Im forever blowing bubbles . . ভিরা লীন এর শেষ কথা এটাই ছিল , বিজনধ্যাণকেন্দ্রী দেয়াল পত্রিকায় যখন তোমার নিখোঁজ সংবাদের ছোট একটা নিউজ আসলো, লোকে তোমার ছবি দেখে ভাবল ঘন বৃষ্টির ভিতর দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন আম গাছ কি ভাবে হারিয়ে যায়? কিন্তু কেউ লক্ষ্য করে না , আম গাছের পেছনে লুকিয়ে থাকা তোমার শিশু কালের ছবি , যখন বাংলার মানুষ ঘন ঝড় বৃষ্টিতে আম কুড়াতে যেত , এবং কেউ কেউ বাড়িতে ফিরতো পঁচিশ বছর পর , পাশে থাকতো সাদা রাজহাঁস ,মাথায় বেত ফলের মুকুট , আর ঠোঁটএর উপর আইসক্রিম কলের বরফ । মা বলতেন , তোমরা তো জানো না আমি কে , তোমরা তো জানাতে থাকো , অজানায় থাকো না । দূর পদ্মায় লঞ্চের ভেঁপু বলে দিত কারো কারো নাম । সেগুলো শুনে আমরা অচেনা মানুষ দেখলে তাদের নাম বলতে পারতাম।এটা শুনে রাস্তার কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে বলত , তোমরা অনেক চালাক হয়ে গেছো ! রাজুর বাগানের চেরি টমেটো গুলো দেয়ালে দেয়ালে...
রহমতের স্মৃতিগুলো ( চার)
রনি আহম্মেদ

সজীব দে’র ৫ কবিতা
সজীব দে

সজীব দে ১ গালিবের মায়া মায়ার জাল বুনতে বুনতে কতদিন পর মাকড়শা হবো। হেই তুমিও আমারি পাশে? আমাদের পারস্য নগরীতে একবার মনে হয় দেখা হয়েছিল? না! মনে পড়ছে গালিব আমাদের বুনেছিল। তুমতো হো উস তেরা জো হাম নেহি বাত তেরি গোলাবী। ২ ব্ল্যাক কমেডি ব্যক্তিগত ব্যাখা ছাড়াও জীবন চলে যায় মোহ ধরে রাখে জীবন যেনবা তার কাছে বন্দি থাকা কোন সুখকর নেশা এল এস ডি জীবনের বিপরীতে জীবনকে ভালবাসা ন্যায় অভ্যাস এ ধারণা অনেকের হয়ত আছে যেমন আমার মৃত্যুর পর জেগে ওঠা বহুদিনের ইচ্ছা তাই গল্প বলি কানে কানে আমার মৃত কপালে হাত রেখো তুমি অথবা বন্ধুর বাকি জীবন ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেবার যে বিলাস মনে মনে বয়ে চলে আসলে সেও মৃত অথবা জীবনকে অস্বীকার করার মতই গল্প। শেষ বাস্তবতা বলে কিছু নাই যাদুর ভেতর যারা বাস করে তারা প্রকৃতির সন্তান। আর সম্ভাবনার কথা নয় তুমি জানো যা কিছু ঘটে গেছে বা ঘটবে...
মামুন খানের ৫ কবিতা
মামুন খান

হাশেম এন্টারপ্রাইজ আমি মদন রোডের হাশেম এন্টারপ্রাইজ। গণেশের ঢালু জমিন জানে জানে হাঁসকুড়ি জানে জয়পাশা জানে বয়রালা ও বান্নিতলা, হাশেমের নাম। ২. আমার তখন ব্রিজ ছিল না। ইট সুরকি পিচ ছিল না। আমার চাকার ধুলায় আন্ধা হয় নাই এমন কোনো বটের বাপ ছিল না, পথের দুধারায়.. ৩. ছিল শুধু পা, বারমাসি সচল পা.. তাদের কোটি কোটি পদচ্ছাপের উপর দিয়ে গভীর রাতে তীব্র হর্ন বাজিয়ে চলে যায় সুদূরের নাইট বাস আমি পাতা উল্টাই গান পাল্টাই লেখা মুছি পেছন পথে পুরাতন সন্ধ্যার দিকে হাঁটি। আমাকে ফেলে সামনের দিকে যতদুর যাও তোমাদের ছেড়ে তারও বেগে পেছনের দিকে ছুটি। এও এক প্রতিযোগিতা আমার সবার আগে আমাকেই পেতে চাই আমি। মামুন খান কবিতার আগুনে ঝলসানো সুস্বাদু বারবিকিউর নাম মামুন খান। অরণ্যের মোরগ, সমুদ্রের মাছ, জঙ্গলের শুকর - পুড়তে পুড়তে আমাকে সমদেহী ভেবেছে বহুবার। তিনরাতদুদিন...
আলম সাধুর ৫ কবিতা
আলম সাধু

বৃক্ষশিশু কাঠবেড়ালির পায়ে বেঁধে দিয়েছি হৃদয় যেন আমার আত্মহত্যাগুলি কেউ ধরতে না পারে এখানে হতাশাকে হাওয়াইমিঠাই এর পলিব্যাগে তুলে শিশুদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে মহামান্য ঈশ্বর আমি আর জন্মাতে চাই না; হতে চাই না নাড়িছেঁড়া ধন পুত্রের আগেই মরে যাবে পিতা এমন পৃথিবীতে আর জন্মাতে চাই না...এখানে প্রেমিকারা সহায়সম্বলহীন কবির হাতেরপাঁচ হতে পারেনি এখানে স্নানেরজল গড়িয়ে যাওয়া অসংখ্য দুপুর হামাগুড়ি দিচ্ছে কলপাড়ে যেন পৃথিবীতে দড়িছেঁড়া বাছুর, ধরিধরি ধরা যায় না সন্ধ্যা হয়ে আসে আর অন্তত অন্ধকারের ভেতর ঝরে পড়ে সুন্দর শিউলি, মায়ের কিংবা প্রেমিকার কান্না নয় ফুলকে চিরকাল জেনেছি বৃক্ষশিশু। আমি আছি আমি আছি, তোমার গ্রামের নদীর মতো মাটি কামড়ে একদিন তোমার পায়ের ধুলোয়, বার্মিস স্যান্ডেলে ঝরাপাতায়, গাছবাদামের ফুলে, কেটে ফেলা শবরির গাছে... একসাথে হেঁটে যেতে যেতে পাখির...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত