আল্লাহর ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম ঘর কাবা। কাবাঘর পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানিত স্থান। পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করে। কোরআন ও হাদিসে কাবাঘরের একাধিক নাম, গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। কাবাঘরের সম্মান ও মর্যাদা পবিত্র কাবাঘর আল্লাহর অনন্য নিদর্শন এবং তা হাজরে আসওয়াদ, জমজম কূপ ও মাকামে ইবরাহিমের মতো নিদর্শনকে বুকে ধারণ করে আছে। আল্লাহ কাবাঘরকে নিরাপদ ঘোষণা করেছেন এবং এই পবিত্র ঘরের হজ ফরজ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য। যে প্রত্যাখ্যান করল সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭) রাসুলুল্লাহ...
পবিত্র কাবাঘরের নাম ও বৈশিষ্ট্য
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

জান্নাতে আল্লাহর দিদার লাভের ৬ আমল
আসআদ শাহীন

আল্লাহ তাআলাকে নিজ চোখে দেখা মহা সৌভাগ্যের বিষয়, যা পরকালে মুমিনদের জন্য নির্ধারিত। জান্নাতের অফুরন্ত সুখ-সুবিধা ও অনাবিল আনন্দের মধ্যেও আল্লাহর দিদার হবে এমন এক পরম আনন্দ, যা জান্নাতবাসীরা অন্য সব আনন্দ ভুলে যাবে। আসুন, জান্নাতে আল্লাহর দিদার লাভের কিছু আমল জেনে নিই প্রথম আমল: ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করা আল্লাহর দিদার লাভের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো, একজন ব্যক্তি ইসলামের অনুসরণে থেকে মৃত্যুবরণ করবে। কারণ, অবিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহর দিদার হারাম করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, কখনো নয়! বস্তুত তারা সে দিন তাদের প্রতিপালকের দিদার (দর্শন) থেকে বঞ্চিত থাকবে। (সুরা আল মুতাফফিফীন, আয়াত- ১৫) অর্থাৎ গুনাহ ও কুফরির জন্য তাদের কঠিন শাস্তি হলো, তারা কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার দিদার থেকে বঞ্চিত হবে। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে মুমিনরা কেয়ামতের দিন আল্লাহ...
নবীযুগের প্রখ্যাত কারি উবাই ইবনে কাব (রা.)
মাওলানা মুহিউদ্দীন হাতিয়ূভী

নবীজি (সা.)-এর বিশেষ প্রতিভাবান সাহাবিদের একজন সাইয়্যিদুল কুররা উবাই ইবনে কাব (রা.)। তাঁর নাম উবাই। উপনাম আবু মুনযির ও আবুত তুফাইল। প্রথমটি দিয়েছেন রাসুল (সা.) এবং দ্বিতীয়টি হজরত উমর (রা.)। উপাধি সাইয়্যিদুল কুররা (প্রধান কারি)। বংশীয় দিক থেকে তিনি মদিনার বিখ্যাত খাজরাজ গোত্রের বনু নাজ্জার শাখার সন্তান। তাই তাঁকে নাজ্জারি বলা হয়। ইসলামী পরিচয়ে তাঁকে আনসারি বলা হয়। বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে বদরি বলা হয়। ইলমে কিরাআতে অগাধ দক্ষতার কারণে সাইয়্যিদুল কুররা ও মুকরি বলা হয়। প্রসিদ্ধ সাহাবি আবু তালহা আনসারি (রা.) তাঁর মামাতো ভাই। (সিয়ার আলামিন নুবালা : ১/৩৮৯-৩৯০; উসদুল গাবাহ ১/৬১) ইসলাম-পূর্ব জীবন ও ইসলাম গ্রহণ হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে ইসলাম-পূর্ব জীবনে মদিনায় ইহুদিদের অন্যতম ধর্মগুরু গণ্য করা হতো। প্রাচীন আসমানি কিতাবসমূহের জ্ঞানও ছিল তাঁর। সে যুগে...
জাহেলি আরবে যেসব মূর্তির পূজা হতো
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

লাত ও উজ্জা ছিলো কুরাইশের দুই দেবতা। কুরাইশের লোকেরা ঘুমানোর আগে লাত ও উজ্জার পূজা করতো, (মুসনাদে আহমাদ, খ. ৪, পৃ. ২২২) এ-দুটির নামে কসম খেতো। হজের সময় তারা মানাতকে ঘিরে তাওয়াফ করতো। (মুজামুল বুলদান, আল-উজ্জা ভুক্তি)সুরা নুহ-এর ভেতর যেসব মূর্তির কথা বলা হয়েছে আরবের বিভিন্ন গোত্র এগুলোর পূজা করতো। ওয়াদ্দ ছিলো দুমাতুল জান্দালে বনি কালবের দেবতা। সুওয়াআ ছিলো হুজাইল গোত্রের দেবতা। মুরাদ ও বনি গাতফানের গোত্রগুলোর দেবতা ছিলো ইয়াগুস। ইয়াউক পূজিত হতো হামদান গোত্রে। নাসর ছিলো হিময়ারি জুল কালা গোত্রের উপাস্য। (সহিহ বুখারি, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির ) শামে পূজা করা হতো বায়াল-এর। (তাফসিরে বায়জাবি, সুরা সাফফাতের তাফসির) মূর্তির নাম বিশ্লেষণ লাত : আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) ও অন্যদের থেকে বর্ণিত হয়েছে যে লাত শব্দটি থেকে এ নিষ্পন্ন, এর অর্থ হলো সংমিশ্রণ। আরবে একজন লোক...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর