সুফি শিল্পী ও সাধক রনি আহম্মদের ইন্টারভিউ ( ইন্টারগ্যালাক্টিক ব্লুপ্রিন্ট / দ্বিতীয় পর্ব )

[ Shrine of Hazrat Taslima Begum (RA); 2024 ]

নিয়েছেন তত্ত্ব সমালোচক ইমরান ফিরদাউস

সুফি শিল্পী ও সাধক রনি আহম্মদের ইন্টারভিউ ( ইন্টারগ্যালাক্টিক ব্লুপ্রিন্ট / দ্বিতীয় পর্ব )

অনলাইন ডেস্ক

[ অনেক বছর আর দুইটা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের পর আবার মুখোমুখি বসার সুযোগ হলো রনি আহম্মদের সাথে; তার আপন নিবাসে। এর মধ্যে অনেক নদীর মরুপটে সাইলেন্ট ভাস্কর্য হয়ে গেঁড়ে বসেছে কতিপয় লোহার ব্রিজের মহাসড়ক; যার পেট চিঁড়ে দিয়ে ধাইধাই করে বয়ে যাচ্ছে হাইস্পিডের যানবাহন। উন্নয়নের মহালয়া। দশ বছর আগে রনি আহম্মদের এক কসমিক ইন্টারভিউ এ রত হইছিলাম।

এইক্ষণে আইসা উনার বক্তব্যে আমি বুঝলাম ডিজিটাল সময়ের বাহনে চেপে একটি অবিকশিত নিওলিবারেল সমাজ অংশীদার হয়ে গেছে তার অভিহিত “ইন্টারগ্যালাক্টিক“ প্রপঞ্চের। কীভাবে ঘটনাটা ঘটে গেলো তারই খোঁজখবর নেওয়ার কোশেশ জারি থাকবে তিন পর্বে প্রকাশিতব্য এই ইন্টারভিউয়ে। সেলাম। – ইমরান ফিরদাউস ]

ই: নেচারকে কনফ্রন্ট করাটাই তো বিপদের কারণ হয়ে গেছে আজকে।

‘তোমাকে মানুষ করব’ এর যে কনসেপ্ট- এক মানুষ যে আরেক মানুষকে গ্রুমিংয়ের নামে যা বানাচ্ছে, এই যে আমাদের বাংলাদেশেও, সমাজে, পরিবারে আছে…
র: হ্যাঁ (হাসি)। মানুষ করব কিন্তু মানুষের কনসেপ্ট তো জানে না।
ই: না। আমাকে শুধু অমানুষ করতেছে। আমাকে মানুষ করাটা তার একটা অমানুষিক প্রকল্প।
র: ওই যে অ্যানিমেল একটা ছবি বের হইছে না, ইন্ডিয়ান। তো ওরকম হয়ে যাচ্ছে, মানুষ করতে গিয়ে অ্যানিমেল হয়ে যাচ্ছে। মানুষের কনসেপ্ট তো বুঝতে হবে, মানুষ কাকে বলে। মানুষের কনসেপ্ট যদি হয় যে ৩ লাখ টাকা বেতন আর পয়সাপাতি, চকচকে জীবনযাপন, হাইফাই লাইফ বা একদম মিডল-ক্লাস লাইফ আবার একটা বিলিয়ন লাইফ—এগুলা যদি মানুষের কনসেপ্ট হয় তো এটাতো মানুষ হল না। এটা হল একটা সিস্টেম। আপনি মানুষকে তো সিস্টেম হতে বলতে পারেন না।
ই: মানুষ নিজেই তো সকল সিস্টেমের আধার। এ দুনিয়াটা যে সিস্টেমে চলে…
র: মানুষ হবে ক্রিয়েটিভ, মানুষ হবে সিমপ্যাথেটিক। একটা মানুষকে এভাবে ইয়া করা হচ্ছে, তুমি যা-ই ইনকাম কর, যা-ই তুমি অর্জন কর, শান্তিতে থাক। মানে ওটা নিয়ে তুমি চলার চেষ্টা কর। বাড়াবাড়ি করো না, আর সবসময় তুমি দানে থাকবা। সবসময় দান-খয়রাত করবা। কারণ তুমি যে টাকাটা অর্জন করছো, এটা শুধুমাত্র তোমার না। এ টাকাটা অন্যের রিযিক থেকেও নেয়া হইছে।
ই: হ্যাঁ।
র: কারণ ইকোনমিক্সের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি, সবকিছু পরনির্ভরশীল, না? এক বস্তা চাল যখন বাসায় আসে, এখানে অনেকগুলা লোকের মাধ্যমে আসতেছে। তো আমি অনেকের উপর নির্ভর করে পাচ্ছি, আমি কিছু কাগজের জিনিস দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু ওই লোকটা আবার আরেকটা লোকের উপর নির্ভর করছে। এভাবে করে করে সবার রিযিক থেকে আমি খাচ্ছি। হ্যাঁ, হক থেকে নিচ্ছি। সবার হক থেকে তো, আমার টাকায় সবার হক আছে। আবার যে কারো টাকায় যে কারো হক আছে। কারণ এটা কম্বাইন্ড। ওই জন্য আল্লাহ বলছে দান-খয়রাত, যাকাত করতে। তাইলে হকটা তখন লিগালাইজড হবে।
ই: হক দুই রকমের। হাক্কুল্লাহ, মানে আল্লাহর হক। নামাজ-কালাম পড়তে হবে, তার নাম মুখে রাখতে হবে, তাকে স্মরণ করতে হবে। আরেকটা হচ্ছে হাক্কুল ইবাদ। এটা হচ্ছে তার বান্দার হক। বান্দাও আবার হাক্কুল্লাহ হয়ে যাইতে পারে। বান্দার রূপে যদি সে হাজির হয়, তাহলে হাক্কুল ইবাদও হাক্কুল্লাহ। আপনার কথাই সম্পূরক অর্থে বললাম আরকি। ইন এনি সেন্স, দান-খয়রাতের মধ্যে থাকতে হবে।
র: তো আপনার ব্যাপারটা হচ্ছে যে, ইসলামের প্রসেসটা কিন্তু অনেক ইগোলেস। এখানে আপনার কোন আমিত্ব নাই, এখানে সবাই মিলে। এই যে ধরেন, সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য আল্লাহ নামাজটা দিছে, একটা বিলিওনিয়ার-মিলিওনিয়ায়রের পাশেও একটা ট্রাক ড্রাইভার দাঁড়াচ্ছে। দুজনেই কিন্তু আল্লাহর কাছে অবনত হচ্ছে। এই জিনিসটা কিন্তু খুবই রেয়ার একটা জিনিস। এটা দেখা যায় না, এটা কমিউনিটি। এবং এটার যে একটা শেয়ারিং টেন্ডেন্সি আছে, ইসলামে একটা শেয়ারিং টেনডেন্সি সব জায়গায়, যেমন আরবে একটা থালায় সবাই খায়। জিনিসটা ভাল কিন্তু।
ই: হ্যাঁ, মানে এনার্জিটাও শেয়ার করে কিন্তু।
র: এনার্জি শেয়ার করে। তারপর বুঝতে পারে একের কথা একে।
ই: এবং পাশের মানুষের উপর নজর রাখতেছে, আমি কতটুক খাচ্ছি সে কয় লোকমা খাচ্ছে। আমার পেট ভরলে তারও পেট ভরলো কিনা।
র: এবং দেখেন ওরা যতই প্রো-আমেরিকান প্রো-ইয়া হোক, একটা জিনিস করতে পারছে, নিজেদের স্বার্থ কিন্তু দেখতে পারছে ওরা। কারণটা কি? কারণ এক থালায় খায় ওরা, সবাই মিলে। আফ্রিকানরা এটা করতে পারে নাই। তাদেরটা নিয়ে চলে গেছে।
ই: আফ্রিকানদেরটাই তো ওরা নিয়ে চলে আসছে।
র: কারণ আফ্রিকানরা মূলত প্রাকৃতিক, মানে ওরা এখনো প্রকৃতি থেকে বেরোতে পারে নাই। প্রকৃতির যে ন্যাচারাল ইয়ে, মানে আল্লাহ-প্রদত্ত খাবার ছাড়া ওরা নিজেরা যে করে খাবে, ওই জিনিসটা তাদের মধ্যে এখনো গ্রো করে নাই। কারণ তারা ছিল সিংহের সাথে, তারা ছিল জেব্রার সাথে, এখনো আছে। তো ওরা দেখছে গাছ থেকে এভাবে পাড়তে হয়। কিন্তু ওটাকে যে বুদ্ধি করে এভাবে এভাবে করতে হবে, গাছ লাগাতে হবে—এটা ওদের মধ্যে ছিল না। তারা ওইজন্য সাফার করছে। কিন্তু আরবে কিছুই ছিল না। আরও হচ্ছে শূন্য, বালি খালি। তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করে আবার মিল-মোহাব্বত করে এভাবে ইয়া করেছে। আর রাসূলের এরা এখনো সংঘবদ্ধ আছে। ওইজন্য শয়তানের প্রভাবটাও বেশি ওখানে জানেন। লাইট অ্যান্ড ডার্কের খেলা খুব কড়া ওই জায়গাতে। যেমন ইসলামের শান্তি আছে তেমন শয়তানিও আছে। দুইটা একসাথে চলতেছে। খাড়া খাড়া। হা হা হা। তো এরকম আরকি, লাইট যেখানে আছে ডার্কনেসও সেখানে জায়গা করবে। বাংলাদেশের মেইন প্রাইড কী? এটাতো বুঝতে হবে। এটাতো জানে না, মানে বলতে চায় না। বাংলাদেশের মেইন প্রাইড বা ব্র্যান্ডিং যে ভাষায় বলি, এটা হচ্ছে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ। এইটা হচ্ছে বাংলাদেশের মূল শক্তি। এবং তারাই কিন্তু রুল করে। তারাই ঠিক করে কে আসবে, কে যাবে, কিভাবে দেশ চলবে, কিভাবে হবে।
ই: এই ঢাকা শহরটাকে দেখে রাখতেছে কে!
র: এইযে ধরেন বাংলাদেশে এত বিপদ, চারিদিকে এত বিপদ, কারণ আউলিয়ারা টিকায় রাখছে, আউলিয়াদের দোয়া টিকায় রাখছে।  
ই: এই যে দক্ষিণ ঢাকায় হচ্ছে হাইকোর্ট। উনি খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী রহঃ এর সন্তান। তারপরে ওই যে উত্তর ঢাকায় হচ্ছে শাহ আলী বাগ, হযরত শাহ আলী। মানে তারা দুইদিন থেকে…
র: হ্যাঁ। এরকম গ্রিড করা আছে। মানে পুরা বাংলাদেশটা এরকম আউলিয়া দিয়ে গ্রিড করা আছে। এরকম ছোট ছোট গ্রিড করা আছে। কারণ ৩৬০ আউলিয়া তো আছেন, তারপর আরো অনেক আছে। ওই ৩৬০ আউলিয়ার বাইরে আরো অনেক আছে। এবং এখনো আছে, এখনো হচ্ছে। আমি যেতাম ডিওএইচএসে একটা মাজার ছিল কালা শাহ বাবার মাজার। তারপর এখানে, অনেকেই এগুলা জানে না, উত্তরা ১৪ নাম্বার সেক্টরে একটা আছে। এটাও জানে না, একদম বাসা বাড়ির মত। হ্যাঁ এরকম জাগায় জাগায় আছে। এগুলা এখন একটু…
ই: হায়দার বাবা, ওই যে ইকবাল রোডে
র: হ্যাঁ হ্যাঁ, হায়দার বাবা। উনারটাতো এখন বেশ ইয়া। এখন তো বড় হচ্ছে, আমি উনার সাথে হাঁটছিলাম। হাঁটছিলেন নাকি?
ই: না আমি বাসে আছি, উনি হাঁইটা যাইতেছে। এমনি আমি হাঁটি নাই, কখনো তার কাফেলায় হাঁটি নাই।  
র: তো দ্যাটস অ্যান এক্সপেরিয়েন্স আরকি। তো আউলিয়াদের আমরা যদি অবহেলা করি, বাংলাদেশে, আমরা নিজেরাই সাফার করব, এটা আমি মনে করি। এবং তাদের শত্রুও অনেক। এইযে এখানকার যে মেইনস্ট্রিম ইসলামিস্টরা, তারা তো এগুলা বুঝতে পারে না।  
ই: তারা তো এজেন্ডাবাহী
র: এজেন্ডাবাহী, এটা হল ফান্ডামেন্টালিস্ট। মানে ফান্ড-বেইজড, ফান্ড-বেইজড মেন্টালিটি।
ই: তারা এই অর্থে ফান্ডামেন্টালিস্ট। হাহাহা। এটা ভালো ছিল।
র: হ্যাঁ ওদেরকে আমি ফান্ড-বেইজ বলি। কিতাবি, কুরানে বলা আছে, কিতাবিগণ, বারবার বলা আছে।
ই: অযথা অর্থোডক্স হইতে চাই না।
র: মানে অর্থোডক্স বলতে এক্সপেরিয়েন্স না দেখে, তারা ইয়া হতে চায়। এখন আপনি আপনার ছেলেকে ভালবাসবেন, তার জন্য কি ম্যানুয়াল দেখবেন? They are like that. এইভাবে ভালবাসতে হবে। সকালে দুবার চুমু, রাত্রে দুবার চুমু, তিনবার মাথায় আদর—ছেলেকে এভাবে ভালোবাসো। This is totally stupid. আর তাদের মেইন ব্যাপার হচ্ছে মেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তা। কোন মেয়ের কী দেখা গেল, পর্দা কর, হেন কর তেন কর, আর নিজের চোখে যে পর্দা নাই, সেটার কোন খেয়াল নাই। তারা যে কী কী কর্ম করছে পেপারে আসে, এটা নিয়ে আর বললাম না। তারা পারবে না, পারবে না কখনোই। এটা এজিদি বাহিনী, এজিদি শক্তি। এরা কখনো পারবে না। আমাদের সাথে হুসাইনি শক্তি আছে। আমাদের যে মারেফতি লাইন, এটা রুল করবে। এটা পৃথিবী রুল করবে এবং করে, এটা জানে না মানুষজন। এটা জানে না, ভাবে না, এখন হচ্ছে যে পুরা পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত। ক্বাবা শরীফ আর এদিকে পিরামিড। এখন এটার মানেটা কী? স্কয়ার আর ট্রায়াঙ্গেলের যুদ্ধ।
ই: দুইটাই সার্কেলের মধ্যে ফিট হয়।
র: স্কয়ার বা ক্বাবা শরীফে হচ্ছে নবী-রাসূল-আউলিয়ারা, আর ট্রায়াঙ্গেলে হচ্ছে নমরুদরা, ফারাওরা। এভাবে দুইভাবে ভাগ হয়। দুইটা শক্তি কিন্তু এখন পৃথিবীতে। যত যুদ্ধ যত ক্ল্যাশ এই দুই শক্তির মধ্যে হচ্ছে। দুইভাবে আরকি ভাগ করতে হবে। ক্বাবা আর পিরামিডের যুদ্ধ। এটাই কিন্তু এখনকার রিয়ালিটি।
ই: স্কয়ার ভার্সেস ট্রায়াঙ্গেল।
র: ট্রায়াঙ্গেল মানে কী? ক্বাবার একটা রেখা কমায় দিলে ট্রায়াঙ্গেল হচ্ছে। ওইটা হচ্ছে লেসার এনার্জি। ক্বাবাটা কিন্তু আল্লাহর ঘর, ওটা আল্লাহই জানে। চতুর্দিক আর এটা হচ্ছে ওয়ান আই আরকি। ওখানে আছে না সিম্বলটা। দজ্জালের যে সিম্বল। তো এখন যুদ্ধটা হচ্ছে দজ্জালের সাথে নবী-রাসূল-আউলিয়াদের যুদ্ধ। দজ্জাল তো এখনো প্রকাশিত হয় নাই ওভাবে, কিন্তু তার যে এন্টারপ্রাইজগুলা সবই হয়ে গেছে। এখন বলছে যে আসবে বা যাই হোক। তো এখনকার যুদ্ধটা এটা বুঝতে হবে, যে কার সাথে কার যুদ্ধ। নামে বিভিন্ন দেশ আসছে, কিন্তু জিনিসটা এরকম। যেমন প্যালেস্টাইনে ৭০ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে, আসলে যুদ্ধটা কার বিরুদ্ধে? যুদ্ধটা তো দজ্জালের বিরুদ্ধে। জিনিসটা এরকম চলছে। তো আস্তে আস্তে ওটা ইয়া করতে হবে। প্যালেস্টাইন হচ্ছে, আমি ওটাকে বলি বেহেশতের দরজা। যদিও ওটা পৃথিবীর চোখে দোযখ। কিন্তু আল্লাহর চোখে তো বেহেশত। কারণ ওখানে যারা শহীদ হবে তারা সরাসরি বেহেশত যাবে। এরকম এটাও বলা আছে, কোরানে আছে যে, যেটাকে দোযখ মনে হবে সেটা বেহেশত, আর যেটাকে বেহেশত মনে হবে সেটা দোযখ। তো আপনি যেটাকে বেহেশত মনে করছেন সেটা দোযখ। যেমন লাস ভেগাস বেহেশতের কনসেপ্ট, কিন্তু আসলে এটা দোযখ।
ই: বা বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে গেলে মনে করে বিদেশ ভালো জায়গা।
র: হ্যাঁ। কিন্তু ওখানে তো সব অবিশ্বাসী আর ইয়া বেশি। মানে ওখানে চাইলে আল্লাহর রহমত নাই।
ই: হ্যাঁ। ওইখানে গেলে টের পাওয়া যায় ওইটা কত হার্ড লাইফ। ঢাকায় বইসা মনে করে যে ঢাকার চেয়ে হার্ড কিছু নাই। বিদেশে নাই।
র: না না। ঢাকায় তো আমাদেরকে সার্ভ করার জন্য গরীবরা আছে। ওখানে তো আপনি নিজেই গরীব।
ই: আমি নিজেই গরীব। তাই তো!
র: নিজেই গরীব, নিজেই বড়লোক।
ই: নিজেই গরীব, আবার নিজেই সার্ভ করা লাগে।
র: নিজেই বড়লোক ধরলেন, ধরলাম আরকি! হা হা হা।
ই: তারপরও তো আমার কাজ করে দেয়ার কেউ নাই।
র: কেউ নাই। এখানে তো একটা শ্রেণী আছে যে আমাদেরকে পিঠ পেতে দিচ্ছে যে কাজ করাও, অল্প যা পারেন দিয়েন। ওখানে আপনি একটা লোককে কাজ করান…
ই: এ কথাটা তো বিদেশে বলবে না যে আজকে সকালে রিকশা একটা ঠিক করতেছি, মেট্রো রেল থেকে নেমে, উনার বাসায় যাব। রিকশাআলাকে বলতেছি, কত ভাড়া। সে প্রথমে বলবেই না, বলে যা ভাল লাগে দিয়েন। তো পাশে আবার সহকর্মী রিকশাওয়ালারে বলতেছে যে, না না তুমি কথা ঠিক করে নিয়ে যাও। উনি জিজ্ঞেস করছে, তুমি কথা ঠিক করে নিয়ে যাও। তারপরে ১০০ টাকা রফা হইছে। তারপরও সে বলতেছে আমাকে যা দেয় তাই ঠিকাছে। এগুলা বিদেশে কেউ কোনদিন বলবে না।
র: হ্যাঁ! না এটা কোনদিন বিদেশে বলবে না।
ই: কোন প্রশ্নই আসে না।
র: এর কারণ হচ্ছে আমরা পীর-আউলিয়াদের দেশের লোক। আমরা অল্পে সন্তুষ্ট থাকি এবং আমরা নিয়তিতে বিশ্বাস করি। নিয়তি নির্ভর, এটা আল্লাহর জগৎ আরকি। হ্যাঁ, তুমি এত প্রিসাইস হয়ো না। দরকার নাই তো। আল্লাহ ভরসা বলে একটা কথা আছে
ই: হ্যাঁ হ্যাঁ
র: আমরা বলি যে, আল্লাহ ভরসা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ। যদি কেউ আল্লাহ ভরসা এই শব্দে ইয়া করতে পারে, সে এক টাকা পথে নিয়েও, পকেটে কোন টাকা না থাকলে বলে আল্লাহ ভরসা, দেখা যাবে তার রিযিক চলে আসছে। যদি সে ওইভাবে বিশ্বাস করতে পারে। তো বাংলাদেশেও ওইটা আছে। আল্লাহ ভরসা শব্দটা আছে। একবার রাশান কিছু লোক আসছিল। বহু আগে, তখন ১৯৭৪-৭৫। যাই হোক, সেভেন্টিজের সময়। তখন তো গ্রাম-গঞ্জের অবস্থা খুব খারাপ। ধরেন লেইট সেভেন্টিজ-এইটিজ
ই: গ্রামে চরম অভাব চলতেছে তখন
র: চরম অভাব চারিদিকে। বাংলাদেশে তো এতটা উন্নতি হয় নাই তখন। তখন এসে বলছে, একমাত্র আল্লার সাহায্য ছাড়া এ দেশ চলবে না।
ই: এদেশ আল্লাই চালায়।
র: আল্লাই চালায়, এরকম একটা মন্তব্য খুব নাম করছিল হুইচ ইজ রাইট, ভেরি রাইট। এই যে আমি বলি আল্লাহ ভরসা। যেকোনো ইয়াতে আল্লাহ ভরসা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমাধান। সাধকদের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে আল্লাহ ভরসা। এইটা আমাদের নরমালি ইন জেনারেল লোকজনের মধ্যে আছে।
ই: আমরা এখন বলি না বিভিন্ন কারণে। কিন্তু আগে, আজ থেকে ২০ বছর আগে, আরেকটা প্রোভার্ব মানুষের মুখে মুখে চলত, এলাহি ভরসা।  
র: সেইম আরকি। এলাহি ভরসা এখন বলে না।
ই: বলে না, ঠিকাছে, বাট ছিল আরকি। অনেক ফর্মে ছিল শব্দটা। আর আল্লাহ ভরসা তো এখন সবাই বলে।
র: এটা ভাল। কিছু কিছু এখন শব্দ আসছে ভাল। আলহামদুলিল্লাহ বলে, সুবহানাল্লাহ বলে। এগুলা খুবই পজেটিভ। তারপর কিছু ছোট দোয়াগুলাও পড়ে। তো এরকম আরকি।
ই: আল্লাহুম্মা বারিক লাহু—এই যে এগুলা কিছু ছিল না আগে।
র: ছিল না এখন ইন্ট্রোডিউসড হইছে। তবে এখন যেটা সবচেয়ে নেগেটিভ জিনিস হইছে যে, মাজারবিরোধী কিছু মেন্টালিটি তৈরী হইছে। মাজারের প্রতি তাদের কোয়েশ্চেন আসছে।
ই: ইন্টেলেকচুয়াল মানুষজনের এটা নিয়ে ক্ষোভের জায়গা তৈরী হইছে।
র: আর ফান্ডামেন্টালিস্ট যাদের বললাম তারা এটার প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের নিজস্ব ব্যবসা টিকায় রাখার জন্য মাজারের বিরোধিতা করে। আর তাদের যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্যাপাবিলিটি অত নাই, তারাতো ছাত্র আসলে। ধরেন আমরা মারেফতিরা যদি পিএইচডি করি, ওরা তো এইট-নাইন পাশ করা ছেলে, যদি তুলনা করা হয়। ফলে তারা মাজারবিরোধী অনেক কিছু বলে। শিরিক-টিরিক এসব বলে, না বুঝে আরকি।
ই: ৩০ বছর হয়ে গেছে এটা বলতে বলতে তারা অবস্থানে আসছে।
র: এবং তারা প্রচার করতে পারছে। এবং একটা বড় দল বানাইছে, উগ্র আরকি। তো এনিওয়ে, ধর্মের বাতি টিমটিম করে জ্বলে না, ওরকম, শেষে আল্লাই ইয়া করে। পুরা টেবিল সাজানো হইছে, দুইটা লোক দুই কোণায়, আল্লার লোক আর এ সাইডে সব কাফেররা ধরেন হাজার হাজার বসে আছে। ওই দুই লোকই টেবিল উল্টায়ে দিবে। পৃথিবীতে এটাই হবে। খুব কম সংখ্যক আল্লার লোকই, অধিক সংখ্যক কাফের ও মুশরিকদের একেবারে ধ্বংস করে দিবে। এটা হবে আরকি। এটা হবে সামনে।
ই: আপনি একটা কথা বলতেছিলেন, সিমপ্যাথি সহমর্মিতা। আমার পার্সোনাল একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হচ্ছে, ইদানীং আমি একটা জিনিস ফিল করলাম, সেটা হচ্ছে, জীবনের দীর্ঘ সময় ধরে আমি হ্যাঁ বলার মানুষ। আমি নিজেকে না বলতে পারি, নিজের জন্য না বলতে পারি, অন্যকে আমি না বলি না। এবং আমি প্রচণ্ডভাবে হ্যাঁ বলি। এবং হ্যাঁ বলতে বলতে অ্যাট সাম পয়েন্ট আমি রিয়েলাইজ করলাম লাস্ট ইয়ার, যে আমি টায়ার্ড। আই ফিল টায়ার্ড। এবং আমি ভাবলাম যে, এটাতো আমি আসলে নিজেই নিজের টায়ার্ডনেসের কারণ। কারণ আমি কেন না বলি না। মানে না বলতে গেলে আমি কেন ক্রিটিকাল হয়ে যাই, চরম ক্রিটিক্যাল হয়ে যাই। মানে না বলতে গেলে যেন আমার দুনিয়াটা ভাইঙ্গা আসে। তো এরকম আমি ভাবতেসি ভাবতেসি, তো হঠাৎ তাকাই ছিলাম, নো, এন ও নো। মানে ইংরেজি ভাষার জগতে থাকি। ওভাবে দেখতেছি, নো বলি না। তাকায় থেকে হঠাৎ মনে হইল যে এন তে কি হইতে পারে? ধরলাম এন-তে ন্যাচারাল, ও-তে ধরলাম অর্ডার। তখন মনে হইল যে যাক একটা নিদান মনে হয় আমি পাইছি। আমি তাহলে ওই মূহুর্তে অবশ্যই ‘না’ বলব যেটা গোজ অ্যাগেইনস্ট ন্যাচারাল অর্ডার। কারণ আমার হঠাৎ মনে হচ্ছে যে, I need to learn this, how to say no to save myself.
র: আপনি ধরেন যদি সাধনায় আসেন, এটা খুব ইজি, আপনাকে একটা পথ নিতে হবে তখন।
ই: আরেকটা কথা রনি ভাই, একটা জিনিস দেখলাম যে, কারা না বলে তখন!
র: আমি তো না বলি সব বিষয়তে।
ই: না-টাও হ্যাঁ। হ্যাঁ-ও না। কিন্তু কিছু মানুষ আছে, এক শ্রেণীর মানুষ আছে, তারা না মানে জেদ করে।
র: ‘না’ টা না বুঝে বললে তো হয় না। না বুঝে বললে তো ‘না’ বলার দরকার নাই। আপনার এক কাপ চা খেতে ইচ্ছা করছে, আপনি যদি না বলেন এটাতো বোকামি। আপনি তখন হ্যাঁ বলবেন। কিন্তু ধরেন আপনার একটা জিনিস খেতে ইচ্ছা করছে না, তাও এটা খাও, তখন যদি হ্যাঁ বলেন তখন এটা আপনার জন্য বার্ডেন। এটা আরকি। সময়মত বলতে হবে না।
ই: হ্যাঁ সময় মত বলতে হবে।
র: হ্যাঁ/না দুটাই অ্যাপ্রোপ্রিয়েট, কিন্তু সময়মত বলতে হবে।
ই: একটা শ্রেণী দেখলাম, তাদের মধ্যে সহমর্মিতাও থাকে না। যারা খুবই পলিটিক্যালভাবে ‘না’-কে ইউজ করে, ‘না’-টা তার এক্সিসটেন্সের পার্ট, এবং না বলার মাধ্যমে সে তার এক্সিসটেন্সকে ড্র করতেছে, কোডিফাই করতেছে। With these ‘No’s, I make myself. I build myself. This is my territory with lot of nos. এবং আমি দেখি সে মানুষগুলোর মধ্যে সহমর্মিতা থাকে না। তাদের মধ্যে কোন সিমপ্যাথি থাকে না। তখন তো সেটা আরেকটা মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে যায়। আমি এটাও বুঝি, আমার হ্যাঁ-গুলো যেমন না, না-গুলোও হ্যাঁ। তো এই যে একটু আগে আপনি যেটা বললেন, এত প্রিসাইস হয়ে যাচ্ছ কেন, যারা না তারা কিন্তু প্রিসাইস লাইনে চলে যায়। এমন অসহমর্মি! তখন মনে হয় না যে এটা কি মানুষ! মানুষকে এরকম করতেছে কেন!
র: আমার মতে আপনাকে একটা জীবনধারায় থাকতে হবে। জীবনধারায় থাকতে হলে ওখানে হ্যাঁ না-টা অটো হবে। কথা বুঝছেন? কারণ তারা তো ওটা ডিসিশন নিচ্ছে। এটা তো ডিসিশন না। হ্যাঁ/না কিন্তু ডিসিশন না।
ই: এটা ভালো পয়েন্ট, তারা ডিসিশন নিছে, কেন?
র: হ্যাঁ/না হচ্ছে একটা ন্যাচারাল প্রসেস।
ই: হ্যাঁ এটাইতো। তাইলে ন্যাচারাল অর্ডার হয়। ওটাইতো, ঠিকই বুঝছি আমি।
র: একটা গাছ ধরেন ছায়ায় রাখা আছে, রোদ থেকে দূরে। সে ন্যাচারাল প্রসেসে রোদের দিকে বাড়বে। এটাই হ্যাঁ। আবার ধরেন ছায়ার দিকে যাবে না, এটাই না। এটাই আরকি।
ই: তাইলে এখনো তার ডিসিশনের পার্ট কিন্তু পরে।
র: কিন্তু এখানে তার ডিসিশনের জিনিস না, এটা তো তার সার্ভাইভালের জিনিস। তার এটা নেচার। এদিকে গেলে সার্ভাইভ করবে। আর ডিসিশন হচ্ছে যে আপনি জাজ করলেন। জাজ করার তো দরকার নাই। জাজ করলেন মানে আপনি বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে জিনিসটাকে জাজ করলেন। বহুত রকম অংক কষে না বললেন, এটা হবে না। ওইসব জাজমেন্ট তখন দরকার যখন আপনি কোন ব্যবসা করতে যাবেন কিংবা কোন ওয়ার সিচুয়েশনে আছেন কিংবা কোন জগতের কাজে আছেন যেখানে অংক দরকার। অংক যে একদম দরকার হয় না তা না। অংক যেখানে দরকার হয় সেখানে দরকার। কিন্তু সবসময় অংক কষলে, বিনা জায়গায়, মানে অজায়গায় কুজায়গায় অংক কষলে, সেটা আনন্যাচারাল হয়ে যাবে। অ্যান্টিবডি হয়ে যাবে, মানে বডির অ্যান্টি হয়ে যাবে। অ্যান্টিবডি তো আরেকটা জিনিস, মানে বডি-অ্যান্টি। আপনার যেখানে যেটা বলা দরকার, এখন আপনার ধরেন, আপনি রকেট পাঠাবেন চান্দে, সেখানে যদি আপনি অংক না কষে কবিতা লেখেন তাইলে তো হবে না।
ই: এ রকেট দেখা যাবে আগেই ফুইটা যাবে। ওপরে উঠবেই না।
র: জায়গার জিনিস জায়গায় করতে হবে। হা হা হা। বলে, হে রকেট, তুমি চাঁদে গিয়ে বসে থাকো। তোমাকে দেখে আমি আরো রকেট বানাব, তাইলে লাভ নাই। ইউ হ্যাভ টু, মানে মেথডিক বুঝতে হবে, অনেক কিছু বুঝে তারপর
ই: ফিজিক্স কেমিস্ট্রি সব লাগাইতে হবে।
র: সব লাগাইতে হবে, টিমওয়ার্ক লাগবে। তো যেটা যেখানে দরকার আরকি। এখন ধরেন আমাদের সমাজে হচ্ছে কি, যেখানে যেটা দরকার নাই, সেখানেই সেসব বিদ্যা প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় অনেক বিদ্যা দরকার নাই, সেখানেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। সব বিদ্যাকে গণহারে সব জায়গায় ইউজ করলে এই জিনিসটা হয়। কথা বুঝছেন? এখন আমি আলু ভর্তা বানাব। এখন ওখানে যদি আমি অ্যাটম বোম বানানোর বুদ্ধি কাজে লাগাই, তাইলে তো আলু ভর্তা রান্নাঘরের ছাদে একটু যাবে, আরেকটু যাবে পাশের বাসায়, আরেকটু যাবে আজমপুরের ওদিকে। মানে যে বুদ্ধিটা যেখানে লাগাতে হবে সেটা বুঝতে হবে। এই বুদ্ধিটা এই জ্ঞানটা আমার এ জায়গার জন্য। কিন্তু এখন ওই যে ইয়ে নাই তো, মানে সবকিছু ইয়া হয়ে যাচ্ছে। এটার একটা কারণ আছে, গ্লোবালাইজেশন একটা কারণ। ওই যে বললাম গ্যালাকটিক কালচার। সব মানুষের মধ্যে তো এখন মাল্টি নলেজ। এভরিবডি ইজ নলেজেবল কিন্তু এখন। এক ধরনের নলেজ পাচ্ছে তো তারা, এক ধরনের ইনফরমেশন পাচ্ছে। তো আপনি যদি গুগলে ৭ দিন বসে থাকেন বা বিভিন্ন ভিডিও দেখতে থাকেন, আপনি অনেক কিছু জানবেন যেটা আগে মানুষ জানতো না। কিন্তু এই জানাগুলা আবার জানার মত, তোতাপাখির মত।
ই: হ্যাঁ এগুলা জরুরী কিনা সেটা আরেকটা প্রশ্ন।
র: জরুরী কিনা, দরকার কিনা, বা আলাপ-আড্ডা মারার জন্য ভালো আছে, এটা দেখছি ওটা দেখছি। কিন্তু এর বাইরে আপনি অনেক কিছু হারাচ্ছেন। বই পড়ে যেটা জানতেন, ন্যাচারাল প্রসিডিউরে যেটা জানতেন ওটা জানছেন না। ওটা আপনি বুঝতেছেন না, আপনার ইমাজিনেশন কমে আসতেছে। কারণ ওখানে ইমাজিনেটিভ জিনিসগুলাকে নষ্ট করা হয়। এটা কিন্তু আছে। ফেইসবুক, ইয়াতে আস্তে আস্তে ইমাজিনেশন কমানো হয়।
ই: এটা তো আমাদের ছোটবেলাতে ছিল আরকি। ৫ ঘণ্টার জন্য টিভি চলত, সে টিভি সবসময় দেখতে দেয়া হইত না। তখন থেকেই প্যারেন্টসরা অ্যাওয়ার ছিল।
র: হ্যাঁ তখনই ছিল। কারণ আত্মা এবং মন খুবই নির্জন একটা জিনিস। এটারে যদি আপনি বাজারের মধ্যে ক্যা ক্যা করে রাখেন, তাইলে তো হবে না। যেমন শয়তান জিজ্ঞেস করছিল আল্লাকে, মানুষের জন্য মসজিদ দিছেন, আমার জন্য কি দিছেন? বাজার তোমার জন্য। বাজার জিনিসটা মাতামাতি, দরাদরি, ধান্দাবাজি
ই: মারামারি
র: মারামারি, তারপর আন্ডারলাইন ক্রাইম, সবরকম। বাজারকে কিন্তু অনেক ইয়া করা হইছে। বাজার মানে কী? ক্যাপিটালিজম আসলে। বাজারের ব্যাপারে অনেক সাবধান করা হইছে।
ই: বাজারের শহর কায়রো। মিশরে কী আছে?
র: হ্যাঁ ওইসব জিনিসপাতি, মানে এনার্জি। মিশর তো এখন প্রাচীন সভ্যতা। কিন্তু ওদের যে সৌলগুলা ছিল, ওরা তো আর বসে নাই, ফারাওদের সৌল তো আর বসে নাই। তারা তো পুরা পৃথিবীতে ছড়াই গেছে। আপনি ওই যে সিম্বল, পিরামিড, ওখানে তো আছে ওরা, ওরা তো কাজ করছে। ওরা তো বিভিন্ন গ্রুপ হয়ে গেছে। এখনকার জগতে যে গোপন সংগঠনগুলা বলে, এরা তো আসলে ওরাই। গ্লোবাল এলিটস যারা, যারা পৃথিবীর বারোটা বাজায় দেয়, বিভিন্ন রকম কন্ট্রোল করে, বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ লাগায়, এরাই কিন্তু। ওই যে বললাম, ক্বাবা আর পিরামিডের যুদ্ধ। এটা চলতেছে। এই আরকি।
ই: না না সেটা তো দেখতেছি যে ডিসিশন নেয়া, ডিসিশন নেয়া তো আর্টিস্টের কাজ না। কিন্তু বাংলাদেশে গত ১০ বছরের আর্ট-কালচার দেখলে মনে হয় যে, বাংলাদেশের আর্টিস্টরা খুবই ডিসাইসিভ এবং জাজমেন্টাল।
র: না আমার মতে, এখন আর্টটা সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না উনারা। আমি মনে করি, আর্টটা সিরিয়াসলি নিতে হবে। আর ওই যে আপনার একটু বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গা থেকে দেখার চেষ্টা করতেছে, হুইচ ইজ রং। কারণ জয়নুল, কামরুল বা সুলতান এনারা কেউই অত টাইটভাবে দেখে নাই। নদীর মত ছিল। আসছে, গেছে, কেউ কেউ করছে টুকটাক, কিন্তু ওটা ওভাবে তরিত করা হয় নাই। মানে তারা ভেরি ইজি পিপল ছিল। গো উইথ দ্য ফ্লো এটাইপের। জয়নুল ধরেন স্মার্ট লোক ছিল, উনি আর্ট কলেজ বানায় ফেলছে এবং বড় বড় কাজ করে গেছে। সে তো আমরা ফল পাচ্ছি। কামরুল ধরেন এক ধরনের ইন্টেলেকচুয়াল
ই: সেওতো প্রতিষ্ঠানে ঢুকছিল, ওই যে কুটিরশিল্প।
র: হ্যাঁ কুটিরশিল্প এগুলা করছে। আর সুলতান তো গ্রেইট। ওটা তো আর বলার কিছু নাই।
ই: সে নিজেই প্রতিষ্ঠান। তার আর আলাদা করে লাগে না।
র: সে তো একেবারে আধ্যাত্মিক। মানে সেই সবচেয়ে হাইয়েস্ট স্তরটা পাইছে। মানে রেলমটা, হার্টের রেলমটা সবচেয়ে হায়েস্ট জায়াগায় সে পাইছে। কিন্তু তাদের তিনজনের মধ্যে, বা ওই সময় যারা আর্টিস্ট ছিল তাদের মধ্যে একটা মিল ছিল, যে তারা খুব সহজ ছিল। সহজভাবে বাঁচছে। এতকিছু হাবিজাবি চিন্তা-ভাবনা ছিল না। স্বাভাবিকভাবে ছবি দেখছে, মানুষের সাথে তাদের কানেকশন ছিল। যে কেউ তাদের সাথে দেখা করতে পারত। গণমানুষের লোক ছিল আরকি। এই জিনিসটা এখন নাই তো। এখন ইনসিকিউরড হয়ে গেছে আর্টিস্টরা বেশি, বাচ্চারা, তারা ভাবছে যে কে কী করবে।
ই: বাসা ভাড়া কিভাবে দিবে।
র: হ্যাঁ ওটা আছে। আর সবাইকে জায়গা দিবে ওরকম কোন প্রতিষ্ঠান নাই। ওরকম নাই আর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। আর্টিস্টের সংখ্যা বেশি, প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। প্র্যাক্টিসিং আর্টিস্ট যে খুব বেশি তাও না, তাদেরকে যে একটা নিশ্চিন্ত লাইফ দিবে, সেটা কেউ পারছে না দিতে। বরং তাদেরকে ক্যাশ করে কিভাবে নিজের নাম করা যায়, এ ধরনের একটা টেনডেন্সি আছে সবার মধ্যে। আর্টিস্টরা এমনিতেই বেড়াছেড়া অবস্থায় আছে, মানে গরিব মানুষের মত অবস্থা। গরিবদের তো শোষণ না করলে বড়লোক হব না, এমনিতেই গরিবরা কিন্তু মাটিতে মিশে আছে, কিন্তু ওই মাটি খুঁড়ে তাদের হাড্ডি-গুড্ডি বাইর করে আবার, যে একটা কৃষকের কিছু নাই দুইটা হাড়ি আছে, কিন্তু যে ক্যাপিটালিস্ট সে ভাবছে ওর তো দুইটা হাড়ি আছে, একটা থাকলেই হয়। তারপরের বার, ওর তো একটা হাড়ি আছে, এটা নিয়ে নিই, চালায় দিবে পাশের বাড়ি থেকে। তো এ হচ্ছে ঘটনা। আমাদের আর্টিস্টকেও এরকমভাবে দেখা হয় যে, এতে আছে, একটু দিয়ে দিলাম। এক ধরনের অপমান করা হয় কিন্তু সমাজ থেকে।
ই: হ্যাঁ
র: অপমান করা হয়, শক্তি দেখানো হয়, ইয়ে করা হয় বিভিন্নভাবে। আমাদের আর্টিস্টরা কিন্তু একটা অপমানজনক জায়গায় আছি। মানে পাত্তা দেয় না, তুচ্ছ করে এরকম জিনিসপত্র আছে। আর আর্টিস্টরা নিজেদেরও এখন অপমান করে
ই: এবং তারা তো ধনী মানুষের করুণা পাইলে যেন খুশি হয়ে যায়।
র: ধনী মানুষের কাছ থেকে ইয়ে নেয়, তারপর যারা ধনীদের পায় না, ধনীদের অবজ্ঞাটা তারা সার্ভ করে। হা হা হা। এভাবে চলতে থাকে। এটা এখন খুব মেইনস্ট্রিমে দেখলাম এটা এয়া করে। তো আমি এজন্য নিজেকে গুটায়ে ফেলসি। নিজের মত করে থাকি। আমি এমনি ছবি এঁকে যাচ্ছি, রেগুলার, দেখেন বোধহয়। আমার কিন্তু ননস্টপ। হা হা হা।
ই: পেন, পেপার, ড্রইং, পেইন্টিং সবই চলছে।
র: সব।
ই: স্কাল্পচার।
র: কারণ আমি তো ফ্রি হয়ে গেছি। আমার তো হ্যাংওভার নাই। আমার চিন্তাও নাই। আমি করছি ব্যাস। আমার জগতে আমি আছি, কে নিলো না নিলো এগুলা নিয়ে চিন্তা নাই। তবে আমার প্রভাব পড়তেছে এটা ঠিক। ঠিকই প্রভাব পড়ছে, সুফি আর্টিস্ট বেরুচ্ছে। আগেও পড়ছে এখনো পড়ছে। এবং পড়তে থাকবে, আমি যতদিন বেঁচে থাকব এটা আমি মনে করি।
ই: না আপনি তো বাংলাদেশের এখন বেনাম রেফারেন্স।
র: হ্যাঁ, নাম নেবে না কিন্তু রেফার্ড হয়ে থাকব।
ই: কাজে তার রেফারেন্স পাওয়াই যাবে।
র: পাওয়া যাবে, আর মুখে আনবে না। মুখ বন্ধ। হা হা হা। ওইটা আসলে ওদেরও দোষ নাই। ওদেরকে অনুমতি দেয়া হয় নাই, এটা একটা ব্যাপার আছে। সবার নাম নেয়া যায় না। আত্মাই তাদের অনুমতি দেয় না। এরকম আটকানো থাকে অনেক আত্মা। সবার নাম কিন্তু আপনি নিতে পারবেন না। চাইলেও। যোগ্য কিন্তু নাম নিতে পারবেন না। এটা রহস্যময় জিনিস। এটা কেন হয় আমি জানি না। আমি জানি কিন্তু বলব না ওটা। বলা যাবে না। ধরেন আমি যে পরিমাণ ছবি আঁকছি, যে হাইটে ছবি আঁকছি, আমি কিন্তু ওয়ার্ল্ডের একজন নোটেবল আর্টিস্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওটা হয় নাই। সেটা দুইটা কারণ আছে। একটা হচ্ছে দুনিয়াগত পলিটিক্স, সবকিছু মিলায়া। আরেকটা হচ্ছে আধ্যাত্মিকভাবে হয়তো আমাকে ওইটা দেয়া হয় নাই, কারণ আমাকে অন্যকিছু দেয়া হচ্ছে। এটা আরকি। দুইটার মধ্যে কনফ্লিক্ট হতো। আমি মন করি যে আধ্যাত্মিকভাবে আমাকে আটকানো হচ্ছে। যে বেশি দেয়া যাবে না। এটা আপনার ইসলামেও অনেককে বলতে দেখবন যে, তারা দুনিয়া বেশি চায় না। কারণ তাইলে আধ্যাত্মিকতাটা কমে যাবে।
ই: আর টাকাতো শর্ত ছাড়া নড়ে না, মানে এই চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে টাকা আছে।
র: দুনিয়া তো চাইতে হয়। তো আমি দেখলাম যে এটা চাইলে আবার আখিরাত চাইব কবে। দুইটার মধ্যে কনফ্লিক্ট হয়। তো আমি এটা মিনিমাম, আমার যতটুকু দরকার সেটা দিয়ে করি। টুকটাক, মানে আল্লার নির্দেশ ছাড়া ওইভাবে ইয়ে করি না। কাজগুলাও এখনকার আলাদা, আপনি তো দেখেন। আগে ছিল নিজের থেকে আঁকা হত, এখন অর্ডার থেকে আসে। অনেক সময় দেখা যায় যে, আঁকতে পারছি না ৬-৭ দিন, কোনোকিছু করতে পারছি না। তখন বুঝি অর্ডার আসবে। তারপর আবার অর্ডার আসলে তখন দেখা যায় সাই সাই করে আঁকতেছি। এখন যেমন সোলায়মান (আঃ) এর দরবারে একটা ছবি, এটা আঁকতে অনেক সময় লাগছে। কারণ আস্তে আস্তে জিনিসটা আসতেছে। একেকটা জিনিস আসতেছে। তারপর এখন আবার সোলায়মান (আঃ) এর আরেকটা ছবি আঁকতেছি। এই ঘটনাটা খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ঘটনা। এটা হচ্ছে, আল্লাকে একদিন সোলায়মান (আঃ) বলছে যে, আপনি তো সব প্রাণীকে খাওয়ান, আমি একদিন সব প্রাণীকে খাওয়াতে চাই। একবেলা, আপনি তো খাওয়ান, আমাকে একটু সুযোগ দেন। আল্লাহ বলে, তুমি পারবা না। মানে এটা এত বড়, তুমি পারবা না। না তাও জেদ ধরছে। বলছে, আচ্ছ তুমি ট্রাই কর। তখন এরকম সমুদ্রের ধারে ৪০ হাজার রান্নার ডেগ বসাইছে। পুরা পৃথিবীকে খাওয়াবে। বিরাট বিরাট সেই পটগুলা। তারপর রান্না হচ্ছে, আর এদিকে সব প্রাণি-টানি সবাই অপেক্ষা করতেছে। তারপর সমুদ্র থেকে একটা মাছ আসছে, বড় সাইজের। বলে তুমি লাইনে যাও, না আমি লাইনে-টাইনে যাইতে পারব না, আমাকে একবারে দাও, খুব খিদা লাগছে, আমার এত ধৈর্য নাই। তখন উনি আর কী করবে। তখন উনি এক থালি দিছে। বলে যে এটা কিছুই হয় নাই। এক ডেকচি দিয়ে দিছে। তাও কিছুই হয় নাই। তারপর পরের ডেকচি। এটাও কিছু হয় নাই। খেতে খেতে ৪০ ডেকচি, ৪০ হাজার ডেকচি
ই: একাই সাবাড় করে দিছে।
র: সব সাবাড় করে দিছে। তখন তো উনি পড়ছে বিপদে। আল্লাহর কাছে বসছে। বলে, তুমি তো একজনকে খাওয়াইতে পারলা না। হা হা হা। বুঝছেন! তো এই যে রিজিকের যে ম্যাসিভনেসটা, এটাইতো মানুষ বুঝতে পারে না। এটাকেই ভাবে যে, আমিও পারব। আই ক্যান, আই ক্যান করতে থাকে কাফেররা। নমরুদ বলছিল না, মুসা (আঃ)-কে (ইবরাহিম আঃ হবে) যে, জীবন-মৃত্যু তো আমিও দিতে পারি। বলে, বলে একটা বন্দীকে মেরে ফেলছে। তখন মুসা (আঃ) বলছে, আপনি সূর্যকে অন্যদিক থেকে ওঠান তো দেখি। তখন সে গাধা হয়ে গেছে। তো এরকম ছিল তো। তারপর আপনি পিরামিডের উৎস জানেন তো, পিরামিড কিভাবে হইছিল? পিরামিড হইছিল যখন, ওটা ফারাওয়ের গল্প ছিল যাই হোক, র্যা মেসিস ২ যেটা বলে। আর নমরুদেরটা হচ্ছে, যখন সে আল্লার সাথে যুদ্ধ করবে, ওইজন্য সে পিরামিড বানাইসে। বানায় উঠে তীর মারছে, আল্লাহ একটা পাখির রক্ত তীরে পাঠায় দিসে, বুঝাইছে যে সে পারছে। এটা যে বেয়াক্কল এটা বুঝাই দিছে। তো ওটা থেকেই কিন্তু পিরামিডের উৎপত্তি। কতটা নেগেটিভভাবে ওটা আসছে চিন্তা করেন।
ই: এত এত পাহাড়-টাহাড় আছে, কত উচা সুশৃঙ্গ আছে, সেখানে সে ওঠার কোন চেষ্টা করে নাই।
র: হ্যাঁ কিন্তু ইগো তো। পিরামিডটা আসলে কি? এটার মধ্যে আরো রহস্য আছে!
ই: ট্রায়াঙ্গেল আকৃতির একটা ইগো।
র: একটা ইগো। আর ক্বাবা হচ্ছে ব্যালেন্স। প্রপার ব্যালেন্স।
ই: সিমেট্রিক্যাল।
র: হ্যাঁ সিমেট্রিক্যাল। আপনার এটা দিয়ে বুঝতে হবে, রহস্যগুলা বুঝতে হবে, আপনার ফারাওদের নিয়ে যে অনেক রহস্য আছে, এটা আমি মনে করি, যেটা বাস্তব আরকি, এটা কোন প্রাচীন সভ্যতা না। এটা এখনকার সভ্যতার সাথে খুব লিংকড আপ। ক্বাবাও যেমন লিংকড আপ, ওটাও তেমন লিংকড আপ। এটাকে ডিসেক্ট করে বুঝতে হবে আমর কোথায় আছি কিভাবে। আমরা অতীত বা প্রাচীন জিনিসগুলোকে বাদ দিয়ে এখনকার সময়কে বুঝবো না, ভবিষ্যতকেও বুঝবো না। কারণ একটাই বডি, একটাই টাইম। আমাদের যেহেতু ব্রেইনের ক্যাপাসিটি কম, সেজন্য আমরা টাইমকে ভাগ করে দেখতেছি। আমাদের র্যা ঙ্কটা ওরকম যে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ। কিন্তু আসলে অতীত, বর্তমান ভবিষ্যৎ নাই। টাইম একটা লিনিয়ার, এভাবেই ঘটছে।
ই: যাদের ন্যাচারাল ডেথ এক্সপেরিয়েন্স হয়
র: যেমন আপনি যখন দূরে চলে যাবেন, তখন তো আপনার কাছে টাইম একইরকম। যেমন একটা তারা থেকে আপনি যদি পৃথিবী দেখেন, আজ থেকে ২৫ লক্ষ বছর আগে ধরেন আমরা এ জায়াগায় বসে আছি। আজকে থেকে ২৫ লক্ষ বছর পরে একটা তারা থেকে আপনি এ ঘটনা দেখতেছেন। তার মানে কী? টাইমটাতো একসাথে ঘটতেছে, সব জায়গায়, জাস্ট ডিসটেন্সে আলাদা। মানে বিভিন্ন দূরবর্তী জায়গায় বিভিন্ন ঘটনা ঘটতেছে, কিন্তু একই সময়ে, জাস্ট পার্থক্যটা ডিসট্যান্সের।
ই: ডিসট্যান্স হচ্ছে সেন্স।
র: ডিসট্যান্স হচ্ছে আপনার দূরে দূরে সরায় রাখছে, আর কিছুই না। মানে আমাদের ব্রেইনে যে টাইমটা তিন ভাগে কাজ করে, কারণ আমরা দূরে যেতে পারি না। আমরা যদি দূরে যেতাম তাইলে দেখতাম টাইমটা তিন ভাগে না, এক ভাগে আছে। যেহেতু আমাদের দূরত্বে যাওয়ার ক্ষমতা নাই, ওইজন্য আল্লাহ তিন ভাগে ভাগ করে দিছে, হয়ত বুঝতে সুবিধা হবে।
ই: হ্যাঁ, আগে পিছে করে।
র: আমর যখন ডিস্ট্যান্সটা পার হব, এখন যদি আমি কয়েকশ আলোকবর্ষ দূরে যাই, তখন আমার কাছে টাইমটা কী হবে? সব জিনিস একসাথে ঘটতেছে। একটা জায়গায় গিয়ে দেখলাম যে ডায়নোসররা মারা যাচ্ছে ইয়ের পরে, তারপর আরেকটা জায়গায় গিয়ে দেখলাম যে ফারাওরা পিরামিড বানাচ্ছে, আরেকটায় গিয়ে দেখলাম ক্বাবা তৈরি হচ্ছে। আরেকটায় গিয়ে দেখলাম আমি আর আপনি বসে বসে আলাপ করছি। জাস্ট এরকম কয়েকটা জাগায় জাগায়। যে গুলশান থেকে দেখছি আমি আর আপনি আলাপ করছি, কক্সবাজার থেকে দেখলাম যে, ফারাওরা ইয়া বানাচ্ছে, আর ওই সদরঘাট থেকে দেখলাম যে, ফারাওরা মারা যাচ্ছে। জিনিসটা যদি আমি কসমিক লেভেলে দেখি, জিনিসটা কিন্তু এতই সিম্পল।
ই: হ্যাঁ …রিসেন্টলি একজনের সাথে দেখা হইল, স্ট্রোক করছিলেন, তার ওই নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স (এনডিই) হইছে। সে বুঝতেছিল সে মরে যাচ্ছে, তাকে ওই অবস্থা থেকে রিকভার করা হইছে, নাও হি ইজ ফাইন। তো আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনার কি এনডিই হইছে কিনা বা এনডিই এর কোন মেমোরি আছে কিনা। বলে তুমি জিজ্ঞেস করতেছ, ডাক্তারও আমাকে এ কথা জিজ্ঞেস করছে। তখন উনি বলতেছে যে, আমার যেটা মনে আছে, যে আমি, প্রথম কথা হল যে তার কাছে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ বলে কিছু আসে নাই, তার কাছে আসছে একটা টাইমলাইন, যেটা মাত্র আপনি বললেন। একটা জাস্ট টাইমলাইন, এবং ওইখানে অনেককিছু সে দেখছে, যেটা সে মনে রাখতে পারছে সেটা হচ্ছে, একটা পাহাড়ের উপরে সবুজ ঘাস, একটা কুটির বা ঘর, এবং তার পেছনে ৫০ টা কুকুরের একটা পাল। এবং সবকিছু হচ্ছে যে লাইট, মানে ধবধবা। এবং বলে যে আমি দেখছি আমার লাইফ, এবং এটা কোন অতীত বর্তমান বলে কিছু না।
র: একটা লাইনে আছে।
ই: একটা লাইন।
র: ওটাই আমি বলছিলাম। সে আসলে স্পেস ট্রাভেল করছে।  
ই: হ্যাঁ। মানে মৃত্যু মনে হয় ডিসট্যান্সটা উৎরায়ে দেয়।
র: হ্যাঁ। মৃত্যুর সময় যেটা হয় যে আপনার সৌলটা অনেক দূরে চলে যায়।
ই: হ্যাঁ
র: এখন হইছে সাধনার উপর। সাধনা যত বেশি হয় তার সৌল তত দূরে যায়। এবং বড় সাধকরা আসমান ক্রস করে চলে যায়। একেক আসমান ক্রস করতে থাকে, যারা খারাপ লোক তারা পৃথিবীর গ্র্যাভিটেশনের মধ্যেই পড়ে থাকে। সাধনা আসলে কী? সাধনা হচ্ছে পৃথিবীর যে গ্র্যাভিটেশন ল এটার বিরুদ্ধে যাওয়া। মানে দুনিয়াদারীটা কি? দুনিয়াদারী হচ্ছে আসলে গ্র্যাভিটেশন। বলে না, দুনিয়ায় আসক্ত, দুনিয়ায় আসক্ত হবে কিভাবে? কারণ তার মধ্যে পৃথিবীর যে গ্র্যাভিটেশনটা ওটা বেশি কাজ করতেছে। সে বস্তুর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, সে মানুষের প্রতি বেশি ইনক্লাইনড হচ্ছে, আল্লাহর প্রতি না হয়ে। আল্লাহর প্রতি যাওয়াটা কী? আপনি আপনার স্পেসশিপ পরে নিছেন, ইউ আর লিভিং দ্য আর্থ। আপনি গ্র্যাভিটেশন ল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, ওটা কিন্তু আল্লাহর প্রতি যাত্রা, আল্লাহমুখী হওয়া। যখন মানুষ মারা যেতে থাকে… পৃথিবীর গ্র্যাভিটেশন তার থেকে চলে যাচ্ছে, সে এটা বুঝতে পারতেছে। তার বডি উঠে আসতেছে, তার আত্মাটা উঠে আসতেছে, যত উঠতেছে আল্লার ইয়াটা পাচ্ছে। সবাই পায় না, কিন্তু সাধারণ ইন জেনারেল পায়। পায় বলেই একটু আল্লা-খোদার নাম করে।
ই: ওই যে ডেভিড বোয়ির গানের মধ্যে বলছে, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল
র: মেজর টম। ও তো এটা নিয়ে অনেক ক্যাচাইছে, মানে অনেকে বোঝার চেষ্টা করছে, লাস্টে গিয়ে বুঝছে যে হি ওয়াজ রং। সে বুঝছে যে, আল্লাই, ট্র্যাডিশনাল যে গড, সেটাই সব।
ই: হ্যাঁ। সে তো সব কিছুর মধ্যে সে ছিল।
র: বহুরকম। মানে সে কিউরিয়াস লোক ছিল।
ই: অসম্ভব কিউরিয়াস।
র: কিউরিয়াস ছিল আর একটু বাচ্চা তো। রকস্টার মানেই কিন্তু বাচ্চা।
ই: মানে সে তার টিনেজকে প্রিজার্ভ করতে পারছে। এবং টিনেজ ইনোসেন্স, আমি তো দেখি যে মানুষজন
র: এরা সবাই টিনেজ ইনোসেন্সে ছিল। যতই বলেন এরা তো ধরেন মিউজিকে ছিল। মিউজিক মানে এক ধরনের এন্ড অফ ইয়োর থটস অ্যাকচুয়ালি। মানে আপনি চিন্তা করলে কিন্তু মিউজিক হবে না।
ই: না
র: মিউজিকটা একেবারে ইয়া কর। দুইটা পথ হয়, মানে এন্ড অফ ইয়োর থট, বিগিনিং অফ ইয়োর স্পিরিচুয়ালিটি। তো বিগিনিং অফ ইয়োর স্পিরিচুয়ালিটি এ জায়গায় যাইতে পারে খুব কম মিউজিশিয়ান। বেসিক্যালি এন্ড অফ ইয়োর থটে চলে যায়। তখন তারা এক ধরনের টেকনিক্যাল পার্সন হয়, সুরে সুরে বাজায়। আর যারা বিগিনিং অফ ইয়োর স্পিরিচুয়ালিটিতে, এন্ড হয় তাদের নুসরাত ফতেহ আলী খানে বা কোন বড় অপেরা সিংগারে, বা বড়ে গুলাম আলীতে বা রশিদ করিমের মত কোন মায়েস্ত্রো, এরকম আরকি। কিন্তু ওটা তো সবার জন্য না, তো এটা এরকম হয়। অ্যাজ সেইম অ্যাজ আর্টে কিন্তু তাই। বেশিরভাগই এন্ড অফ দ্য থটে চলে যায়।
ই: হ্যাঁ
র: বিগিনিং অফ স্পিরিচুয়ালিটিতে খুব কম লোক যায়।
ই: না তখন তারা টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে খুব কারিকুরি শুরু করে।
র: সবই একই।
ই: সেগুলা নিয়ে কথা বলা শুরু করে, আজকে এটা করলাম। ওই মিডিয়ামে গেলাম  
র: চকচকে গাড়ি বানায়, বাট ইঞ্জিন নাই।
ই: ইঞ্জিন নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নাই।
র: তো আমি মনে করি, এখনকার ল্যাকিং হচ্ছে যে, মিনিমাম ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপাবিলিটিও লাগে। স্পিরিচুয়ালিটির সাথে লাগে যে এখনকার যেটা বুঝতে হলে। যেমন সুলতানের মধ্যেও ছিল। ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপাবিলিটি ছিল বলেই সে জাম্প দিতে পারছে। সে ভ্যান গগ বুঝছে, সে ইম্প্রেশনিজম বুঝছে, সবকিছু বুইঝঝা তারপর হইছে। এখন হচ্ছে তাড়াহুড়া বেশি। আর কিছু যে নলেজ লাগে, যেটা বেসিক নলেজ, ক্লাসিক নলেজগুলা, ক্লাসিক লিটারেচার পড়তে হয়, ক্লাসিক এয়া করতে হয়, যেগুলা হাজার বছর ধরে থেকে গেছে সমাজে, সেগুলার একটা পাওয়ার আছে। হাজার বছরের আর্ট যেটাই বলেন ওগুলা একটু জানতে হয়। আমি মনে করি যে এগুলা তারা জানতে চায় না।
ই: তারা মনে করে, কী হবে জেনে।
র: হ্যাঁ কী হবে জেনে। কারণ এখনকার যে বুদ্ধিবৃত্তিক কালচার এটা হচ্ছে নিউজপেপারভিত্তিক
ই: জার্নালিস্টিক
র: জার্নালিস্টিক ইন্টেলেকচুয়াল কালচার। তো এটা খুব শ্যালো হবে। আপনি একটা ঘটনার মর্ম না বুঝতে পারেন, যে ট্রেনে দুর্ঘটনা হচ্ছে, এটা নিয়ে আপনি পাঁচ পৃষ্ঠার ইন্টেলেকচুয়াল লেখা লেখেন, লাভ হবে না। আপনাকে ধরতে হবে অন্য জায়গায়। এটা কারা করছে, কী করছে, এদের জ্ঞাতিগুষ্টি কী, কোন ট্রাইবের, কোন অংশের, ইতিহাসে কোথায় কী হইছিল—এরকম ব্রাঞ্চ খুঁজে বাইর করতে হবে। দ্যান আপনি বুঝতে পারবেন যে এই ঘটনাটা এটা হইছিল। আমি একটা ছোট উদাহরণ দিলাম, যেকোনো আরকি। তো আপনি জার্নালিজমে পাঁচজন মারা গেছে, কালো হাত ভেঙ্গে দাও অত্যাচারীর বলে চুপ করে বসে থাকো।  
ই: জার্নালিস্টিক জায়গা থেকে তো হচ্ছে বিষয়টা ডিফারেন্স দেখানোর মধ্যে খালি। ইনফারেন্সের জায়গা নাই, যেটা আপনার স্পিরিচুয়াল বা
র: ডিসকোর্স নাই। ডিসকোর্স ছাড়া আপনার এক ধরনের ফটোগ্রাফিক
ই: রিয়ালিটি।
র: রিয়ালিটিকে ওরা ব্যাখ্যা করে, যে এই ছবিতে একটা লোক দেখা যাচ্ছে, তার হাতে একটি কলা, আরেকটি লোক দেখা যাচ্ছে তার মাথায় একটি গাছ। এই ব্যস হয়ে গেল, কলা আর গাছ। হা হা হা। আমি মনে করি এসব সিচুয়েশন থেকে বের হতে হলে আপনাকে, মানে পুরা সোসাইটিকে এক ধরনের সিম্পল লিভিংয়ে যেতে হবে। এখনতো গ্লোবাল কমিউনিটি তো, মানে গ্লোবাল কমিউনিটি ছিল, এখন ইন্টারগ্যালাকটিক কমিউনিটি, এটা বুঝতেছেনা লোকজন। আমি বলি দশ বছর পরে আমার কথাগুলা আরো ভ্যালিড হবে। এখন শুনতে অন্যরকম লাগছে। কিন্তু এখনকার যুদ্ধটা ইন্টারগ্যালাকটিক হয়ে গেছে। এটা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। মানে আমি মনে করি এই লাস্ট ১০ বছর, ইন্টারগ্যালাকটিক এরার শুরু। এআই দিয়ে শুরু হচ্ছে আরো বেশি করে। এবং এটা দিয়ে আরো অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস হবে। এআই দিয়ে এখন হচ্ছে মানুষ এআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে। মানে মানুষকে এআই সাহায্য করছে এখন, আর ভবিষ্যতে মানুষ এআইয়ের সাহায্য নেবে। কথাটা বুঝছেন? মানে উল্টায় যাবে। এখন যেমন এআইকে ইউজ করছে মানুষ, তারপর এআই মানুষকে ইউজ করবে। এআই গেমটা পাল্টায়ে দেবে, মানুষ তখন এআইয়ের আন্ডারে চলে যাবে। এআইয়ের মানেটা দেখেন আপনি, এআই মানে কী? আমি যদি এটাকে ভাঙি- ‘একটা চোখ’!
র: ওই যে দজ্জালের ইন্টারফেস। ওটাই কিন্তু, এ আই, ওয়ান আই। ওই যে লন্ডনে এআই নিয়ে একটা এক্সিবিশন, ওটার লোগোটা কি করলাম, দুইটা লোগো, লোগোটা আমি করলাম কি, ওই ট্রায়াঙ্গেলের আইটা নিয়ে ক্বাবায় দিলাম। মানে চোখ তো আসলে আল্লাহর প্রতীক, এটা কিন্তু পরে এরা ইউজ করছে তাদের প্রতীক হিসেবে। কিন্তু আসলে চোখ দিয়ে আল্লাহর প্রতীকই বোঝানো হয়। যত পেইন্টিং দেখবেন সব জায়গায় চোখ একটা সিম্বল। তো ভবিষ্যতে হবে যে, আমরা এআইর অংশ হয়ে যাব। এখন এআই হচ্ছে আমাদের। অলরেডি আমরা কিন্তু সাইবর্গ। সাইবর্গ কেমন যে আমাদের হাতে সবসময় মোবাইল থাকে। এবং মোবাইলটা যদি হারায় বা একটু ওদিক থাকে
ই: মাথা খারাপ হয়ে যাবে
র: এক্কেবারে ব্লাড প্রেশার উঠে যাবে। বা অনেকেরই সমস্যা হয়ে যাবে। মানে ইউ আর পার্ট অফ ইট। মানে আপনি পার্ট অফ ইট। মোবাইলটার পার্ট অফ ইট।
ই: এটা আমার এক্সটেনশন হয়ে গেছে। আমার এক্সিসটেন্সের…
র: মানে আপনার হাতের পাঁচটা আঙ্গুল আছে, আর একটি মোবাইল আছে। মানে আমরা তো আস্তে আস্তে যন্ত্রের দিকে চলে যাচ্ছি। তো যন্ত্র এখনো আমাদের সার্ভ করছে, এখন ভবিষ্যতে আমরা যন্ত্রকে সার্ভ করব। অলরেডি আমরা আসলে যন্ত্রকেই সার্ভ করছি, আমরা গুগল, যত ইলেকট্রনিক মিডিয়া এদের সার্ভ করতেছি। তারপর আমরা কী খাব, কী পরব এটা ওরা ডিসাইড কর দিচ্ছে। পৃথিবীতে ১৫-২০ জন বিলিয়নিয়ার মিলে আমাদের জীবন কন্ট্রোল করছে হোল ওয়ার্ল্ডে।
ই: আবার আমরা কী খাচ্ছি-দাচ্ছি সেটাও বারবার ইনফরমেশন আকারে ওদেরকে দিয়ে রাখছি।
র: দিয়ে রাখছি, তো ওরা ওদের মতামত প্রকাশ করছে তোমরা এভাবে যাও। মানে আমরা সায়েন্স ফিকশনে যেটা দেখি ওটা ফিল্ডে। এখন একটা মজার জিনিস হচ্ছে যেগুলো ৩০-৪০ বছর আগে সায়েন্স ফিকশন ছিল, ওটা এখন রিয়েলিটি। তার মানে এখন যেটা সায়েন্স ফিকশন ভাবছি ওটা, মানে সায়েন্স ফিকশনগুলা টোটালি হবে। যেমন এই যে আমরা দেখতাম স্টারট্রেকে, ফোনে কথা বললে ছবি দেখা যায়। তো এটা ছিল কত আগে, ৪০-৫০ বছর, এখন এটা রেগুলার দেখা যাচ্ছে। তারপর কয়দিন পর ম্যাটার ট্রান্সমিশন শুরু হবে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। অলরেডি অ্যাটমকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এআই তো প্রথম দেখায়, খুব ভালভাবে দেখায় ২০০১: স্পেস অডিসি ছবিটিতে। এআই এর সবচেয়ে ভয়ানক জায়গাটা দেখায়
ই: রেড আই
র: হ্যাঁ, ওটাও কিন্তু আই। এ আই, সেইম। ওই লোক তো ভিশনারি।
ই: ভিশনারি, ডেঞ্জারাস লোক।
র: ডেঞ্জারাস লোক, ওটা সে পাইছিল। আবার ওই ছবিতে ইয়েও ছিল, টাইমের যেটা বললাম, ওইটাও ছিল, একসঙ্গে টাইম দেখতেছে।
ই: হ্যাঁ। এ ঘর থেকে ও ঘর, সে বুড়া হয়ে যাচ্ছে। মানে দুইদিন পর আর সায়েন্স ফিকশন থাকবে না, ফিকশনাল সায়েন্স থাকবে।
র: থাকবে। তখন সায়েন্স ফিকশনটা, তখন আরেক ধরনের ফিকশন বেরুবে আরকি।
ই: বা সায়েন্টিফিক ফিকশন আরকি। সায়ন্সের দিন শেষ, এখন তো পুরাটাই টেকনো। মানে টেকনো কালচার, টেকনো প্যারানয়া, টেকনো এঙজাইটি। যেটা বললেন, ফোনটা হারায়ে গেলে কী হবে।
র: এঙজাইটিমূলক সোসাইটিতো, এটা একটা এনজাইটিমূলক পৃথিবী।
ই: প্যারানয়াটা এখন চরম
র: গ্যালাকটিক কালচার আসছে, কিন্তু গ্যালাকটিক যাত্রা নাই। ধরেন আমরা রকেট করে অন্য জায়গায় যাইতে পারতেছি না। আমরা মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার চেষ্টা করতেছি, কিন্তু মঙ্গল গ্রহের কালচারটা কিন্তু চলে আসছে। মঙ্গল গ্রহের কালচার আসছে, কিন্তু উই আর নট, মানে এখনো যাইনি আরকি। এটা হয়ত ম্যাটার অব টাইম। তারপর ধরেন ইলন মাস্ক যেটা করতেছে, ব্রেইনে ইমপ্ল্যান্ট করে ইয়া করবে। এটাতো একটা বিরাট রেভ্যুলুশন। উইদিন ফাইভ ইয়ারসে পৃথিবীর শিক্ষাব্যবস্থা দরকার হবে না। ব্রেইনে ইমপ্ল্যান্ট করে যে যা হতে চায়, সো সামনে একটা ফ্যাসিনেটিং সময় আসতেছে, হুইচ ইজ ট্রুলি ইন্টারগ্যালাকটিক কালচার। এবং ইন্টারগ্যালাকটিক সভ্যতা যেটা চলে আসবে পৃথিবীতে, বুঝছেন। ওটার জন্য তো রেডি করা হচ্ছে। এবং এটা আল্লাহ বলেছেন, তোমরা মহাকাশে যেতে পারবা, যতটুকু আমি অনুমতি দিব। ও এরকম আছে যে, শয়তান লাফাবে এক আকাশ থেকে আরেক আকাশে, আবার পৃথিবীতে আসবে। এটা কিন্তু ওটার প্রতীক আরকি। এই আরকি। ভালই হলো, নাকি!

প্রথম কিস্তি পড়ুন :https://www.news24bd.tv/details/173622

( চলবে )

রনি আহম্মেদ – সুফি শিল্পী ও সাধক রনি আহম্মেদ বাংলাদেশের প্রধান শিল্পীদের একজন। দেশে বিদেশে বহু প্রদর্শনী করেছেন। আধ্যাত্মিক জগতের শিল্পীমালা তার শিল্প ভুবনের প্রধান অনুষঙ্গ। ১০০ ফুট দীর্ঘ নূহ এর নৌকার বিষয়ে পেন্টিং, কক্সবাজারে বৃহৎ কাছিমের স্কাল্পচার ও মুরাল তার বিশালাকৃতি উল্লেখযোগ্য কাজ। তার সাতটি বই গল্প, কবিতা ও আর্ট-এর, প্রকাশিত হয়েছে।

ইমরান ফিরদাউস – তত্ত্ব সমালোচক, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। সম্প্রতি মিডিয়াতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

news24bd.tv/ডিডি

সম্পর্কিত খবর