ইসলাম ধর্ম কোনো ক্ষেত্রেই হানাহানি ও বাড়াবাড়িকে সমর্থন করে না। গ্রহণ করে না কোনো ধরনের চরমপন্থাকে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য কোনো জবরদস্তি করে না। জবরদস্তি করে না হানাহানি, বাড়াবাড়ি করে কোনো ধরনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতি। ইসলাম সহজসরল একটি সাম্যের ধর্ম। সব ধরনের বিভেদ ভুলে এক হয়ে চলার নাম ইসলাম। ইসলামের স্বার্থে সব ধরনের বাড়াবাড়ি বর্জন করে ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয় এ ধর্ম। রসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবাগণকে এভাবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, মুহাম্মদ আল্লাহর রসুল, তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। (সুরা আল ফাতহ, ২৯)। অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে ব্যক্ত করতে হচ্ছে, সাম্য, মৈত্রী ও সহনশীলতার এ ইসলাম ধর্মে আজ নানা মতের ছড়াছড়ি। সবাই আপন আপন মত ও পথ নিয়ে করছে হানাহানি ও বাড়াবাড়ি। সবাই যেন নিজ নিজ...
হানাহানি ও বাড়াবাড়ি ইসলাম সমর্থন করে না
মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী
মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন
প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি। মহান আল্লাহ তাঁকে অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়ার সব মুসলমান স্বপ্ন দেখে- যদি সবকিছুর বিনিময়ে হলেও নবী (সা.)-কে জীবনে এক নজর দেখতে পেতাম! প্রিয় রসুল (সা.) কেমন ছিলেন, তাঁর আকার-আকৃতি কেমন ছিল- এ বিষয়ে অনেক সাহাবি থেকে বর্ণনা রয়েছে। হজরত আলী (রা.) যখনই নবী (সা.)-এর আকৃতির বর্ণনা দিতেন, তখন বলতেন, নবী (সা.) অত্যধিক লম্বাও ছিলেন না এবং একেবারে বেঁটেও ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন লোকদের মধ্যে মধ্যম আকৃতির। তাঁর মাথার চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না। বরং মধ্যম ধরনের কোঁকড়ানো ছিল। তিনি অতি স্থূূলদেহী ছিলেন না এবং তাঁর চেহারা একেবারে গোল ছিল না। বরং লম্বাটে গোল ছিল। গায়ের রং ছিল লাল-সাদা সংমিশ্রিত। চক্ষুর বর্ণ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা লম্বা। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। গোটা শরীর ছিল...
ভ্রাতৃসংঘাত নিরসনে কোরআনের নির্দেশনা
অনলাইন ডেস্ক
মুসলমান পরস্পরের ভাই। সুতরাং তারা পারস্পরিক সংঘাত পরিহার করবে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে এবং অসংখ্য হাদিসে মুমিনদের বিবাদ-সংঘাত পরিহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষত দ্বিনি বিষয়ে বিরোধ ও সংঘাত অত্যন্ত অপছন্দনীয় বিষয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যারা দ্বিন সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোনো দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন। (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৫৯) বিরোধ-বিশৃঙ্খলা পরিহার করা আবশ্যক মুসলমানের জন্য বিরোধ-বিশৃঙ্খলাকে ভয় করা এবং তা থেকে আত্মরক্ষা করা আবশ্যক। কেননা তার কুফল সবাইকেই ভোগ করতে হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা এমন ফিতনাকে ভয় করো, যা বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে যারা জালিম কেবল তাদেরকেই ক্লিষ্ট করবে না এবং জেনে রাখো যে নিশ্চয়ই আল্লাহ...
মুহাম্মদ (সা.)-এর যে বার্তা বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছিল
অনলাইন ডেস্ক
একবার ১৪০০ বছর আগের পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দিন। এ ক্ষেত্রে উঁচু উঁচু ভবন, স্বর্ণ-রৌপ্যের স্তূপ ও চাকচিক্যপূর্ণ পোশাকের বিষয়াদি বাদ দিন। এগুলো তো পুরনো ছবির অ্যালবাম ও প্রাণহীন জাদুঘরেও দেখা যায়, বরং এটা দেখুন যে তখন মনুষ্যত্ব জাগ্রত ছিল কি না? পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত, উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত লক্ষ করে দেখুন, কোথাও মনুষ্যত্বের স্পন্দন পাওয়া যায় কি না এবং তাতে প্রাণের সাড়া ছিল কি না? জীবনের সমুদ্রে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলত। মনুষ্যত্বের বনে বাঘ, চিতা, বকরি ও হরিণকে নির্বিচারে খেয়ে ফেলত, মন্দ লোকেরা ভালো মানুষের ওপর এবং নিম্ন প্রকৃতির লোকেরা সম্মানিত মানুষের ওপর, প্রবৃত্তি বিবেক-বুদ্ধির ওপর, পেটের তাড়না আত্মার দাবির ওপর প্রাধান্য লাভ করেছিল। কিন্তু এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীতে কোনো প্রতিবাদ ছিল না, কোনো ক্ষোভ ছিল না। পুরো পৃথিবী যেন এক...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর