এ সুরায় আকিদা ও শরিয়তের বিধি-বিধান দুটি বিষয়ই আলোচিত হয়েছে। আকিদার ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদ, নবুয়ত, কোরআনের সত্যতা, কোরআন সম্পর্কে সন্দেহ-সংশয় দূর করা হয়েছে। এই সুরায় এই ঘোষণা রয়েছে যে, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। এই সুরায় ইহুদি-খ্রিস্টানদের সঙ্গে মৌলিক বিরোধ এবং বিরোধপূর্ণ বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আর বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে এই সুরায় হজ, জিহাদ, সুদ, জাকাত এবং বদর ও উহুদ যুদ্ধ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মুনাফিকদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। দুটি নির্দেশনা দিয়ে সুরাটি শেষ হয়েছে : ১. আসমান ও জমিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২. বিপদাপদে এবং জিহাদে ধৈর্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. তাওহিদের বিশ্বাসই ঈমানের মূলভিত্তি। (আয়াত : ২) ২. যদিও আল্লাহর গুণাবলীতে দয়া প্রবল, তবুও তিনি দুনিয়াতেও কখনো কখনো...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব ৩
সুরা আলে ইমরান

ইফতারের পাঁচ সুন্নত
মুফতি আইয়ুব নাদীম

রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হলো ইফতার। রোজাদারের জন্য ইফতার পরম আগ্রহের ও আনন্দের। এই সময় ইফতার সংক্রান্ত পাঁচটি সুন্নত আছে, যা আলোচনা করা হলো এক. সূর্যাস্তের পর ইফতারে দেরি না করা : সূর্যাস্তের পর দেরি না করে ইফতার করা। সাহল বিন সাদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যতদিন মানুষ দেরি না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপরে থাকবে। (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৭) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, আমার কাছে প্রিয় বান্দা হচ্ছে তারা যারা দ্রুত ইফতার করে। (তিরমিজি, হাদিস:৭০০) দুই. ইফতারের সময় দোয়া ইস্তেগফার করা : ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বেশি দোয়া, ইস্তেগফার করা। আব্দুল্লাহ ইবনে ইরশাদ করেছেন, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।(ইবনে মাজা,...
বিতর নামাজের পর নবীজি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
সাআদ তাশফিন

এখন পবিত্র রমজান মাস। তাই প্রতিটি মুমিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সহিত তারাবির নামাজ আদায় করার চেষ্টা করেন। তারাবির প্রতি চার রাকাত পর একটি বিশেষ দোয়া পড়াকে জরুরি মনে করেন। কিন্তু আসলেই এ কাজটি জরুরি কি না এবং হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আরো কোনো ভালো কাজ আছে কিনা, সে বিষয়ই জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। তারাবি নামাজ মূলত আরামের নামাজ। তারাবি তারবিহাতুন-এর বহুবচন। তারবিহাতুন শব্দের অর্থই হলো আরাম করা, বিশ্রাম করা। এই নামাজের একটি বিশেষ নিয়ম হলো, এই নামাজে চার রাকাত পর পর চার রাকাত পরিমাণ বসে আরাম করার বিধান রয়েছে। এ সময় আমাদের দেশের মুসল্লিরা একটি দোয়া পাঠ করাকে জরুরি মনে করেন। দোয়াটি হলো- সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল জাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা...
রমজানের আধুনিক কিছু মাসায়েল
শাকের উল্লাহ সাদেক

মাসআলা: এক দেশে চাঁদ দেখে রোজা রাখার পর কেউ যদি অন্য কোনো দেশে চলে যায়, তাহলে সে ওই দেশের সংখ্যা ও নিয়ম মেনে বাকি রোজা পালন করবে এবং ওই দেশের সময় ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদ পালন করবে। আর স্থান পাল্টানোর কারণে যদি কোনো রোজা কম হয়, সেগুলো রমজান মাসের পর সুবিধাজনক সময়ে কাজা আদায় করে নিতে হবে। কিন্তু যদি বেশি হয় তাহলে বেশি আদায় করতে হবে। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২১৯) মাসআলা: নারীদের মাসিক (হায়েজ) বন্ধ করতে ওষুধ বা পিল গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এতে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তবে যদি কোনো মহিলা হায়েজের রক্ত আসার আগেই ওষুধ খেয়ে রক্ত বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাকে পবিত্র ধরা হবে এবং তার নামাজ ও রোজা শুদ্ধ হবে। এর ফলে পরবর্তীতে কোনো কাজা করার প্রয়োজন হবে না; কিন্তু যদি রক্ত শুরু হওয়ার পর ওষুধ খেয়ে রক্ত বন্ধ করে দেয়, তাহলে তার ওই দিনের রোজা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং পরবর্তী সময়ে তা কাযা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর