মাঝে মাঝে একটি রাজনৈতিক দলের ছোট সিদ্ধান্ত দলটিকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়। একটি অবস্থানই একটি রাজনৈতিক দলকে দেয় অমরত্ব। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি গত রোববার সেরকম একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই একটি সিদ্ধান্ত বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। গত রোববার (২৩ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে লিখিত মতামতের মধ্যে একটি বিষয়ে বিএনপির অবস্থান গোটা দেশবাসীর হৃদয় স্পর্শ করেছে। দলটি বলেছে, সুপারিশে ১৯৭১ ও ২০২৪ সালকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটি তারা সমুচিত বলে মনে করে না। মহান মুক্তিযুদ্ধকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে বিএনপি এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করলো। মহান স্বাধীনতা দিবসের মাত্র ৩ দিন আগে বিএনপির এই অবস্থান টুপি খোলা অভিনন্দন পাবার যোগ্য। মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। আমাদের গৌরবের মাস। এই মাসে বাঙালি গর্জে উঠেছিল। যার যা কিছু আছে...
সবার উপর একাত্তর, আমাদের স্বাধীনতা
অদিতি করিম

যা দেখছি তা বিশ্বাস হচ্ছে না, যা বিশ্বাস করছি তা ঘটছে না....
গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজানের শেষ সপ্তাহে এই নিবন্ধ লিখতে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছি। যা দেখছি তা বিশ্বাস হচ্ছে না, যা বিশ্বাস করছি তা ঘটছে না। প্রতিদিনই পরস্পরবিরোধী ঘটনার তাড়নায় মাঝেমধ্যে স্মরণশক্তি হারিয়ে ফেলছি, যা আমার অতীত জীবনে কখনো ঘটেনি। বর্তমানে আমি যে কাজকর্ম করছি তা ২০১০-১২ সালের তুলনায় কিছুই না। সেই সময়ে জাতীয় সংসদের সদস্যরূপে মাসে একবার নির্বাচনি এলাকায় যেতাম। দৈনিক কম করে হলেও হাজারখানেক লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হতো। প্রতি মাসেই ব্যবসা উপলক্ষে বিদেশ যেতাম, মাসে ৩০-৩৫টি টক শো, সংসদে হাজিরা, তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রতি সপ্তাহে চারটি লেখার জন্য কমপক্ষে ৭ হাজার শব্দের জোগান মনমস্তিষ্ক থেকে দিতে হতো। উল্লিখিত কর্ম ছাড়াও নিজের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মচারীর নেতৃত্ব প্রদান, সংসারে স্ত্রীকে সাহায্য, তিনটি ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব-...
স্বৈরাচারকে গালি দিয়ে মনের মধ্যেই বসিয়ে রেখেছি স্বৈরতান্ত্রিক স্বভাব
আফজাল হোসেন

আমার দাদা জ্ঞানে গুনে, চলায় বলায় গ্রামে ছিলেন বিশেষ। তিনি আশা করতেন, তাঁর পরিবারের সবার মধ্যে সে বিশেষত্ব যেনো থাকে। সবারই বজায় রাখার মতো যোগ্যতা ছিল, মুশকিল হতো আমাকে নিয়ে। দাদা কি চান, কেনো চান বুঝতে চাইতাম না আমি। বোঝার বয়স তখনও হয়নি- মন যখন যেটা চেয়েছে, করে ফেলতাম। পুকুর ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিতে যাই- পছন্দ করতেন না দাদা। পছন্দ করতেন না লেখাপড়া না করা ছেলেপুলেদের সাথে আমি মেলামেশা, খেলাধুলা করি। অত বেছে গুছে চলার মন ছিল না। ছোট ভাইটাকে সাইকেল চালাতে দেয়া হতো, আমার বেলায় ছিল নিষেধ। সবার ধারণা, সাইকেল পেলে আমি রাস্তায় চালাবো না, চালানোর জন্য নেমে যেতে পারি ক্ষেতের আল পথে। এতদিন পর দাদার কথা মনে হলো, তার কারণ আছে। মনে হলো, এখন দেশ জুড়ে অসংখ্য দাদা গজিয়ে গেছে- সে দাদাজানেরা চায়, তাদের মন ও মত মতো সকল নাতিরা উঠবে বসবে, চলবে বলবে। আমার দাদা ছোট্ট একটা গ্রামের...
গ্রাম বদলে গেছে বদলে যাচ্ছে
আব্দুল বায়েস

২০২৫ সালে গ্রামবাংলায় পা ফেলেই যেন ধাঁধায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। কৈশোরে পাঠ্যপুস্তকে পড়া কিংবা দু-তিন যুগের আগের দেখা গ্রাম আর বর্তমান গ্রামের মধ্যে পর্বতপ্রমাণ পার্থক্য। এই গ্রাম তো ঠিক সেই গ্রাম নয়। পানির কলকল ধ্বনি, বর্ষার জলে টইটম্বুর নদী ও পুকুর, পাখির কলরব, সারি সারি ছনের ঘর, কুপির টিমটিমে আলো ইত্যাদি তেমন আর চোখ পড়ল না। আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে এখন ভরাট হয়ে সোজাসুজি চলছে। মাঠের ধূলাবালিতে গড়াগড়ি, গাছের ডাল থেকে দুঃসাহসিক লাফ, পুকুরে দাপাদাপি ও পানির খেলায় মেতে ওঠার মহোৎসব আগের মতো মূর্তিমান নেই; ঐতিহ্যবাহী হাডুডু, গোল্লাছুট, এমনকি এক্কা-দোক্কা খেলা আধুনিকতার ধাক্কায় যেন কুপোকাত। পতিত জমিতে পাজামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরা মাদরাসার ছাত্র কিংবা খালি গায়ে একদল শিশু ক্রিকেট খেলছে। গ্রাম থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে যাত্রা, পালা, জারিগান ও...