তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের সব প্রার্থীই পরাজিত হয়ে জামানত হারানোর ভয়ে আছেন

তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের সব প্রার্থীই পরাজিত হয়ে জামানত হারানোর ভয়ে আছেন

অনলাইন ডেস্ক

নতুন নিবন্ধিত দুটি দল তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) আলাদা আলাদাভাবে স্বপ্ন দেখেছিল এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হবে। কিন্তু এ দুটি দলের কোনো প্রার্থীই নির্বাচনে বিজয়ী হননি বরং কেউ কেউ জামানত হারানোর ভয়ে আছেন।

নির্বাচনের মাঠে তৃণমূল বিএনপির পক্ষে ১৩৫ প্রার্থী লড়েছেন। কিন্তু কেউই দাঁড়াতে পারেননি।

অন্যদিকে বিএনএম ৫৩ আসনে প্রার্থী দিলেও কেউ জিততে পারেননি। এ দুদলের প্রার্থীরা নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেননি। অথচ এ দুটি দলের জন্মই হয়েছিল এবারের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীরা জিতে এমপি হবেন।

প্রয়াত মন্ত্রী নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর মেয়ে অন্তরা হুদা।

তাঁকে সরিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দলের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি হন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী, যিনি আমলা থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছিলেন। রাজনীতি শুরু বিএনপি দিয়ে। পরে যোগ দেন বিকল্পধারায়। এরপর তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হন এবার সিলেট-৬ আসনে।  
এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সোনালী আঁশ প্রতীকের শমসের মুবিন চৌধুরী ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারেরও একই অবস্থা। একসময় বিএনপি করতেন। এবার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু ভোট পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট।

সারা দেশের তৃণমুল বিএনপি ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দিলেও বেশ কয়েকজন প্রার্থী ১০০ ভোটেরও কম পেয়েছেন। যেমন নাটোর-৪ আসনে দলটির প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার পেয়েছেন ৭২ ভোট।

একই অবস্থা বিএনএমের ক্ষেত্রেও। ৫৬ আসনে দাড়ানো কোনো প্রার্থীই  জিততে পারেননি।  বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে প্রার্থী হন। এই আসনে ভোট প্রাপ্তির হিসাবে তিনি তৃতীয় হয়েছেন।

বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহ্‌জাহান চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪ ভোট। ভোটের হিসাবে তিনি চতুর্থ হয়েছেন। এদলেরও কোনো কোনো প্রার্থী ১০০ ভোট ও পাননি।

news24bd.tv/ডিডি