বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য যেসব রাষ্ট্রনায়ক নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের মধ্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন অন্যতম। তিনি শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেননি, বরং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিসরে বাংলাদেশের সক্রিয় উপস্থিতি ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে কার্যকর কৌশল গ্রহণ করেন। এ প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাঁর সুদৃঢ় অবস্থান ও নিষ্ঠাবান সমর্থন ছিল জাতীয় কূটনীতির একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর, বাংলাদেশ একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত, দরিদ্র ও আন্তর্জাতিকভাবে একেবারে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই কঠিন বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক স্বীকৃতি অর্জন ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম থেকেই শহীদ...
রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও ফিলিস্তিন: এক অনন্য কূটনৈতিক বন্ধন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট: সমাধানে নজর দিন
প্রিন্সিপাল এম এইচ খান মঞ্জু

দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশ এলাকার আবাসিক, শিল্পকারখানার গ্রাহকরা গ্যাসের সংকটে ভুগছেন। দিনের বেলায় অধিকাংশ গ্রাহকের চুলায় গ্যাস থাকছে না। রান্নার কাজ সারতে রাতে বা গভীর রাতের জন্য মানুষকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। বিকল্প হিসেবে অনেক গ্রাহক এখন এলপিজি, ইলেকট্রিক চুলা, মাটির চুলার মতো বিকল্প পদ্ধতিতে চলে যাচ্ছেন। এতে একদিকে জ্বালানির খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি মাসে মাসে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পেয়েও গ্রাহকরা গ্যাসের বিল দিচ্ছেন। রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় গ্রাহকরা গ্যাস পান না। এটা নতুন নয়, দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলছে। ফলে যাদের সামর্থ্য আছে, গ্যাসের লাইন থাকা সত্ত্বেও জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় তারা সিলিন্ডার রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ রাখছেন বৈদ্যুতিক চুলা। কেউবা বৈদ্যুতিক চুলা এবং সিলিন্ডার দুটোই। কারণ বিদ্যুতেরও নিশ্চয়তা নেই।...
লুটপাটের এই সংস্কৃতি আমাদের নয়
অদিতি করিম

গাজা এখন জ্বলছে। সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে গাজায় চলছে নারকীয় গণহত্যা, তাণ্ডব। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েলি বর্বরতায়। গাজায় এই গণহত্যার প্রতিবাদ হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সারা বিশ্বেই শান্তিকামী মানুষ এই গণহত্যা বন্ধ, যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সারা বিশ্বে ৭ এপ্রিল পালিত হয়েছে নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি। গাজার গণহত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার বন্ধ ছিল। দেশজুড়ে হয়েছে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ। কিন্তু এই প্রতিবাদ মিছিল এবং বিক্ষোভে কিছু সুযোগসন্ধানী বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটে হামলা করেছে, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে। একটা ভালো কাজ কীভাবে কিছু খারাপ...
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
অদিতি করিম

রাজনীতিতে এখন প্রতিহিংসা, আক্রমণ, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অসহিষ্ণু প্রবণতা বেড়েছে ভীষণ। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ যেন লোপ পেয়েছে। রাজনীতির মাঠে এখন কুৎসিত নোংরামী এবং কাদাছোড়াছুড়ির জয়জয়কার। সহনশীলতা শব্দটি যেন আজ বিলুপ্ত। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা, এমনকি প্রয়াত ব্যক্তিদের অসম্মান করার একটা রীতি আতঙ্কজনকভাবে বেড়ে গেছে। কিন্তু এটি প্রকৃত রাজনীতি না। এটা রাজনীতির শিক্ষাও নয়। রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল। রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা সমাজের আদর্শ। তাঁরা সমাজকে পথ দেখান। একটি রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে তার পথনির্দেশ নির্মাণ করেন। কাজেই রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দেশের জনগণ শিখবে এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের রাজনীতি এখন যেন প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতা, ভিন্নমতকে খতম করাই যেন আজকের রাজনীতির...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর