এখন যেমন মীম নামটা মেয়েদের খুব বেশি হয় তখন মৌটুসি নামটি মেয়েদের বেশি রাখা হতো। ঢাকার হলিক্রস কলেজের মৌটুসি নামের বিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী ছিলেন। তার সাথে জীবনে মাত্র একবার দেখা হয়েছে । কিন্তু তিনি আমার জীবনে গভীর একটি বেদনা রুয়ে রেখেছেন। মৌটুসির কলেজের বায়োলজির শিক্ষক যে মিস, তিনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন । মিস সিরাজগঞ্জ যাবেন আমাকে সাথে নিয়ে । যে বার যমুনা ব্রীজ ওপেন হয়েছিলো, সে সময়কার এই ঘটনা। খুব সকালে সকাল আমি মিসএর বাসায় এলাম। এবং একটু পরেই আমরা একটা বেবি ট্যাক্সি নিয়ে উত্তরার উদ্দেশ্য রওনা হলাম। তখন উত্তরা ছিলো মাঠ- খেতের ভিতরে সবেমাত্র গড়ে উঠতে থাকা একটা আবাসিক এলাকা । একটা চারতলা আন্ডার কনস্ট্রাকশন বাড়িতে এসে আমারা বেবি ট্যাক্সি যাত্রার সমাপ্তি টানলাম। বাড়িটি মিসের ছাত্রী মৌটুসিদের। এখানে এসেই জানলাম মৌটুসির দাদাবাড়ি...
মৌটুসির মৃত্যুর আগে
মৃগাঙ্ক সিংহ
রহমতের স্মৃতিগুলো
রনি আহম্মেদ
রনি আহম্মেদ আল্লাহ পাক এর পথ যিনি অনুসরণ করেন তিনি শুধু নিরপেক্ষ । সৃষ্টির পথে কোনো নিরপেক্ষতা নাই । সৃষ্টি পরস্পর নির্ভরশীল ও কলহরত । আল্লাহ মহান । লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ মুহাম্মদুর রাসূল আল্লাহ । অভূতপূর্ব বছরগুলো ছিলো পাতাল পুরীর সিন্দুকে বন্দি , আর আল্লাহ পাকের নির্দেশে দূরভিত হলো অন্ধকারের গাঢ় পর্দা । বিজন ধ্যাণ কেন্দ্রী দেয়াল পত্রিকার সাতশো বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমরা অনেক ভালোবাসলাম , কৃষ্ণচূড়ার দীপশিখা জ্বলা আলোতে রাতের রাস্তা ভরে গেল। লুসি বলল, দেখতে দেখতে ৭০০ বছর চলে গেল ,অথচ মৃতরা কেউ কিন্তু ফিরল না । করিম বলল , দেখো এভাবেই রাতের আকাশ সাজানো হয় , নক্ষত্রের অবিরাম জন্ম মৃত্যু , কী অপুরুপ দৃশ্য , তুমি তো জানোই, ক্র্যাব নেবুলায় যখন আমাদের মহাকাশ যান নষ্ট হয় , তুমি নিকট তম সুপারনোভার সোনালি , গোলাপি ধাতব আলোতে কী বলেছিল মনে আছে ?...
তাসনুভা অরিনের পাঁচ কবিতা
তাসনুভা অরিন
তাসনুভা অরিন ক পৃথিবী প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী পৃথিবী বললে সমুদ্র না দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনী। খ একদিন জনপদ চলে যাবে বৃক্ষের দখলে বাঘেরা ভেঙ্গে দেবে চিড়িয়াখানা সার্কাসের তাবু। আমি দেখবো ভীতমানুষ, পরাজিত অহম। আমি সৃষ্টি না, ধ্বংস করছি সৃষ্টির অহংকার অমরা স্বপ্নেরা আত্মজা, গহীন ধ্যনের আরতে জাগৃতি- ওম তোমার কুসুম বোটায় দুলে ওঠে নাচের মহিমা এক জন্মের তাণ্ডব - এই কামনাময় বাহু, আগ্নিক আলিঙ্গনে, ফুটছে নতুন চোখ- অমরায়। জন্ম জন্ম নিনাদ ছিল রসোময় কোষে যেন কিছু আত্মহত্যা প্রবণ স্পারম মৃত্যু প্রকোস্ট ভেবে ঢুকে গেল জরায়ুতে। আর গর্ভপাতের রক্তে ধুয়ে যেতে পারেনি বলে গর্ভধারিণীকে রক্তাত্ত করেছিল, অনিচ্ছায়- জন্মদাগ নিয়ে হাঁটছি ছায়া পরিসীম দেখছি চোখের সঙ্গমেও চোখ জন্মে যায় শত।...
ইসমত শিল্পীর কবিতাগুচ্ছ
ইসমত শিল্পী
চোখ ধোঁয়ার আক্রমণে আহত আমার চোখ। সরল চুলের আগায় ধুলোহীন উসর দৃষ্টি ঝরে পড়ছে হাওয়ায়। খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হচ্ছে চোখ রোদের অভাবে পাতারা কাঁপছে এখন কিভাবে ফিরবো আমি? আলোর অভাবে জলের অভাবে তোমার অভাবে আমি কি অন্ধ হব! অজানা রোগের ভয়ে বলো আমি কি পথ হারাবো জ্যোৎস্নার রাতে। ব্রোথেল সে এক অচেনা ঘাসফুল আর্শ্চয জল বৃক্ষ অথবা নদী। ফিরে না আসা জলজ পাখি গোধূলি দেখা দেয় সন্ধ্যার জন্যে অপেক্ষা করি। কোথাওবা সরু পথ মিশে থাকে মাটির বুকে, সন্ধ্যা নেমে আসে ধীর-সন্তর্পনে এইখানে, শহুরে ব্রোথেলে। প্রতিদিন সন্ধ্যার সঙ্গে মিলিত হয় রাত সব ফেরা ফেরা নয় ফেরা হয় না আমার। আমি নই ছায়া পড়ে থাকে শহুরে ব্রোথেলে ধীবর তোমার শরীর ঠিকরে আঁধারিনদ ডুবিয়ে নিচ্ছে রোদের পাহাড়। জলে ভিজে ভিজে দৈনিক আমার দেহ স্যাতস্যাতে, পাথর! তুমি কি হিরন্ময়ী? সাতিন ফেরদাউস...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর