ড. ইউনূসের জাতিসংঘ মিশনে এজেন্ডাসমূহ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূসের জাতিসংঘ মিশনে এজেন্ডাসমূহ

অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন। আগামী ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন চলবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। নিউইয়র্কে এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে থাকবেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সফর করবেন তারা। তবে অতীতের মতো গতানুগতিক না করে সফরটি তাৎপর্যপূর্ণ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশের সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। বরাবরের মতো বিশ্বনেতারা জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন।

আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের জনগণের নতুন স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার কথাও তুলে ধরবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তবে জাতিসংঘ অধিবেশন ঘিরে বেশ কিছু নতুন চমক দেখাতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। যার মধ্যে হতে পারে-

সার্ক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে আগ্রহী। সে কারণে সার্ক নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক ও ফটো সেশন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সার্কের কোনো সামিট হয় না। সে কারণে জাতিসংঘ অধিবেশনেই সার্ক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী প্রধান উপদেষ্টা। আর এটি সম্ভব হলে নতুন চমক তৈরি হবে।

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক 

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই পরিচিত। আর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার পরিচয়ে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। সে কারণেই জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

এ নিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ অব্যাহত রেখেছে। কোন কোন নেতার সঙ্গে বৈঠক হবে, তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিসহ একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে ড. ইউনূসের  বৈঠক হতে পারে।

মোদী-শেহবাজের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হতে পারে। ড. ইউনূস অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে চান। এদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ জানানো হয়েছে, অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে যেন ড. ইউনূসের একান্ত একটি বৈঠক হয়।  

দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী ও প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে চমক দিতে পারেন ড. ইউনূস। দেশ দুটির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।

সফরসঙ্গীর সংখ্যা

জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার  সফরসঙ্গীর সংখ্যা নিয়েও চমক থাকছে। এর আগে শেখ হাসিনার সরকারের সময় কোনো কোনো বছরে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানকালে সফরসঙ্গী দুই শতাধিকও হতে দেখা গেছে।

২০১৫ সালে ২২৭ জনের প্রতিনিধিদল নিয়ে শেখ হাসিনা ৭০ তম জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে সফরসঙ্গী ছিল ১৭৮ জন, আর ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩৪ জন। এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা ছিল। তবে এবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সফরসঙ্গী হচ্ছেন মাত্র ৭ জন। আর বাংলাদেশ থেকে মোট সঙ্গী হতে পারেন মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন।

news24bd.tv/TR    

সম্পর্কিত খবর