বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ায় যত মৃত্যু ঘটে তার প্রায় ৩৫ ভাগই শিশু। যেসব অঞ্চলে টিকার সুযোগ কম, খাদ্য ঘাটতির জন্য অপুষ্টি ঘিরে ধরে সমাজকে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ধোঁয়া আর রান্নার জ্বালানি দূষিত করে বাতাস, সেখানকার শিশুরাও আছে ঝুঁকিতে। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে প্রদাহ হয় তাকেই বলে নিউমোনিয়া। বেশির ভাগ সংক্রমণের কারণ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, কভিড-১৯ এর সংক্রমণ। এছাড়া ধূমপায়ী, মাদকসেবীদের মধ্যে বেশি হয় নিউমোনিয়া। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অন্যদিকে বায়ুদূষণ, ঘরের ভিতর বায়ু চলাচল বিঘ্নিত হলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল, যারা অনেক দিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিচ্ছেন তাদেরও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। খেয়াল রাখতে হবে নিউমোনিয়া হলে হয় খুব জ্বর...
নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে কারা?
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
অনলাইন ডেস্ক

বিয়ের আগে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা পরীক্ষা করুন
অনলাইন ডেস্ক

থ্যালাসেমিয়া একটি জেনেটিক রক্তের রোগ, যেখানে রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করার প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়। হিমোগ্লোবিন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা রক্তের শ্বেত রক্তকণিকায় থাকে এবং অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। থ্যালাসেমিয়ায় হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কম হয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) হয় এবং শরীরে অক্সিজেনের সঠিক সরবরাহ করা যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এই রোগের জিনবাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এ জিনবাহকের মাধ্যমেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায় রোগটি। ভাবছেন কীভাবে? বিয়ের মাধ্যমে এ রোগটি বিস্তার লাভ করে। যেমন ধরুন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন অথবা উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে জিনগত কারণে সে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য চিকিৎসকরা বলছেন, বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েরা তাদের বিয়ের আগে এই রোগের জিনবাহক কি...
ধূমপানের চেয়েও ক্ষতিকর ভেপিং: গবেষণা
অনলাইন ডেস্ক

অনেকেই ভেবে থাকে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ভেপিংয়ের ফলে ক্ষতি কমানো যাবে আবার নিকোটিনের চাহিদাও মিটবে, তাদের সম্ভবত এবার নতুন করে ভাবতে হবে। নিয়মিত ই সিগারেট ব্যবহার বা ভেপিংয়ের ফলে ব্যবহারকারীদের ডিমেনশিয়া, হৃদরোগ ও অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়ার মতো ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বর্তমানে নজিরবিহীন সংখ্যায় ভেপ গ্রহণ করছে ব্রিটিশরা, দেশটির দশ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে অন্তত একজন এ অভ্যাসে আসক্ত বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল। অনেকেই এসব ভেপকে সাধারণত সিগারেটের চেয়ে নিরাপদ ও ধূমপান ছাড়ার জন্য কার্যকর একটি টুল হিসাবে বিবেচনা করেন। তবে গবেষণা বলছে, প্রায় আট শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ভেপ গ্রহণের আগে কখনও ধূমপান করেননি। ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, সিগারেটের চেয়েও...
শিশুদের হার্টের রোগ কাওয়াসাকি ডিজিজ
ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন
অনলাইন ডেস্ক

শিশুদের বিভিন্ন রকমের হার্টের অসুবিধার কথা শুনেছি যেমন শিশুদের জন্মগত হার্টের অসুখ, শিশুদের বাতজ্বরজনিত হার্টের অসুখ। বর্তমানে বাতজ্বরজনিত হার্টের অসুখ অনেকাংশেই কমে এসেছে। কিন্তু আমরা বেশ কিছুদিন ধরে নতুন একটা হার্টের অসুখ দেখতে পারছি। যা দিন দিন বেশি করে শনাক্ত করতে পারছি। শিশুদের নতুন এই রোগটির নাম কাওয়াসাকি ডিজিজ। জাপানি এক চিকিৎসক ডা. তমিসাকু কাওয়াসাকি ১৯৬৭ সালে সর্ব প্রথম এই রোগ শনাক্ত করেন। এবং পরবর্তীতে উনি একটি জার্নালে এই রোগ সম্পর্কে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন। কাওয়াসাকি ডিজিজ এই রোগটি আসলে একটি রক্ত নালির রোগ। এবং এটি একটি বিরল রোগ। কিন্তু বর্তমানে শিশুদের জন্মগত হার্টের রোগ, বাতজ্বরজনিত হার্টের রোগ এর পরেই এই রোগটির স্থান বলে পরিগণিত হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের চারপাশে দিনদিন এই রোগটির রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত ৫ বছরের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর