জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২৫ দেয়া হলো তিন বরেণ্য কবিকে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব জহুর হোসেন মিলনায়তনে এই জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়। কবিতায় এই পুরষ্কার পেলেন কবি মতিন বৈরাগী, শিশু সাহিত্যে ফয়েজ আহমেদ পুরস্কার পেয়েছেন কবি হাসান হাফিজ এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয় কবি জুলফিকার হোসেন তারাকে। পুরস্কার প্রদান করেন জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা মোঃ গোলাম রহমান, শহীদ আলভীর বাবা মোঃ আবুল হাসান এবং শহীদ ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।...
জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরষ্কার-২০২৫ পেলেন তিন কবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

রথো রাফির কবিতা
রথো রাফি

রথো রাফি পরিচয় মানুষ প্রথমে নির্ধারণ করে নিজেদের পরিচয়। এরপর ভিন্ন পরিচয়ের মানুষ আবিস্কার আর সৃষ্টি করে চলে তারা! এরপর একদিন ভিন পরিচয় মানুষদের রক্তপান করে আর উল্লাসে মাতে! অথবা নিজেই ভিন পরিচয়ের মানুষের করুণ ও নীল শিকারে পরিণত হয়! মানুষ প্রথমে সীমা নির্ধারণ করে। তারপর সীমা-অতিক্রমকারীকে খোঁজে ও হত্যা করে। কিংবা সীমার বাইরের সেই সীমা ধ্বংস করে আপন ভুগোল গড়ে নিতে চায় এবং সীমার ভেতরের মানুষগুলোকে ধ্বংস করে চলে দিনরাত কিংবা উপহার দেয় বড়জোর অনুগত দাসের জীবন। আর আপন ভুগোল, মানে, শত্রু ভুগোল থেকেই যায়। দুঃখের আর শোকের সুর বেজে চলে পৃথিবীর বুকে। কখনও থামে না। পরিচয় যেনো চেতনাকে স্পষ্টতা দিতে গিয়ে ধ্বংসও করে চলে প্রতিদিন। স্বস্তির দিগন্ত স্রোতের বিপরীতে যাবে অথচ স্রোতের ধাক্কা সইবে না, তা কী করে হয়! অথচ তোমাকে, দেখো, প্রতিটি আঘাত উপহার...
কমলকলি চৌধুরীর একগুচ্ছ কবিতা
কমলকলি চৌধুরী

আকাশ ছোঁয়ার দিন একদিন আমরা আকাশকে ছুঁয়েছিলাম... ছুঁয়েছিলাম অনেক মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে করে। সালাম-বরকত-রফিক-জব্বার-শফিউর যেদিন নক্ষত্রের পানে তাকিয়ে ফাগুনের অযুত কৃষ্ণচূড়ার রং ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কালো ক্যানভাসে সেদিন আমরা আকাশকে ছুঁয়েছিলাম... ছুঁয়েছিলাম আমাদের বিদীর্ণ চিত্তের বিশালতায়! বরকতের বিশাল বুকে কী ছিলো সেদিন? বাংলার আদিগন্ত আকাশ? সালামের হৃদয় জুড়ে ছিলো কি পদ্মার উত্তুঙ্গ ঢেউ, পাল-তোলা নৌকো আর দুরন্ত যুবার রাখালিয়া বাঁশির সুর! রফিকের বুকে কি ছিলেন দৃপ্ত রবীন্দ্রনাথ! জব্বারের বিঘত বুকে বিদ্রোহী নজরুল? শফিউরের বুক জুড়ে বুঝিবা জসীম উদ্দীন, জীবনানন্দ? কিংবা কপতাক্ষের কবি? তাঁরা সকলে মিলে সেদিন হয়ে উঠেছিলেন -- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি... ঘর একটাই ঘর ছিলো, ছিলে জুবুথুবু দুজনে -- সুখেই তো ছিলে! ছিলো ঝগড়াঝাঁটি -- ভালোবাসা -- খুনসুটি।...
জান্নাতি কবিতার একগুচ্ছ কবিতা

চিয়ার্স চিয়ার্স শীতল অভিমানে জমে আছে পৃথিবী মেঘেরা শিশিরে ভেজা, উত্তুরে হাওয়ায় বিষন্নতা। মুঠোফোন ডেকে বলে, কী করো? যেন হিম ঘরে বসে আছি, একা। পরিযায়ী পাখি হও, আসবে? তখন সন্ধ্যা নিয়ন আলো কুয়াশার ঘেরাটোপে মফস্বলের কূপি বাতির মত ঝিম ধরে আছে। বেয়ারা দরজা মেলে ধরতেই ঢুকে পড়ি অনন্ত জোছনা রাতে, সবকিছু উজ্জ্বল উচ্ছল। বিঠোভেনের মুনলাইটে তোমার রামের সাথে আমার ব্র্যান্ডির গ্লাস ঠুকে চুমুকে ডুবে যাই। কাঁচের জানালার ওপারে ব্যস্ত ট্রাফিক বিলবোর্ড মানুষের ঢেউ, আবার গ্লাস ভরে দিতেই টিনের চালে শিশির ঝরার ছন্দ কানে বাজে! দিদিমার পাটালিগুড়ে এলাচ দেওয়া চায়ের স্বাদ! এখানে ভাঁটফুলের গন্ধ নেই ঝিঁঝি পোকার গান নেই অর্জুন গাছের ছায়া নেই, লোহার সিন্দুক, কাঁসার থালা কিচ্ছু নেই, তবু দিদিমার নকশীকাঁথার ওমটুকু গায়ে মেখে আমরা উষ্ণতা পান করতে থাকি। জীবন কোনদিকে যাই,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর