রাজনীতি করার জন্য উত্তম বংশপরিচয় দরকার এবং বংশীয় লোকজন যদি রাজনীতিতে সচেতন না হয় এবং বংশের প্রধান ব্যক্তিকে সমর্থন না করে তবে কারও পক্ষেই রাজনীতিতে সফল হওয়া সম্ভব নয়। বংশ বা গোত্র কীভাবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কীভাবে গোত্রীয় রাজনীতি থেকে একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার ভূরি ভূরি উদাহরণ ইতিহাসে রয়েছে। রাজনীতির সর্বকালের সেরা দার্শনিক ইবনে খালদুন এবং তাঁর অমর সৃষ্টি যারা পড়েছেন তারা উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমী, মুর, অটোমান দাস বংশ, লোদি বংশ, পাল বংশ ও মৌর্য বংশ থেকে শুরু করে মুঘল বংশের সফলতা কিংবা ব্যর্থতার কারণগুলো মুখস্থ বলে দিতে পারেন। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু বাংলাদেশের পারিবারিক রাজনীতির ব্যর্থতা। এ ক্ষেত্রে আমরা বিএনপি-আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুরবস্থা নিয়ে ইতিহাসের আলোকে এবং গাণিতিক নিয়ম অনুসরণ...
বন্ধুহীন রাজার বংশহীন সিংহাসন!
গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক
“কোকো ভাই”
লুনা রুশদী
সময়টা ১৯৮৮ অথবা ৮৯ সাল হবে। কোকো ভাই যখন মেলবোর্ন এসেছিল লেখাপড়ার জন্য, বেগম খালেদা জিয়া তখন বিরোধী দলের নেত্রী। এরশাদ ক্ষমতায়। তখনও বোধহয় পল কিটিং অস্ট্রেলিয়ার প্রাইম মিনিস্টার হন নাই। সে বছর বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিলো। বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য আমরা অস্ট্রেলিয়ায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। এই অনুষ্ঠানের মহড়ায় তার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়। সেই স্মরণীয় দিনে মোনাশ ইউনিভার্সিটির একটি হলরুমে আমাদের মহড়া চলছিলো। সিঁড়িতে উঠে একটা টানা বারান্দা পার হয়ে যেতে হতো সেই হল রুমে। এখান থেকে গানবাজনার শব্দ শোনা যেত, মানুষের কথাবার্তা, হাসাহাসিও। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতে দেখলাম উপরে রেলিংয়ের উপরে একজন তরুণ বসে আছেন। তাকে ঘিরে ফয়সল ভাই, মিকি ভাই, বাবু ভাই আরো অনেকে বসা। রেলিংয়ে বসা লোকটিই ছিলেন কোকো ভাই। কালো রঙের একটা লেদার জ্যাকেট গায়ে ছিল...
ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে দরকার দ্রুত নির্বাচন
অদিতি করিম
অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচন নিয়ে দেশে এক অপ্রয়োজনীয় তর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন দ্রুত হোক কেউ কেউ চায় না। নির্বাচন নিয়ে কারও কারও মধ্যে গায়ে পড়ে ঝগড়া করার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। দেশে এখন একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সৃষ্ট জঞ্জাল মোটামুটি পরিষ্কার করে একটি নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সাড়ে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা পাওয়া যায়নি। যদিও প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে নানা রকম অনিশ্চয়তা এবং বিভিন্নমুখী কথাবার্তা...
প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কেন চাই
অনলাইন ডেস্ক
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা রাজ্যকে আলাদা করার জন্য মাঝখানে একটি দেয়াল দেওয়া আছে; যেমন ছিল পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনকে আলাদা করার জন্য বার্লিন ওয়াল। মেক্সিকো-মার্কিন সেই দেয়ালের ওপর দাঁড়িয়ে উত্তর দিকে তাকালে চোখে পড়ে আরিজোনা রাজ্যের নোগালেস শহর। উন্নত দেশের উন্নত শহর। এখানে বেশির ভাগ লোকের আর্থ-সামাজিক অবস্থান আন্তর্জাতিক মাপে বেশ উঁচুতে। সব দিক থেকেই তারা ভালো আছে, ভালো থাকবে, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখবে। উন্নতির উপসর্গ হিসেবে কিছু উপাদান উল্লেখ করা যায়; যেমনসেখানকার মানুষ বেশিদিন বাঁচে, বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে অনেক দূর পর্যন্ত পড়ালেখা করে, অর্জিত সম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিকদের ভাবতে হয় না, কোথাও বিনিয়োগ করলে মার খাওয়ার চান্স নেই, নেতা পছন্দ না হলে নির্দিষ্ট সময়ের পর নিজেদের পছন্দের লোককে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে পারে। আইনের শাসনের কঠোর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর