালা আল-উসাইদি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণরূপে অজু করতঃ রুকু ও সেজদা যথাযথভাবে করে সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে যত্নবান হয়, নামাজকে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একান্ত ফরজ দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করে, তার ওপর জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দেওয়া হয়। (মুসনদে আহমদ) শুধু ফরজ নামাজই নয়, সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও নফল নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হলেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা আছে। উম্মে হাবিবা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে জোহরের আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৬৯) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে...
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর স্নেহধন্য ১০ শিশু
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

মহানবী (সা.) শিশুদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ ছিলেন। তিনি তাঁর পরিবার ও পরিবারের বাইরে সব শিশুকে স্নেহ করতেন। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেয়ে শিশুদের প্রতি বেশি দয়াশীল আর কাউকে আমি দেখিনি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৯২০) উম্মতকেও তিনি শিশুর প্রতি স্নেহশীল হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান বোঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৪৫০) এভাবে অসংখ্য হাদিসে শিশুর প্রতি মহানবী (সা.)এর স্নেহ ও মমতার চিত্র ফুঁটে উঠেছে। যা উম্মতের জন্য শিক্ষণীয় ও অনুসরণীয়। নবীজি (সা.)-এর স্নেহধন্য ১০ শিশু নবীযুগের ১০ শিশুর প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর স্নেহ ও মমতার চিত্র তুলে ধরা হলো। ১. পুত্র ইবরাহিম : নবীজি (সা.)-এর শিশু পুত্র ইবরাহিমের প্রতি তাঁর স্নেহ ও মমতা সম্পর্কে আনাস বিন মালিক (রা.)...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত