পবিত্র ওমরা পালনকারীরা মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ মসজিদে হারামের পাশে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। এখন থেকে মসজিদে হারামের পুব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে ৬৪ নম্বর গেটের কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করা যাবে। সম্প্রতি সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদ কর্তৃপক্ষের বরাতে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ সাত কেজি ওজনের ব্যাগ (বিচ্ছিন্ন জিনিস নয়) সংরক্ষণ করতে পারবেন ওমরা পালনকারীরা। সংরক্ষণাগারে রাখা ব্যাগে মূল্যবান জিনিসপত্র, নিষিদ্ধ পণ্য, খাবার ও ওষুধ সংরক্ষণ করা যাবে না। ব্যাগ ফেরত নেয়ার জন্য একটি ক্লেইম টিকিট দেখাতে হবে। সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা সংরক্ষণাগারে ব্যাগ রাখা যাবে। ভবিষ্যতে গ্র্যান্ড মসজিদের চারপাশের সব এলাকায় ব্যাগ রাখার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে...
মক্কায় বিনামূল্যে লাগেজ রাখতে পারবেন ওমরা পালনকারীরা
অনলাইন ডেস্ক
নেকির পাল্লায় সবচেয়ে ভারী নাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনু আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সবার সামনে নাজাত দেবেন, তার সামনে ৯৯টি দপ্তর খোলা হবে, প্রত্যেক দপ্তর চোখের দৃষ্টি পরিমাণ লম্বা। অতঃপর তিনি বলবেন, তুমি এর কিছু অস্বীকার করো?আমার সংরক্ষণকারী লেখকরা তোমার ওপর অবিচার করেছে? সে বলবে, না, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, তোমার কোনো অজুহাত আছে? সে বলবে, না, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, নিশ্চয়ই আমার কাছে তোমার একটি নেকি রয়েছে, আজ তোমার ওপর কোনো অবিচার করা হবে না, অতঃপর একটি কার্ড বের হবে, যাতে লেখা রয়েছে, আশহাদু-আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহু (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। তিনি বলবেন, তোমার (কাজের) ওজন প্রত্যক্ষ করো। সে...
মানবজীবনে মিথ্যার কুপ্রভাব
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
মিথ্যাকে বলা হয় সব পাপের জননী। মুনাফিকের অন্যতম অভ্যাস। কোনো মিথ্যা হাজারো মিথ্যার জন্ম দেয়। মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মানুষ হাজারো পাপে লিপ্ত হয়। নিম্নে মানবজীবনে মিথ্যার কিছু কুপ্রভাব তুলে ধরা হলো; মানসিক শান্তি কেড়ে নেয় মিথ্যা মানুষের মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়। মানুষকে সার্বক্ষণিক দ্বিধা-দ্বন্ধে ফেলে রাখে। তাই শান্তিময় জীবনের জন্য মিথ্যা ত্যাগ করা জরুরী। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবুল হাওরা আস-সাদি (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাসান ইবনু আলী (রা.)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.) হতে কোন কথাটা মনে রেখেছেন? তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এই কথাটি মনে রেখেছিযে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ কর। যেহেতু, সত্য হলো শান্তি ও স্বস্তি এবং মিথ্যা হলো দ্বিধা-সন্দেহ। (তিরমিজি, হাদিস : ২৫১৮) অন্তরকে...
মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে জিবরাইলের সম্পর্কের স্বরূপ
আল্লামা আশরাফ আলী থানবি (রহ.)
কোনো সন্দেহ নেই ফেরেশতাদের ভেতর জিবরাইল (আ.)-ই ছিলেন মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। কেননা তিনি আল্লাহর পক্ষ তাঁর কাছে ওহি নিয়ে আসতেন, সাহায্যের প্রয়োজন হলে তিনি প্রেরিত হতেন এবং শরিয়তের কোনো বিধানের প্রায়োগিকরূপ দেখানোর প্রয়োজন হলে তিনি তা দেখিয়ে দিতেন। পবিত্র কোরআনে বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে, তাঁকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী, প্রজ্ঞাসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল, তখন সে ঊর্ধ্বদিগন্তে, অতঃপর সে তার নিকটবর্তী হলো, অতি নিকটবর্তী, ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা তারও কম। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি যা ওহি করার তা ওহি করলেন। (সুরা নাজম, আয়াত : ৫-১০) উল্লিখিত আয়াত থেকে ধারণা হতে পারে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে জিবরাইল (আ.)-এর ভূমিকা ছিল শিক্ষকের মতো। তবে বিষয়টি মোটেই এমন নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষার ব্যাপারে জিবরাইল (আ.) মোটেই মধ্যস্থ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর