গাজার বর্তমান অবস্থা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। একে কেউ কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খোলা বন্দিশিবির বলছেন, কেউ বলছেন হত্যাক্ষেত্র। অথচ এর এক ঘণ্টার দূরত্বে তেল আবিব। তেল আবিবের অনেক বাসিন্দা নিশ্চিন্তে আরামে জীবন কাটাচ্ছেন, যেন কিছুই ঘটছে না। ইসরায়েল ভয়াবহ মাত্রায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মনে হচ্ছে এ যুদ্ধে আপাতভাবে জয়ী ও শক্তিশালী ইসরায়েলই। কিন্তু সত্যি তাই? হামাস এখনও আত্মসমর্পণ করেনি। হামাস আত্মসমর্পণ করবেও না। যদি করত তবে ফিলিস্তিনীরা হেরে যেত। মানে প্রমাণ হতো তারা ভয় পেয়েছে। ফলে ইসরায়েলের হামলায় জিতেছে ফিলিস্তিনিরাই। যদি কেউ কেউ ভাবছেন, হামাসের নেতারা অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাবেন। যেমন একসময় ফাতাহ করেছিল। তাদের এ ভাবনা প্রমাণ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তাঁর প্রতিপক্ষকে কতটা ভুলভাবে বুঝেছেন। ১৮ মাসের যুদ্ধে, দুই মাসের অবরোধে...
ইসরায়েল হামলা চালালে যেভাবে জিতে যায় হামাস
ডেভিড হার্স্ট

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও সংখ্যালঘু সংহতি: বিভাজন নয় সহাবস্থানেই হবে আমাদের শক্তি
বি জে (অব) ড. একেএম শামছুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই একটি বৈচিত্র্যময় সমাজব্যবস্থার বাস্তবতা আমরা প্রত্যক্ষ করে আসছি। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে সংখ্যালঘুদের অবদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তাদের চারপাশে তৈরি করা নানা ভ্রান্ত ধারণা ও রাজনৈতিক অপপ্রচারণাও একটি বাস্তবতা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা ও জাতীয় চেতনার ভেতর এই সংখ্যালঘু ইস্যুটি কোনো স্বাভাবিক সামাজিক বাস্তবতার ফসল নয়, বরং একটি কৃত্রিম সংকটরূপে গোষ্ঠীগত স্বার্থে চর্চিত হয়েছে। বিশেষ করে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক দল বারবার এই ইস্যুকে ব্যবহার করেছে বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে। বাংলাদেশের ইতিহাস বুঝতে হলে প্রথমে পাকিস্তানি রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তিকে বুঝতে হবে। পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতেএকটি ধর্মনির্ভর রাষ্ট্রব্যবস্থা যেখানে মুসলমান ও হিন্দু আলাদা...
অতি উৎসাহীদের থামাতে হবে এখনই
অদিতি করিম

একজন গৃহবধূ। তিনি সংসার খরচের টাকা বাঁচিয়ে ১৫ বছর আগে শুরু করলেন ৩ হাজার টাকার একটি সঞ্চয় স্কিম। প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে জমা দেন। একসময় তিনি চিন্তা করলেন তার মেয়ে বড় হচ্ছে, তার ভবিষ্যতের জন্য কিছু করা দরকার। এজন্য তিনি বিভিন্ন রান্না, পরিচিতজনের কাছে বিক্রি করা শুরু করলেন। হাতের কাজও তিনি ভালো পারেন। রান্নার কাজে যখন তিনি সাফল্য দেখলেন যে ভালোই টাকাপয়সা উপার্জন করা যায়, তখন তিনি হাতের কাজে মনোযোগী হলেন। এভাবে তার একদিকে যেমন পরিচিত বাড়ল তেমনি উপার্জনের একটা ভালো পথ তৈরি হলো। সংসারখরচের জন্য তিনি এ উপার্জনগুলো ব্যবহার করলেন না, বরং ব্যবহার করলেন ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য। মধ্যবিত্তের জন্য সঞ্চয়ের একমাত্র পথ হলো ব্যাংকে টাকা রাখা। তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যেমন ৫ হাজার, ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকা ছোট ছোট সঞ্চয় স্কিম বা ডিপোজিট স্কিমের মাধ্যমে সঞ্চয়...
কোন দোষে তলানিতে বিদেশি বিনিয়োগ?
মোস্তফা কামাল

কোনো দেশে দেশি বিনিয়োগে ভাটা পড়লে বিদেশি বিনিয়োগে উজান আসে না। অর্থনীতির স্বাভাবিক এ তত্ত্বের টাটকা দৃষ্টান্ত ঘটল বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, কমতে কমতে বিদেশি বিনিয়োগ গেল পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। ২০২৪ সালে দেশে মোট এফডিআই এসেছে ১.২৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩.২৫ শতাংশ কম। এর আগে ২০২৩ সালে এই অঙ্ক ছিল ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার কমেছে এফডিআই। এর কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যা, দেশিদের জন্যও তা-ই। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ডলারসংকট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সব বিনিয়োগকারীর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। দেশি-বিদেশি, সরকারি-বেসরকারি সব বিনিয়োগকারীই চায় পুঁজি খাটানোর পরিবেশ ও পুঁজি ওঠানোর নিশ্চয়তা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ব্যবসার মুনাফা নিজ দেশে ফেরত...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর