বরগুনায় এক পথশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার পর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিশুটি সদর উপজেলায় আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার আজাহার মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ মাচ) রাত ২টার দিকে পৌরশহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত বৃদ্ধর নাম মোসলেম (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
জানা যায়, পথশিশু ফাহিমার বাবা একজন ভিক্ষুক। মা মানসিক প্রতিবন্ধী। ফাহিমা তার মায়ের সাথে শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো। অপরদিকে অভিযুক্ত বৃদ্ধ মোসলেম হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ঝালমুড়ি বিক্রি করতো। গত কয়েকদিন ধরে ঝালমুড়ি বিক্রেতা ওই পথশিশু ফাহিমাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের চেষ্টা করছে এবং যৌন নির্যাতনের ফলে শিশুটির স্পর্শকাতর জায়গায় জখম হয়েছে এমন গুঞ্জন ওঠে বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিন পাশের গেটের পাশে পথশিশু ফাহিমাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোসলেম। ওই বৃদ্ধর পাশবিক নির্যাতনের ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরে শিশুটি। এরপর তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ভুক্তভোগী শিশুটির সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে। সেই ভিডিও ক্লিপের সূত্র ধরে সদর হাসপাতালে অনুসন্ধান চালানো হয়। যেহেতু শিশুটিকে ভর্তি করা হয়নি তাই রেজিষ্ট্রারে তার কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে হাসপাতালের পঞ্চম তলার একটি ওয়ার্ডে শিশুটির সন্ধান মেলে। এরপর শনিবার (১৫ মার্চ) পুলিশকে জানালে রাত দুইটার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় শিশুটির সঙ্গে তার ছোটবোন ছিলো। একই সময়ে সন্দেহজনক তিনজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেমকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বৃদ্ধ মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছে।