ইংরেজি প্রবচনে আছে ওনলি দ্য ওয়েরার নোজ হয়ার দ্য স্যু পিন্স। সুকতলার পেরেক খোঁচা মেরে পায়ের কী দশা করে তা কেবল ত্রুটিযুক্ত পাদুকা ব্যবহারকারীই টের পায়। যেমন আমি পাচ্ছি গেল কয়েক দিন ধরে। স্মৃতি ঝাঁকাই আর ঝাঁকাই কিছুতেই মনে করতে পারছি না এক নাটকের নাম। অদ্ভুত পরিস্থিতি। নাট্যকারের নাম মনে আছে- কিরণ মৈত্র। তাঁর লেখা নাটকের একটা দৃশ্য নাড়ছে রুমাল পরানের গভীর ভিতরে। অথচ নাটকের নাম মনে পড়ছে না। কী যে অস্বস্তি! নাটকে আছে- বারান্দায় বসে কথাবার্তা বলছে গৃহকর্তার ছোট ছেলে আর তার আট বছর বয়সি ভাইপো। মা কি আর কোনো দিন সুস্থ হবে না কাকু? প্রশ্ন করে ভাইপো। কাকু বলে হবে। সেজন্য ভালো ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার। তা তো করানো যাচ্ছে না। ভাইপো জানতে চায়, কেন করানো যাচ্ছে না। কাকু জানায়, টাকার অভাবে। ভাইপোর প্রশ্ন, টাকার অভাব কেন? কাকু বলে, আমরা গরিব তা-ই। ভাইপোর...
'স্মৃতি ঝাঁকাই আর ঝাঁকাই কিছুতেই মনে করতে পারছি না'
আবু তাহের
অনলাইন ডেস্ক

যা দেখছি তা বিশ্বাস হচ্ছে না, যা বিশ্বাস করছি তা ঘটছে না....
গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজানের শেষ সপ্তাহে এই নিবন্ধ লিখতে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছি। যা দেখছি তা বিশ্বাস হচ্ছে না, যা বিশ্বাস করছি তা ঘটছে না। প্রতিদিনই পরস্পরবিরোধী ঘটনার তাড়নায় মাঝেমধ্যে স্মরণশক্তি হারিয়ে ফেলছি, যা আমার অতীত জীবনে কখনো ঘটেনি। বর্তমানে আমি যে কাজকর্ম করছি তা ২০১০-১২ সালের তুলনায় কিছুই না। সেই সময়ে জাতীয় সংসদের সদস্যরূপে মাসে একবার নির্বাচনি এলাকায় যেতাম। দৈনিক কম করে হলেও হাজারখানেক লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হতো। প্রতি মাসেই ব্যবসা উপলক্ষে বিদেশ যেতাম, মাসে ৩০-৩৫টি টক শো, সংসদে হাজিরা, তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রতি সপ্তাহে চারটি লেখার জন্য কমপক্ষে ৭ হাজার শব্দের জোগান মনমস্তিষ্ক থেকে দিতে হতো। উল্লিখিত কর্ম ছাড়াও নিজের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মচারীর নেতৃত্ব প্রদান, সংসারে স্ত্রীকে সাহায্য, তিনটি ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব-...
ডাকাত মেজবানি চায় না, লুটতে চায়
ফারুক ওয়াসিফ

বিয়েবাড়িতে খুনী-ডাকাতদের দাওয়াত দেওয়া আর নির্বাচনে দেশবিরোধীদের সামিল করা সমান কথা। ডাকাত মেজবানি চায় না, লুটতে চায়। যে দল ৩ টা নির্বাচন চুরি করেছে, সে কি ইলেকশন চায়? ইলেকশন হতে দেবে? সুষ্ঠু নির্বাচনে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করা তার স্বার্থবিরোধী। বরং সে বাইরের মদদে নির্বাচন লন্ডভন্ড করবে। বিদেশি হস্তক্ষেপ ডেকে আনবে। ইনক্লুসিভিটির নামে আমরা এই ফাঁদে পা দিতে পারি না। অন্যদিকে, দল নিষিদ্ধ করেও লাভ হয় না। আপনারা একটা বা দুটা নির্বাচনে তাদের নিষিদ্ধ করলে সুন্দর ফল পাবেন। তবে আমার চরম বিষ্ময় অন্য জায়গায়, যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম কেন যে নাই! তারা তো বলে নাই, আমাদের সুযোগ দেন, ক্ষমা দেন ইত্যাদি। তারা আপনাদের খুন করতে বলছে এবং করছেও। বাড়ি জ্বালাতে বলছে এবং করছেও। তারা সরকার উৎখাতে বিদেশি শক্তির সাথে মিলে রাজাকারি করছে। তাই,...
স্বৈরাচারকে গালি দিয়ে মনের মধ্যেই বসিয়ে রেখেছি স্বৈরতান্ত্রিক স্বভাব
আফজাল হোসেন

আমার দাদা জ্ঞানে গুনে, চলায় বলায় গ্রামে ছিলেন বিশেষ। তিনি আশা করতেন, তাঁর পরিবারের সবার মধ্যে সে বিশেষত্ব যেনো থাকে। সবারই বজায় রাখার মতো যোগ্যতা ছিল, মুশকিল হতো আমাকে নিয়ে। দাদা কি চান, কেনো চান বুঝতে চাইতাম না আমি। বোঝার বয়স তখনও হয়নি- মন যখন যেটা চেয়েছে, করে ফেলতাম। পুকুর ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিতে যাই- পছন্দ করতেন না দাদা। পছন্দ করতেন না লেখাপড়া না করা ছেলেপুলেদের সাথে আমি মেলামেশা, খেলাধুলা করি। অত বেছে গুছে চলার মন ছিল না। ছোট ভাইটাকে সাইকেল চালাতে দেয়া হতো, আমার বেলায় ছিল নিষেধ। সবার ধারণা, সাইকেল পেলে আমি রাস্তায় চালাবো না, চালানোর জন্য নেমে যেতে পারি ক্ষেতের আল পথে। এতদিন পর দাদার কথা মনে হলো, তার কারণ আছে। মনে হলো, এখন দেশ জুড়ে অসংখ্য দাদা গজিয়ে গেছে- সে দাদাজানেরা চায়, তাদের মন ও মত মতো সকল নাতিরা উঠবে বসবে, চলবে বলবে। আমার দাদা ছোট্ট একটা গ্রামের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর