ভোটের হার ১০ বা ২০ শতাংশ হলেও আইনত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে ধরে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে জড়িত হওয়া ইসির কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সারা দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কারা সহিংসতা করছে জানি না।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ভোট আরও প্রতিযোগিতামূলক হত বলেও জানান তিনি।
সিইসি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মানদণ্ড অনুসারে আমাদের আইন রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু আমরা যেভাবে বলি, সেভাবে নির্বাচন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয় না।
‘আমরা চাই, আমাদের নির্বাচন কেবল দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে’. যোগ করেন হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ভোট চুরি, কারচুপি হলে কিছুটা দায়ভার আমাদের ওপরে বর্তায়। আমাদের মতো রিটার্নিং কর্মকর্তাও কেন্দ্রে থাকবেন না। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্রের ভেতরে কোনো অনিয়ম হলে দেখভাল করবেন। অনিয়ম ঠেকানো, নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাদেরই মূল দায়িত্ব।
ভোটের দিনের নানা বিষয় নিয়ে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভোট শুরু হবে সকাল ৮টায়, শেষ হবে বিকেল ৪টায়। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন থাকলে ভোট শেষ হতে আরও দেরি হতে পারে। অর্থাৎ যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের ভোট দেওয়া শেষ হলেই ভোট বন্ধ হবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট রাখার অনুরোধ করছি, যেন ভোটাররা ভোটদানে বাধাগ্রস্ত না হন।
এসময় নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
news24bd.tv তৌহিদ
