আদর্শ সমাজ হলোপারস্পরিক সুসসম্পর্ক, ভালোবাসা, হূদ্যতা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সুষ্ঠুসুন্দর ও শান্তিময় সমাজব্যবস্থা। যেখানে থাকবে না অন্যায়, অবিচার, মিথ্যাচার, প্রতারণা, পরনিন্দা, সুদ-ঘুষ, দূর্নীতি, জুয়া, লটারি, মাদকাসক্তি, ধূমপান, অধিকারহরণ, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, ছিনতাই, সন্ত্রাস, মারামারি, হানাহানি, হত্যা, আত্মহত্যা, যৌতুক, নারী নির্যাতনসহ নৈতিকতাবিরোধী সামাজিক অপরাধ। অন্যদিকে মসজিদ হলো মুসলিম সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু এবং ইসলামের নিদর্শনাবলির অন্যতম স্থান। মহান আল্লাহর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় স্থান মসজিদ। মসজিদে মুসলমানরা দ্বিনের মূলভিত্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকে। ইসলামের মূল ভিত্তি আদায়ের স্থান হিসেবে দ্বিনের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনেও মসজিদের ভুমিকা প্রাসঙ্গিক ও অনস্বীকার্য। রাসুলুল্লাহ (সা.)- ধর্মীয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল...
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে মসজিদের ভূমিকা
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
শপথ ভঙ্গ করলে যা করতে হয়
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
নিজের দাবি ও কথাবার্তা অন্যের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে মানুষ প্রায়ই শপথ করে। ইসলামের দৃষ্টিতে শপথ হতে হবে আল্লাহ তাআলার নামে হয়। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা নিষিদ্ধ ও মারাত্মক গোনাহের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন শপথকে শিরক বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করল, সে শিরক করল। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৫৩৫) তবে বিনা প্রয়োজনে শপথ না করা উত্তম। তথাপি যদি কোনো কারণে করতেই হয়, তাহলে তা হতে হবে কেবল আল্লাহর নামে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নিজেদের বাপ-দাদার নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। যদি কারো শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামেই শপথ করে, নচেত্ চুপ থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪০১) অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.)...
উম্মুল বাহা ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (রহ.) হাদিসের জগতে এক প্রবাদপ্রতিম নাম
আলেমা মারিয়া মিম
ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই নারীরা নিজেদের ঘর-সংসার ও পর্দা রক্ষার পাশাপাশি শিক্ষা-দীক্ষার প্রতিও সচেতন ছিলেন। ইলমী চেতনার এই আলোর দীপশিখা প্রজ্জ্বলিত ছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী। সেই ধারাবাহিতায় ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ বিন আবু সাইদ আহমদ বিন হাসান বিন আলি বিন আহমদ আল বাগদাদি (রহ.) এর নাম। যিনি উম্মুল বাহা আল ইস্পাহানি নামেও পরিচিত। তিনি খুব সুন্দর ভাষায় উপদেশ দিতেন, স্বীয় যুগের মুসনিদাহ, অধিক হায়াতের নেয়ামতপ্রাপ্তা ও প্রসিদ্ধ শায়েখা ছিলেন। ৪৪০ হিজরি পর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর হাদিসের জ্ঞানচর্চার ব্যাপারে ইবনে সামআনি বলেন, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (রহ.) ছিলেন একজন নেককার মহিলা। তিনি মূলত হাদিস শ্রবণ ও গ্রহণ করেছেন তাঁর পিতা মুহাম্মদ বিন আহমদ (রহ.) থেকেই। তবে তিনি এতটাই দীর্ঘ হায়াত পেয়েছিলেন যে, একসময় এসে তাঁর পিতার হাদিসের শিষ্য...
আল্লাহর সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ কোনটি?
মুফতি আহমদ আবদুল্লাহ
আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নেয়ামতের মাধ্যমে তার বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। এসব নেয়ামত মূলত তিনভাগে বিভক্ত। তা হলো : ক. সৃষ্টি সম্পর্কিত নেয়ামত, খ. সাহায্য সম্পর্কিত নেয়ামত, গ. হেদায়াত সম্পর্কিত নেয়ামত। আর এসব নেয়ামতের মধ্যে ইসলাম সর্বাপেক্ষা বড়। যা দিয়ে যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা নবী-রাসুলদের প্রেরণ করেছেন। প্রেরিত নবী ও রাসুলদের নেতা মুহাম্মাদ (সা.)-কে সব মানুষের নিকট পাঠিয়ে তিনি নবুওয়াতের ইতি টেনেছেন। প্রত্যেক নবী ও রাসুলকে আল্লাহ তাআলা তিনটি বিষয় প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা হলো, ১. মানুষের কাছে তাদের প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা এবং রিজিকদাতার পরিচয় দান করা, যাতে তারা তার ইবাদত, সম্মান ও শুকরিয়া আদায় করতে পারে। ২. মানুষকে তার প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার রাস্তা সম্বন্ধে পরিচয় করানো। আর তা হলো দ্বীন ইসলাম। ৩. মুমিন কাফের আল্লাহর নিকট গমনের পর মানুষের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর