ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিব (রা.)-কে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না?...আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন, উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় দোয়াটি ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি...
সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
অনলাইন ডেস্ক
আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের তাৎপর্য
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
অনলাইন ডেস্ক
তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের মাধ্যমেই বান্দা মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছায়। এতে বান্দা তাঁর স্মরণে আনন্দ, ইবাদত, আনুগত্যে পরিতৃপ্তি ও উত্সাহ পায়। মহান আল্লাহর ঘোষণাতার চেয়ে ধর্মে উত্তম কে, যে সত্কর্মপরায়ণ (তওহিদবাদী) হয়ে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে। (সুরা নিসা, আয়াত : ১২৫) পবিত্র কোরআনে আরো আছে আর জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা আছে তা জানেন। কাজেই তাঁকে ভয় করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৫) তাওহিদ অর্থ একক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্থির করা বা একত্ববাদ। পারিভাষিক অর্থে মহান আল্লাহকে তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত নাম ও সিফাতে (গুণাবলী, বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, অদ্বিতীয় ও একক ঘোষণা করা এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ ও আন্তরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে মহান আল্লাহর একত্ব সমুন্নত রাখা। তাওহিদ প্রধানত তিন...
শবেবরাতের গুরুত্ব, করণীয় ও বর্জনীয়
মো. যোবায়েরুল ইসলাম
অনলাইন ডেস্ক
শবেবরাত বা মধ্য শাবানের রাত মুসলিম সমাজে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। বিশেষত, উপমহাদেশীয় মুসলিম সংস্কৃতিতে এই রাতকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, এটি গুনাহ মাফের, ভাগ্য নির্ধারণের এবং বিশেষ ইবাদতের রাত। তবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণাগুলোর বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ইসলামী শরিয়তের মূল উত্স থেকে শবেবরাতের প্রকৃত অবস্থান অনুধাবন করা জরুরি, যাতে সমাজে প্রচলিত বিদআত ও ভুল বিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকা যায়। শাবান মাস রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৭০) এছাড়া, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করেন। (ইবনে...
শবেবরাতেও যাদের ক্ষমা নেই
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাদিসের আলোকে শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রজনী। এ রাতের ইবাদতও ফজিলতপূর্ণ। হাদিসের ভাষ্যমতে, এ রাতে অনেককে ক্ষমা করা হয়। তবে কিছু দুর্ভাগা ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এই বিশেষ রজনীতেও ক্ষমাপ্রাপ্তির নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে যদি তারা তওবা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান, তাহলে তিনিও তাদের ক্ষমা করবেন। এমন কয়েকজন দুর্ভাগা হলেন মুশরিক: যে ব্যক্তি শিরকের মতো ঘৃণিত পাপে লিপ্ত থাকবে, শবেবরাতেও আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন না। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সঙ্গে শিরক করে। এর চেয়ে নিম্নস্তরের পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সুরা নিসা, আয়াত: ৪৮) মুশাহিন: মুশাহিন অর্থ বিদ্বেষ পোষণকারী। দ্বিনি কোনো কারণ ছাড়া যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ লালন করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এ রাতে ক্ষমা করবেন না।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর