যেসব ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার অত্যন্ত জরুরি মনে করেন বিশেষজ্ঞরা

যেসব ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার অত্যন্ত জরুরি মনে করেন বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরেপক্ষ নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারে সংবিধানের সংশোধন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সংবিধান, সম্ভাবনা ও প্রতিক্রিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় এই অভিমত উঠে আসে।  

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস-ব্লাস্ট ও বাংলার পাঠশালা যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আইন বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও এতে অংশ নেন।

সভায় বক্তারা বলেন, কোন কোন সংস্কার এই মুহূর্তে প্রয়োজন, সেগুলো সামনে এনে আলোচনা করা জরুরি। সংশোধন করার ক্ষেত্রে প্রতিটি অনুচ্ছেদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে এবং কেন সংস্কার প্রয়োজন তা আলোচনা করতে হবে।  

এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের সার্বিক বাস্তবতায় সংবিধান সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার অতি প্রয়োজনীয়।

কারণ তা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা অনিশ্চিত করে। অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাসান কাইয়ূম, ড. শরিফ ভূঁইয়া এ বিষয়টি সংস্কারে তাগিদ দেন।  

এ সময় সিনিয়র আইনজীবীরা বলেন, সংবিধানের প্যানাট ঠিক। তবে নিদিষ্ট কিছু সংশোধন দরকার। নির্বাচন ব্যবস্থা নিরেপক্ষ, একনায়কতন্ত্র নির্মূল এবং  প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সমতা নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।  

বক্তারা আরও বলেন, এমনভাবে সংবিধান সংশোধন হতে হবে যেন, জনগণ বাধার মুখে না পড়ে; বরং রাষ্ট্রের ক্ষমতার সীমা নির্দিষ্ট হয়। সেইসঙ্গে প্রতিটি স্টেক হোল্ডার ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ নিশ্চিত করতে হবে।
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের পাঠকপ্রিয়