রাজনীতিতে এখন প্রতিহিংসা, আক্রমণ, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অসহিষ্ণু প্রবণতা বেড়েছে ভীষণ। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ যেন লোপ পেয়েছে। রাজনীতির মাঠে এখন কুৎসিত নোংরামী এবং কাদাছোড়াছুড়ির জয়জয়কার। সহনশীলতা শব্দটি যেন আজ বিলুপ্ত। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা, এমনকি প্রয়াত ব্যক্তিদের অসম্মান করার একটা রীতি আতঙ্কজনকভাবে বেড়ে গেছে। কিন্তু এটি প্রকৃত রাজনীতি না। এটা রাজনীতির শিক্ষাও নয়। রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল। রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা সমাজের আদর্শ। তাঁরা সমাজকে পথ দেখান। একটি রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে তার পথনির্দেশ নির্মাণ করেন। কাজেই রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দেশের জনগণ শিখবে এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের রাজনীতি এখন যেন প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতা, ভিন্নমতকে খতম করাই যেন আজকের রাজনীতির...
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
অদিতি করিম

জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, রাষ্ট্রের একটি প্রধান নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে, শুধুমাত্র একটি সামরিক প্রতিষ্ঠান নয় বরং জাতীয় অস্তিত্বের এক অপরিহার্য প্রতীক। এর মূল চেতনা বাংলাদেশের নিজস্ব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গঠিতএকটি চেতনা যা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাণ পেয়েছিল। এই সশস্ত্র বাহিনী আত্মপ্রত্যয়ী, গণমুখী এবং সর্বোপরি একটি জাতীয় চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান, যা দেশপ্রেম, ত্যাগ ও কর্তব্যবোধকে শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে ধারণ করে আসছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শিকড় মূলত গাঁথা জাতীয়তাবাদী চেতনার মাটিতে। ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, সশস্ত্র বাহিনীর আত্মপ্রকাশ একটি স্বাধীন জাতিসত্তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রামের অংশ ছিল। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে শহীদ জিয়াউর রহমানের...
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক

আমার আজকের নিবন্ধটি মূলত তাদের জন্য, যারা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে একদম দুচোখে দেখতে পারেন না। জিয়ার নাম শুনলে যাদের গা-জ্বালা করে অথবা যাদের শরীর-মনে প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা এবং ঈর্ষার দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে তারাও আজকের নিবন্ধ থেকে কিছুটা শান্তির পরশ পেলেও পেতে পারেন। যারা চান বাংলাদেশের মাটিতে জিয়াউর রহমান নামে যে কেউ ছিল সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে অথবা জিয়াকে মানুষের মনমননশীলতা এবং চিন্তা থেকে চিরতরে বিদায় করে দেওয়ার জন্য, যারা নিরন্তর উল্টাপাল্টা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তারা ইচ্ছা করলে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মপদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছালেও পৌঁছাতে পারেন। জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য আপনি মহামতি আলেকজান্ডারকে অনুসরণ করতে পারেন- যিনি তাঁর জাদুকরী প্রতিভা দ্বারা হাজার...
প্রফেসর ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে আবু সাঈদের প্রতিকৃতি দিলেন না কেন?
সুমন রহমান

কারণটা চাণক্য বলে গেছেন: সোজা গাছ আগে কাটা পড়ে। আবু সাঈদের প্রতিকৃতি দিলে সোজাসাপ্টা হিরোইজম হইত, কিন্তু কূটনীতি জটিল জায়গা। ভারত চাণক্যনীতি অনুযায়ী চলে। তাকে তার গ্রামার দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। ইউনূস কূটনীতি করছেন, হিরোইজম না। তাঁর লক্ষ্য, ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনা। সেই মেকানিজম করার জন্য তাঁকে চাণক্যের মান্ডালা থিওরি (তোমার পাশের দেশ যদি বৈরীভাবাপন্ন হয়, তবে তার পাশের দেশ তোমার বন্ধু) আর নবীজীর পরামর্শ মোতাবেক সুদূর চীনদেশ যাইতে হইছে। ভারত কেন আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হইল? কারণ, এখানে প্রফেসর ইউনূস কৌটিল্যের দ্বৈতনীতি এস্তেমাল করছেন। একদিকে চীনের সাথে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতেছেন, আবার পাইপলাইনে পাকিস্তানও আছে। আর ভারতের দিকে বাড়ায়ে দিছেন ভূরাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার হাত। ফলে ভারতের পক্ষে রাজনৈতিক দূরত্ব ঘুচানো ছাড়া...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর