রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অর্থনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই এ প্রশ্ন এসে যায় যে তাঁর পারিবারিক মিরাস কী ছিল? প্রাচীন ইতিহাসবিদদের মধ্যে ইবনে সাদ তাঁর শিক্ষক ইমাম ওয়াকিদি (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন, আবদুল্লাহ বিন আবদুল মুত্তালিব উম্মে আইমান নামে এক দাসী, পাঁচ উট ও এক পাল বকরি রেখে গেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) উত্তরাধিকার সূত্রে এগুলো পেয়েছেন। (ইবনে সাদ, আত-তাবকাতুল কুবরা, পৃষ্ঠা ১০০) এই সম্পত্তি ছাড়া তিনি পৈতৃক ভিটা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। মহানবী (সা.)-এর প্রথম জীবনীকার ইবনে ইসহাক লিখেছেন, জনাব আবদুল্লাহ সাইয়েদা আমিনার জন্য একটি জায়গা ক্রয় করেছেন। সেখানেই তাঁরা দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছেন। (সিরাতে ইবনে ইসহাক, পৃষ্ঠা ৩৩) তাই এটা খুব স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় যে মহানবী (সা.) তাঁর মাতা-পিতার বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তিও উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। উসামা...
মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক উত্তরাধিকার সম্পত্তি
হাদি-উল-ইসলাম

আত্মোন্নয়নে চেষ্টা সাধনার গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার

সফলতার অন্যতম চাবি হলো আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রেখে কঠোর পরিশ্রম, চেষ্টা, সাধনা করা। যদি কেউ তা করতে পারে, তবে পরবর্তীতে এক সময় সফলতার সোনার হরিণ মানুষের হাতে ধরা দেয়। পৃথিবীতে যত মানুষ স্বরণীয় বরণীয় হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সফলতা অর্জনের জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা সাধনা চালিয়ে গেছে। এক সময় মহান আল্লাহ তাদেরকে তাদের চেষ্টার সফল উপহার দিয়েছেন। কথায় আছে পরিশ্রমে ধন আনে, পূন্যে আনে সুখ, আলস্য দারিদ্র আনে, পাপে আনে দুঃখ। মানুষ কোনো বিষয়ে দৃঢ়তার সহিত সাধনা করলে মহান আল্লাহ তাদের তা দিয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আর এই যে, মানুষ তাই পায়, যা সে চেষ্টা করে। (সুরা আন নাজম, আয়াত : ৩৯) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদরা বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তি যা পরিণতি ভোগ করবে তা তার কৃতকর্মেরই ফল। চেষ্টা সাধনা ছাড়া কেউ-ই কিছু লাভ করতে পারে না।...
কর্মব্যস্ত জীবনে কোরআন চর্চার উপায়
আবরার আবদুল্লাহ

আধুনিক জীবনব্যবস্থায় মানুষ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি ব্যস্ত। ফলে বহু মানুষের কোরআন তিলাওয়াত ও কোরআনের জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও তারা তা অর্জন করতে পারেন। নিম্নে ব্যস্ততার মধ্যেও কিভাবে কোরআনচর্চা করা যায় সে বিষয়টি তুলে ধরা হলো ১. চলতি কোরআন পাঠ : প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের সময় আমাদের প্রচুর পরিমাণ সময় নষ্ট হয়। বিশেষত শহরের যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। এ সময়ে ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক মাধ্যমে ব্যয় না করে কোরআন, কোরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা পাঠ করা যায়। আধুনিক মোবাইল ফোনে ব্যবহার উপযোগী অসংখ্য কোরআনভিত্তিক গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যায়। ২. চলতি পথে কোরআন শ্রবণ : কোরআন দেখে পাঠ করতে ইচ্ছে না করলে চলাচলের পথে কোরআন তিলাওয়াতও শোনা যেতে পারে। শায়খ হুজায়ফি, শায়খ সুদাইসি, শায়খ মিশয়ারির মতো আরব বিশ্বের খ্যাতিমান কারিদের...
শিক্ষা সফর যেভাবে কল্যাণময় হতে পারে

ইসলাম জ্ঞানার্জনের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। কোরআনের প্রথম নাজিল হওয়া বাক্যে পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । বর্ণিত হয়েছে, পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। (সুরা আলাক, আয়াত : ১) এই পড়া শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং জ্ঞানার্জনের তাগিদে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করাও ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ। যুগে যুগে মুসলিম মনীষীরা জ্ঞান অন্বেষণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন । কখনো মাইলের পর মাইল মরুভূমি পেরিয়েছেন। আবার কখনো সমুদ্রযাত্রা করে ব্যুত্পত্তি অর্জন করেছেন । তাদের শিক্ষা সফর আর আজকের শিক্ষা সফরের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান লক্ষণীয়। এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানা সবার জন্য জরুরি। কোরআনে শিক্ষা সফর শিক্ষা সফরকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. স্থায়ী সফর অর্থাত্ ঘর থেকে বের হয়ে এমন কোনোও ব্যক্তি বা এমন কোন প্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়া,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর