ভারতের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। প্রায়শই নারী নির্যাতনের বিভিন্ন তথ্য চোখে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক নারী ডাক্তার ধর্ষনের স্বীকার হন। এ ঘটনায় এখনও উত্তাল রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
গত ৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আরজি কর মেডিকেলে ৩১ বছর বয়সী একজন শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে কলকাতার রাজপথে নামেন সকল স্তরের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব হন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এই ঘটনা ভারতে নতুন নয়।
এরপরেই, ২০১৩ সালে নির্ভয়া তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিলের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা। নারীদের নিরাপত্তার আশায় কয়েকশ মিলিয়ন ডলার জমাও হয়েছিল তহবিলটিতে। তবে প্রশ্ন এখন নারীদের নিরাপত্তা কি আদৌ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশটিতে?
পরিসংখ্যান বলছে এখনও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি দেশটিতে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান দেখায়, ২০২২ সালে ৩১,৫১৬ টি ধর্ষণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এর অর্থ দিনে গড়ে ৮৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষন প্রতিরোধে ভারত নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও এখনও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ভারত সরকারের নিজস্ব পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক 'নীতি আয়োগ' ২০২১ সালের এক বিবৃতিতে বলে, "মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। "
ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নারীদের সুরক্ষিত রাখতে আরও অনেককিছু করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যতক্ষণ সমাজের পরিবর্তন না হয়, নির্ভয়া মামলার একজন আইনজীবীর ২০১৫ সালে বিবিসিতে করা এই মন্তব্যটি সত্য প্রমাণিত হতে থাকবে: "আমাদের সংস্কৃতিতে, একজন মহিলার জন্য কোন স্থান নেই। " সূত্র: সিএনএন
news24bd.tv/এসএম