ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি সামান্য প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬৫২ কোটি ২৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৪৩ শতাংশ বেশি। ইউরোপে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ১.১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও, তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক তুরস্ক এ সময়ে ৫.৫৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকট যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ জ্বালানি খরচও এই খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউরোপে আমাদের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা...
ইউরোপের বাজারে চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প
অনলাইন ডেস্ক
৪৩ বিলিয়ন ঋণের ফাঁদে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে বড় বড় মেগা প্রকল্পের নামে নেওয়া বিদেশি ঋণ এখন দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সরকারের আমলে বাস্তবায়িত ২০টি মেগা প্রকল্পের জন্য নেওয়া ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল না আসায় ঋণ পরিশোধের চাপ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ২০২৩ সালের শ্বেতপত্র অনুযায়ী, ২০২৮ সালে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের পরিমাণ তিন গুণে পৌঁছাবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে, যা রাজস্ব আহরণ ও রেমিট্যান্স আয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে চাপ আরও বাড়াবে। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০টি মেগা প্রকল্পে নেওয়া ঋণের বড় অংশ রাশিয়া (৩৬.৬%), জাপান (৩৫%),...
কারখানা বন্ধের হিড়িক, লাখো কর্মী ছাঁটাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার পরিবর্তনের পর গত কয়েক মাসের মধ্যে বড় ধরনের আঘাত এসেছে তৈরি পোশাক খাতে। গভীর সংকটে দেশের তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল ও নিট পোশাক খাত। ফলে উদ্বিগ্ন শিল্প মালিকরা। শিল্প মালিকরা বলছেন, জ্বালানির সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ ও ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলতা এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে গত এক বছরে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার ও টেক্সটাইলশিল্পের ১৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে ৭৬টি, নিট খাতে ৫০টি এবং টেক্সটাইল খাতের ১৪টি কারখানা রয়েছে। এক বছরে ১৪০টি কারখানার মোট ৯৪ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন বলে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। সম্ক্রতি বেক্সিমকো গ্রুপ তাদের ১৫টি পোশাক কারখানার প্রায় ৪০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। সব মিলিয়ে বন্ধ ১৫৫ কারখায় এক লাখ ৩৪ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ,...
চাকরি হারিয়ে দিশাহারা বেক্সিমকোর ৫০ হাজার শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাটির চুলায় রান্না চলছে। বঁটি দিয়ে শাক কাটছেন মা। এ সময় তাঁর কাছে চকোলেট কিনে দেওয়ার বায়না ধরল সাত বছরের ছোট মেয়ে। মা মিথ্যা গল্প শুনিয়ে মেয়েকে ভোলানোর চেষ্টা করলেন। মিথ্যা প্রবোধ দিতে গিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়াল চোখ থেকে। নীরব বেদনার এই দৃশ্যপটে জ্বলজ্বল আচমকা চাকরি হারানোর নির্মম বাস্তবতা। চিত্রটি গাজীপুরের মামুন নগরটেকের বাসিন্দা মালা রানীর উঠানের। কিছুদিন আগেও স্বামীহারা এই নারীর একরকম চলে যাচ্ছিল সংসার। এখন তিনি নিরুপায়। স্বামীর অকালমৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন মালা। কাজ নেন পতিত সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কারখানায়। লুটপাটের কারণে বেক্সিমকোর শিল্প-কারখানা বন্ধ হওয়ায় তিনি এখন বেকার। আয় না থাকায় এখন জীবনযুদ্ধে দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর টিকে থাকাই দায়। মেয়েটি চকোলেটের কথা ভুলে খেলতে যাওয়ার পর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর