প্রাচীন ইরানের অন্তর্গত আজারবাইজানে জন্মগ্রহণকারী একজন বিখ্যাত ব্যক্তি জরথুস্ত্র ছিলেন এ ধর্মের প্রবর্তক। তাঁর নামানুসারে এ ধর্মের নামকরণ করা হয়। এটি মূলত একটি মাজুসি (অগ্নিপূজারী) ধর্ম। এ ধর্মের প্রবর্তককে জরথুস্ত্র, জরোয়েস্টার ইত্যাদি নামে ডাকা হতো। এ শব্দগুলোর অর্থ হলো বৃদ্ধ উটওয়ালা। অবশ্য পারসিকরা তার নামের অর্থ করেছে স্বর্ণালি তারকা তথা দেদীপ্যমান নক্ষত্র। জরথুসে্ত্রর পিতার নাম ছিল ইউরশাব, যিনি রাজা কোস্তাসাব বিন লাহারসাবের রাজত্বকালে আজারবাইজানে আবির্ভূত হন। তার মাতার নাম ছিল জগদুয়া। তিনি ছিলেন রাই-এর অধিবাসিনী। (আল-শাহরাস্তানি, আল মিলাল ওয়ান নিহাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৩৬) ঐতিহাসিক আল-মাসউদী জরথুসে্ত্রর কুলজি বর্ণনায় লিখেছেন, তিনি হলেন, জারাদাস্ত ইবন আসবিসান। তিনি ছিলেন অগ্নি-উপাসকদের নবী। (আল মাসউদি, মুরুজুব জাহাব, ১ম খণ্ড, তাহকিক :...
প্রাচীন ইরানের জরথুস্ত্র ধর্ম পরিচিতি
ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন

নৈরাজ্য সৃষ্টির ইহকালীন ও পরিকালীন শাস্তি
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

যেসব অপরাধ আল্লাহকে ক্রোধান্বিত করে মানুষকে তার রবের কাছে অভিশপ্ত করে তোলে, তার মধ্যে একটি পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। কখনো কখনো ক্ষণিকের জন্য এই কাজে লপ্তিদের সফল ও প্রভাবশালী মনে হলেও এর পরিণাম খুবই ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে এ ধরনের বিশৃঙ্খলাকারী সৃষ্টিকারী কাজের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশানি্ত সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের জন্য আছে অভিসম্পাত এবং আছে মন্দ আবাস। (সুরা রাদ, আয়াত : ২৫) এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কিছু নিকৃষ্ট কাজের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো, পৃথিবীতে অশানি্ত সৃষ্টি করা। যেসব কাজকে মহান আল্লাহর অবাধ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তার মধ্যেও অন্যতম হলো,...
স্ত্রীকে দেওয়া স্বর্ণ কি স্বামী ফেরত নিতে পারবে?
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আমি তবিবুর রহমান। আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা। সম্প্রতি আমার একজন সহকর্মীর স্ত্রী অন্য পুরুষের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন। তাদের ভেতর শরয়ি বা সরকারি কোনো পদ্ধতিতে তালাক হয়নি। স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেয়নি এবং স্ত্রীও স্বামীর কাছে ডিভোর্স লেটার পাঠায়নি। স্ত্রী ঘর ছাড়ার কয়েক দিন পর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা স্বামীর কাছে এসে বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেওয়া স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। বিয়ের সময় আমার সহকর্মী তাঁর স্ত্রীকে মহর হিসেবে চার ভরি এবং উপহার হিসেবে দুই ভরি স্বর্ণ দিয়েছিলেন। এখন তাঁর প্রশ্ন হলো, স্ত্রীকে দেওয়া এসব স্বর্ণালংকার সে ফেরত নিতে পারবে কি না? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, বিয়ের সময় দেওয়া স্বর্ণালংকার ব্যক্তি ফেরত নিতে পারবে না। চাই তা মহর হিসেবে দিক বা উপহার হিসেবে দিক। কেননা এসব স্বর্ণের মালিক তাঁর স্ত্রী। উল্লিখিত বিবরণ অনুসারে পালিয়ে যাওয়া নারী...
এবার কোন দেশে কত ঘণ্টা রোজা?
অনলাইন ডেস্ক

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম রোজা। হিজরি সনের প্রতি রজমান মাসে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সাহরি থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আহার গ্রহণ থেকে বিরতির মাধ্যমে রোজা পালন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ের পার্থক্য দেখা দেয়। তাই রোজা রাখার সময়ও কমবেশি হয়। বিষুবরেখার কাছের দেশগুলোতে অল্প সময় রোজা রাখতে হয়। অপরদিকে উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে ঋতুর উপর নির্ভর করে রমজানের সময় ১৭ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। সৌদি আরব এবং কাতারের মতো দেশগুলো এবার পবিত্র মাস রমজান মাসে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা রোজা পালন করবেন। গ্রিনল্যান্ড এবং আলাস্কার মতো যেসব দেশে সূর্য কখনও অস্ত যায় না, এসব দেশের মুসলমানদের মক্কা ও সৌদি আরবের সময় অনুপাতে রোজা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসলামিক স্কলাররা। কারণ, এটি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর