তাসনুভা অরিন ক পৃথিবী প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী পৃথিবী বললে সমুদ্র না দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনী। খ একদিন জনপদ চলে যাবে বৃক্ষের দখলে বাঘেরা ভেঙ্গে দেবে চিড়িয়াখানা সার্কাসের তাবু। আমি দেখবো ভীতমানুষ, পরাজিত অহম। আমি সৃষ্টি না, ধ্বংস করছি সৃষ্টির অহংকার অমরা স্বপ্নেরা আত্মজা, গহীন ধ্যনের আরতে জাগৃতি- ওম তোমার কুসুম বোটায় দুলে ওঠে নাচের মহিমা এক জন্মের তাণ্ডব - এই কামনাময় বাহু, আগ্নিক আলিঙ্গনে, ফুটছে নতুন চোখ- অমরায়। জন্ম জন্ম নিনাদ ছিল রসোময় কোষে যেন কিছু আত্মহত্যা প্রবণ স্পারম মৃত্যু প্রকোস্ট ভেবে ঢুকে গেল জরায়ুতে। আর গর্ভপাতের রক্তে ধুয়ে যেতে পারেনি বলে গর্ভধারিণীকে রক্তাত্ত করেছিল, অনিচ্ছায়- জন্মদাগ নিয়ে হাঁটছি ছায়া পরিসীম দেখছি চোখের সঙ্গমেও চোখ জন্মে যায় শত।...
তাসনুভা অরিনের পাঁচ কবিতা
তাসনুভা অরিন
ইসমত শিল্পীর কবিতাগুচ্ছ
ইসমত শিল্পী
চোখ ধোঁয়ার আক্রমণে আহত আমার চোখ। সরল চুলের আগায় ধুলোহীন উসর দৃষ্টি ঝরে পড়ছে হাওয়ায়। খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হচ্ছে চোখ রোদের অভাবে পাতারা কাঁপছে এখন কিভাবে ফিরবো আমি? আলোর অভাবে জলের অভাবে তোমার অভাবে আমি কি অন্ধ হব! অজানা রোগের ভয়ে বলো আমি কি পথ হারাবো জ্যোৎস্নার রাতে। ব্রোথেল সে এক অচেনা ঘাসফুল আর্শ্চয জল বৃক্ষ অথবা নদী। ফিরে না আসা জলজ পাখি গোধূলি দেখা দেয় সন্ধ্যার জন্যে অপেক্ষা করি। কোথাওবা সরু পথ মিশে থাকে মাটির বুকে, সন্ধ্যা নেমে আসে ধীর-সন্তর্পনে এইখানে, শহুরে ব্রোথেলে। প্রতিদিন সন্ধ্যার সঙ্গে মিলিত হয় রাত সব ফেরা ফেরা নয় ফেরা হয় না আমার। আমি নই ছায়া পড়ে থাকে শহুরে ব্রোথেলে ধীবর তোমার শরীর ঠিকরে আঁধারিনদ ডুবিয়ে নিচ্ছে রোদের পাহাড়। জলে ভিজে ভিজে দৈনিক আমার দেহ স্যাতস্যাতে, পাথর! তুমি কি হিরন্ময়ী? সাতিন ফেরদাউস...
ওয়াহিদ রোকনের পাঁচ কবিতা
ওয়াহিদ রোকন
ওয়াহিদ রোকন যুদ্ধ ও পরাশক্তি সেবার বুদ্ধ-পূর্ণিমায় প্রতিবেশী দেশ পারমানবিক বিস্ফোরণ ঘটায় অসহযোগ সীমান্ত-শাসনে যা ভাবা গেল না বিকট শব্দে তা গেল জানা আর আমাদের জোয়ানরা খবর পায় যদিও তারা শুনলো- পরাশক্তির ডাক! তখন থেকে এমন গল্প ওঠে তেমন চান-রাইতে তখন থেকে সীমান্তে বারুদের গন্ধ স্বাভাবিক লাগে আর প্রতিটা সীমান্ত-বৈঠকে অনুবাদ হইতে থাকে হেয়ালি জোছনা রাতের বার্তা; জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক । ২৯.০৪.২০১৮ খালি ঘরের সংখ্যা জাপানের পিছন থেকে সূর্য উঠলে এইখানে ক্লাশ-থিরিতে পৌছে গেল আলো পাঠশালার উঠানে তেজি মুখে নামতা পড়লো রইদ-রাজারা মুখস্ত করে চলে গেল একদল- ধনুষ্টঙ্কার টিকা নিতে, পশ্চিম-মুখে উদ্যান-বনে । আর বটতলার নরম মাটির স্লেটে অংক মুছে ফাজিল বাল-বাচ্চারা, খালি ঘরের সংখ্যারা গেল কই? বলল না, গেল উদয় থেকে অস্তে...
নুসরাত নুসিনের কবিতাগুচ্ছ
নুসরাত নুসিন
বসন্তদিন ধু ধু পশ্চিয়া বাতাসে অবদমিত ওড়নার গোটা প্রান্তটাই উড়ে যাচ্ছে। ঠোঁটে নিয়ে কামরাঙা যত, বলোÑ কিভাবে পেরিয়ে যাব এই জামরুল ফলের বাগান, জোনাকির ডানার নিচে ঘুটঘুটে রাত, জীয়ন্ত কুকুর, দীর্ঘ পদ্মা ও একলক্ষ প্রেতেদের ছায়া? আর তুমি নিজে কতটা চিনে নিয়েছ মর্মাহত জবাফুল? স্ত্রীপুষ্প ও রমণ ব্যাপার? উজ্জ্বলতা ধরে এমন কিছু চিনে উঠতে পারো? জোনাকির মত মৃদুমগ্ন আগুন? চেনোনি কিছুই। নিম ও মধুরতা চেনো নাই। রক্তস্রোতে শুধু ভেসে যাই। বুলবুল গানের বদলে আজও কূটতর্ক করে প্রেমিক বুলবুল সুরের যেকোনো নিবেদনকে সে ঠুকরে খেয়েছে। নদীকূলে শেষ তর্কটির কথা মনে পড়ে। সেখানে আছে একটি বটগাছ। মন্দির। ডালগুলো বিছানাময়। তবু পথ চলতি ধূপের হাওয়া সাজায়নি কোনো প্রণয় বারুদ। অজস্র মিথ্যে ভঙ্গিমা দিকহীন নদীতে মিশেছে ধূপহীন গানহীন কূটতর্ক আজও বেজে চলেছে। জলপাই সুখ...