মানুষকে স্বেচ্ছাচারী জীবনের উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে রক্ষা করতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহতায়ালা বলেন, আর তাঁর (আল্লাহ) নির্দেশনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন। (সুরা রুম, আয়াত: ২১) পবিত্র কোরআনে আরও এরশাদ হয়েছে, আর তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিতদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের সৎ কৃতদাস ও কৃতদাসীদেরও। যদি তারা দরিদ্র হয় তবে আল্লাহ তার নিজ অনুগ্রহে ধনী বানিয়ে দেবেন। (সুরা নুর, আয়াত: ৩২) তবে কাদের বিয়ে করা যাবে, কাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না; এর একটি মৌলিক নীতি দিয়েছে ইসলাম। যে ১৫ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম, তাদের তালিকা এখানে দেওয়া হলো ১. বাবার স্ত্রীবাবা মারা গেলে বা তালাক দিলেও...
যে ১৫ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম
অনলাইন ডেস্ক

ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকা
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সত্যবাদীতা মনুষ্যত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অলংকার। বলা হয়, আল ইসলামু হাক্কুন ইসলাম সত্য। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মানুষকে সততার চর্চা ও সত্য বলার নির্দেশ দিচ্ছেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্য কথা বল (সুরা আহযাব, আয়াত: ৭০) তবুও বাস্তবতা, ন্যায়ের কৌশল হিসেবে ক্ষেত্রভেদে সরব অবস্থানের চেয়ে চুপ থাকা বিশেষ উপকারী। নিম্নে ক্ষেত্রভেদে চুপ থাকার কিছু উপকারীতা তুলে ধরা হলো: মুক্তির উপায় মৌনতা অনেক সময় প্রতিবাদের ভাষা হয় এবং অনেক জটিল সমস্যা হতে তা মুক্তির পথ দেখায়। প্রিয় নবী (সা.) বলেন যে চুপ থেকেছে, সে নাজাত পেয়েছে। (তিরমিজি) নিরাপদ থাকা অনাসৃষ্টি ও উত্তেজনা পরিহারের জন্য চুপ থাকা অত্যন্ত কার্যকরী। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, যে নিরাপদ থাকতে চায় তার চুপ থাকা আবশ্যক। (মুসনাদ আনাস বিন মালিক, বায়হাকি) সহজ ইবাদত চুপ থাকা একটি ইবাদত। হাদিসেই আছে রোজাদারের চুপ থাকা তাসবিহ...
ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় ইসলামের নির্দেশনা
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম উম্মাহর সম্পর্ককে একদেহের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যদি মুসলিমরা এক দেহের মতো হয়, কিংবা এক গাঁথুনির মতো, যেখানে এক অংশ অন্য অংশকে শক্তি জোগায়, তাহলে তাদের মাঝে বিভেদ, বিচ্ছিন্নতা বা সম্পর্কচ্ছেদ থাকার কথা নয়। বরং তাদের মধ্যে হওয়া উচিত সম্পর্ক রক্ষা, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও মিলমিশ, আর পারস্পরিক ঐক্য আরও দৃঢ় হওয়া উচিত। ইসলামের শত্রুদের হূদয় যেসব কারণে প্রশান্ত হয় এবং চোখ শীতল হয়, তার অন্যতম হলো, মুসলিমদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা, পরস্পরের প্রতি বিরূপতা, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং একে-অপরের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হওয়া। এই বিভেদই তাদের বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে ফেলে, যার ফলে তাদের ঐক্য বিনষ্ট হয়, শক্তি দুর্বল হয় এবং শত্রুরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই কারণেই ইসলাম অত্যন্ত কঠোরভাবে মুসলিমদের মধ্যে...
যথাসময়ে নামাজ পড়ার পুরস্কার
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

ঈমানের পর ফরজ নামাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ মুমিন নর-নারীর ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন। মুমিনের দায়িত্ব হলো যথাসময়ে ফরজ নামাজ আদায় করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনের আবশ্য কর্তব্য। (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩) যথাসময়ে নামাজের গুরুত্ব কোরআন-হাদিসে যথা সময়ে নামাজ আদায়ের বহু তাগিদ আছে। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো। ১. জাহান্নামের আগুন নেবে : যথা সময়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন নির্বাপিত হয়। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর এমন একজন ফেরেশতা আছে যে, প্রত্যেক নামাজের সময় ঘোষণা করে : হে মানব সন্তান! তোমরা তোমাদের সেই আগুনের প্রতি মনোযোগী হও যা তোমরা (পাপের মাধ্যমে) প্রজ্জ্বলিত করেছ। সুতরাং তা নির্বাপিত কোরো।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর