দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষার পালা শেষে এল রহমতের রমজান। রমজানের রোজা হিজরি দ্বিতীয় সনে ফরজ হলেও রোজার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। মুসলমানদের আগেও অন্যান্য ধর্মে রোজার বিধান প্রচলিত ছিল। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেছেন, হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা (এ রোজার মাধ্যমে) মুত্তাকি (খোদাভীরু) হতে পারো। (সুরা : রাকারা, আয়াত : ১৮৩) এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়, আল্লাহর বিধান হিসেবে রোজা রাখার বিধান বহুকাল আগে থেকে প্রচলিত। বর্তমানেও বহু ধর্মে রোজার প্রথা ভিন্ন আঙ্গিকে চালু আছে। এ আয়াত থেকে আরো জানা যায়, রোজার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া ও খোদাভীরুতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ, যাতে যাবতীয় পাপাচার-অনাচার, অনৈতিক ও অমানবিক কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। কোরআন-হাদিসের আলোকে প্রতীয়মান হয়, পাপমুক্ত জীবনের...
এলো রহমতের রমজান
আহমাদ ইজাজ

আল্লাহভীতি অর্জনের মাস রমজান
আলেমা হাবিবা আক্তার

রমজানের প্রধান শিক্ষা হলো আল্লাহভীতি অর্জন করা। কোনো ব্যক্তি যদি রমজানে আল্লাহ ভীতি অর্জন করতে পারে তবে তার সিয়াম সাধনা স্বার্থক। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন, হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।(সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) সুতরাং রোজাদারের উচিত আল্লাহভীতি অর্জনের চেষ্টা করা। আল্লাহভীরু মানুষ যেমন হয় : আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) মুত্তাকি তথা আল্লাহভীরু মানুষের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, তারা হলেন মর্যাদাশীল মানুষ। তারা সত্য বলেন, জীবনযাপনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করেন, বিনয়ের সঙ্গে চলাফেরা করেন, হারাম দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকেন, উপকারী জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হন। তারা সামান্য আমলে সন্তুষ্ট হন না এবং বেশি আমলকে বেশি মনে করেন না। তারা নিজেদেরকে দোষী মনে করেন এবং আমলের ব্যাপারে যত্নশীল হন।...
রমজানে কোরআন তিলাওয়াতে যত্নবান হওয়ার গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার

বছর ঘুরে আবার এলো অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ মাস পবিত্র মাহে রমজান। যে মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুমিন নিজেকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করে। যে মাসে মহান আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের তাকওয়া অবলম্বনের শক্তি জোগান। এটি সেই মাস, সে মাসে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তাই এ মাসকে কোরআনের মাস বললেও ভুল হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, রমজান মাস- যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হিদায়াত এবং এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) তাই মুমিনের উচিত, পবিত্র মাসে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াতের চেষ্টা করা। আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও পবিত্র রমজান মাসে অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। রমজান মাসের রাতগুলোতে তিনি জিবরাইল (আ.)-কে কোরআন তিলাওয়াত...
মাহে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ আমল
আসআদ শাহীন

রমজান শুধু একটি মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম ও রহমতের এক অপার সুযোগ। এ মাসের প্রতিটি দিন যেন এক অনন্য প্রতিশ্রুতি, সংযমের শৃঙ্খলে অভ্যস্ত হয়ে আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের। রমজানের প্রতিটি রাত, তারার স্নিগ্ধ আলোয় মাখা, মনে করিয়ে দেয় লাইলাতুল কদরের রহমতপূর্ণ মাহাত্ম্য। তাই মুমিনের উচিত রমজানকে স্বাগত জানানো পরিশুদ্ধ হৃদয়ে, পরম নিষ্ঠায়, দয়া ও উদারতার আলোকচ্ছটায়। যেভাবে রমজান কাটাব কিভাবে আমরা রমজান কাটাব, তা হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হলো, ১. রোজা রাখা : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ বলেছেন: আদম সন্তানের প্রতিটি কাজ তাঁর নিজের জন্যেই- রোজা ব্যতীত। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর রোজা পালনকারীদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের ঘ্রাণের চেয়ে অধিক সুগন্ধযুক্ত। (সহিহ বুখারী, হাদিস: ৫৯২৭) ২. তারাবির নামাজ পড়া : আবদুল্লাহ ইবনে আবি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর