শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগে দেশের কিছু জায়গায় সহিংসতা করছে দুষ্কৃতকারীরা। বেড়েছে ডাকাতি আতঙ্কও। ছোটপর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক ডাকাতি রুখতে ছিলেন পাহাড়ায়। সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছেন এ বিষয়ে পোস্ট কিংবা ভিডিও।

আজ বৃহস্পতিবার চমক ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'সরি, ওনাদের একটা প্লানও ঠিক করে কাজে দিচ্ছে না ! প্রথমে মন্দিরে আক্রমণ, পরে সারাদেশে একযোগে ডাকাতির আতঙ্ক !!! সবকিছুই আমরা প্রতিহত করে দিচ্ছি ,সবাই মিলে। ' 

এর আগে লাইভে এসেই প্রথমে তিনি চমক বলেন, 'ক্যাপশন দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কী বলবো? আমি লিখেছি আপনারা আর কতো নিচে নামবেন? আমি আমার লাইভে বলেছি, উত্তরা বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে! আর্মিরা এসছে এবং ডাকাতরা ধরাও পড়েছে। আমরা সেইফ।

ডাকাতদের প্রতিহত করার বিষয়ে তিনি জানান, 'আর্মি আসার আগেই আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে দা বটি নিয়ে ডাকাতদের রুখে দিয়েছি। আমরা আর্মিদের হট লাইনের নাম্বার পাচ্ছিলাম না। আমি লাইভ করার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মাথায় আর্মি চলে এসছে। উই আর সেইফ নাও। '

মূলত এ অভিনেত্রী যে কারণে খেপেছেন। তার ব্যাখ্যা দিলেন লাইভের মাঝামাঝি সময়ে এসে। তিনি খুব রাগতস্বরেই বলছিলেন, 'কিন্তু লাইভের কমেন্টে আপনারা কি কমেন্ট করছেন! যে, স্বাধীনতা এজনয় করো, স্বাধীনতার ফল এটা!'

অভিনেত্রী চমক বাজে কমেন্টকারীদের উদ্দেশ্যে একটি তথ্য শেয়ার করে বলেন, 'আপনাদের একটা ইনফরমেশন দেই, যেসব ডাকাতরা ধরা পড়েছে, তারা স্বীকারক্তি দিয়েছে যে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা ভাড়া করেছে ডাকাতি করার জন্য, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য। '

আজেবাজে কমেন্টকারীদের প্রতি কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, 'যারা যারা নির্লজ্জের মতো এখানে এসে কমেন্ট করতেসেন যে, আপনাদের নেত্রী ভেগে গেসে, তাই দেশে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে। ছাত্ররা আন্দোলন করসে, ছাত্ররা এখন কোথায়, স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে ডাকাতি করবে। এতো নিচে নামেন কিভাবে আপনারা?'

নিজ দেশ ও দেশের সম্পদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝাতে গিয়ে অভিনেত্রী চমকের ভাষ্য ছিল, 'আপনারাই অরাজকতা তৈরি করতেসেন, আপনারাই হাসাহাসি করতেসেন, এগুলা কী? এটা তো আমাদের দেশ। ভাই, এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে কেন খেলতেসেন আপনারা? আপনাদের লজ্জা করেন না?

প্রত্যেকেই আমাদের দেশের মানুষ। এগুলা সব আমাদের দেশের সম্পদ। আপনারা জাস্ট এগুলা নষ্ট করতেসেন দল বিভেদ করার জন্য? দলীয় কোন্দল করা জন্য?'

লাইভের শেষের দিকে ১৯৭১ এ স্বাধীনতা পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি এভাবে, 'আজকে পুরো এলাকার প্রত্যেকটা মানুষ রাস্তায়। কেউই ঘুমাতে পারতেসে না। আমরা আগে থেকেই টহল দিচ্ছিলাম পুরো উত্তরাতে।

আপনারা যার হাসাহাসি করতেসেন, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেসেন। তাদেরকে বলি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরেও দেশের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। প্রশাসন এ্যাক্টিভ হতে, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কন্ট্রোলে আনতে একটু সময় লাগে। '

পরিশেষে এই অভিনেত্রী আহ্বান জানান, 'এই ধরনের কথা না বলে, দেশে অরাজকতা তৈরি না করে, মানুষের জন্য থ্রেট না হয়ে, সবার একসাথে দেশের জন্য কাজ করেন। প্লিজ। অনেক হইসে। থামেন এবার। '

news24bd.tv/TR