ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরামরা খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলেম-ওলামা সমাজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন, সে বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের পক্ষ থেকে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে সরকারি বাসভবনস্থ সভাকক্ষে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আলেম-উলামারা আমাদের সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। তারা সকলেই অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ। সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উলামায়ে কেরামদের মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও উন্নয়ন-অগ্রগতিকে গতিশীল রাখতে আলেম-উলামা সমাজের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কোন কুচক্রী মহল যাতে আলেম-উলামাদের বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হুছামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওলামায়ে সমাজ প্রধানমন্ত্রীর সাথেই আছে সে বিষয়ে ওলামায়ে কেরামদের পক্ষ হতে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে। এছাড়া, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট উলামায়ে কেরামদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলম, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন, দারুল উলুম রামপুরা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার সালেহীসহ দেশের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামরা উপস্থিত ছিলেন।
news24bd.tv/আইএইচ/আইএএম
