ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর খিলাফতকালে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য থেকে সিরিয়া বিজয় করা হয়। বিখ্যাত সমরবিদ সাহাবি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.)-এর নেতৃত্বে ইয়ারমুকের সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যেসব সাহাবি অংশ নিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ আর ফেরত আসেননি। তাঁদের অনেকের বরকতময় সমাধি আজও সৌরভ ছড়ায় শামের আকাশে-বাতাসে। সিরিয়ায় কতজন সাহাবি আগমন করেছেন এবং কতজন সাহাবির কবর রয়েছে, সে বিষয়ে মুহাম্মাদ মামদুহ জুনায়েদ বলেন, মুহাদ্দিসরা একমত যে হোমসে প্রায় ৫০০ সাহাবি ইন্তেকাল করেছেন, যাঁদের মধ্যে ৭২ জন বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। বদরের যোদ্ধাদের মোট সংখ্যা ছিল ৩১৩। এর অর্থ হলো, বদরের যোদ্ধাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এখানে সমাহিত। কিছু মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের মতে, হোমসে মৃত্যুবরণকারী সাহাবিদের সংখ্যা ৮০০ পর্যন্ত হতে পারে। আর যাঁরা হোমস অতিক্রম করেছেন তাঁদের...
সিরিয়া অঞ্চলে সমাহিত যেসব সাহাবিরা
আহমাদ আরিফুল ইসলাম
যেকোনো মূল্যে বিরোধ নিরসন মুমিনদের একান্ত কর্তব্য
হাদি-উল-ইসলাম
সমাজে বসবাস করতে গেলে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মধ্যে কখনো কখনো পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি, মন-কষাকষি বা বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় তৃতীয় একটি পক্ষকে এগিয়ে এসে তাদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দিতে হবে। এটা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই-ভাই। সুতরাং তোমাদের ভাইদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায়, তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে। (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১০) বিবাদ মীমাংসার বিষয়টিতে ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত ও সদকার চেয়ে উত্তম মর্যাদাকর বিষয় সম্পর্কে খবর দেব না? সাহাবিরা বলেন, অবশ্যই আল্লাহর রাসুল! তিনি বলেন, বিবদমান বিষয়ে মীমাংসা করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯১৯, তিরমিজি, হাদিস : ২৬৪০) সামান্য ভুলভ্রান্তির কারণে মানুষের মধ্যে...
হানাহানি ও বাড়াবাড়ি ইসলাম সমর্থন করে না
মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি
ইসলাম ধর্ম কোনো ক্ষেত্রেই হানাহানি ও বাড়াবাড়িকে সমর্থন করে না। গ্রহণ করে না কোনো ধরনের চরমপন্থাকে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য কোনো জবরদস্তি করে না। জবরদস্তি করে না হানাহানি, বাড়াবাড়ি করে কোনো ধরনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতি। ইসলাম সহজসরল একটি সাম্যের ধর্ম। সব ধরনের বিভেদ ভুলে এক হয়ে চলার নাম ইসলাম। ইসলামের স্বার্থে সব ধরনের বাড়াবাড়ি বর্জন করে ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয় এ ধর্ম। রসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবাগণকে এভাবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, মুহাম্মদ আল্লাহর রসুল, তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। (সুরা আল ফাতহ, ২৯)। অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে ব্যক্ত করতে হচ্ছে, সাম্য, মৈত্রী ও সহনশীলতার এ ইসলাম ধর্মে আজ নানা মতের ছড়াছড়ি। সবাই আপন আপন মত ও পথ নিয়ে করছে হানাহানি ও বাড়াবাড়ি। সবাই যেন নিজ নিজ...
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী
মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন
প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি। মহান আল্লাহ তাঁকে অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়ার সব মুসলমান স্বপ্ন দেখে- যদি সবকিছুর বিনিময়ে হলেও নবী (সা.)-কে জীবনে এক নজর দেখতে পেতাম! প্রিয় রসুল (সা.) কেমন ছিলেন, তাঁর আকার-আকৃতি কেমন ছিল- এ বিষয়ে অনেক সাহাবি থেকে বর্ণনা রয়েছে। হজরত আলী (রা.) যখনই নবী (সা.)-এর আকৃতির বর্ণনা দিতেন, তখন বলতেন, নবী (সা.) অত্যধিক লম্বাও ছিলেন না এবং একেবারে বেঁটেও ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন লোকদের মধ্যে মধ্যম আকৃতির। তাঁর মাথার চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না। বরং মধ্যম ধরনের কোঁকড়ানো ছিল। তিনি অতি স্থূূলদেহী ছিলেন না এবং তাঁর চেহারা একেবারে গোল ছিল না। বরং লম্বাটে গোল ছিল। গায়ের রং ছিল লাল-সাদা সংমিশ্রিত। চক্ষুর বর্ণ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা লম্বা। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। গোটা শরীর ছিল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর