নবীর মসজিদ তথা মসজিদে নববীতে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। এই এক সপ্তাহে অর্ধ কোটিরও বেশি মানুষকে স্বাগত জানিয়েছে মসজিদে নববী। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সৌদিগেজেট এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ১৯৩ জন দর্শনার্থী মসজিদে নববী পরিবদর্শন এবং নামাজ আদায় করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদ আল-হারাম তথা গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববীর কর্তৃপক্ষ জানায়, দর্শনার্থীদের জন্য চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এছাড়াও তাদের পরিষেবা, তত্ত্বাবধান বিস্তৃত এলাকাজুড়ে রয়েছে বলেও জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৮০৫ জন দর্শনার্থী নবী এবং তার দুই সঙ্গীর কবর জেয়ারত করেছেন। এছাড়াও ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬৩ জন দর্শনার্থী সময় এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে আল-রাওদাহ আল-শরীফে নামাজ আদায় করেন। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ৩০...
মসজিদে নববীতে নামাজ আদায়ের রেকর্ড
অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘজীবী একজন নারীর হাদিসচর্চা
আলেমা মারিয়া মিম
ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ আল জুজদানিয়া (রহ.) ছিলেন দীর্ঘায়ু লাভকারী একজন মহীয়সী মুসলিম নারী এবং নারীশিক্ষার দীপ্ত ইতিহাস। যাকে মুসনিদাতুল ওয়াকত বা সেই যুগে সনদসহ হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নারী হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বর্তমান ইরানের ইস্পাহান শহরে জুজদান এলাকায় ৪২৫ হিজরিতে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রায় ৯৯ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। ইলমের জগতে ফাতেমা আল জুজদানিয়ার মতো নারী ব্যক্তিত্ব তাঁর পরবর্তী দুই শতাব্দী পর্যন্ত আত্মপ্রকাশ করেননি। তিনি ইমাম তাবারানি (রহ.)-এর শাগরেদ, বিখ্যাত হাদিসবিশারদ শায়খ আবু বকর মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ইস্পাহানি (রহ.) (যিনি ইবনে রিজাহ নামে সর্বাধিক পরিচিত) থেকে আল মুজামের সনদ বর্ণনার জন্য প্রসিদ্ধ এবং সর্বশেষ ব্যক্তি ছিলেন। ইবনে রিজাহ (রহ.) থেকে হাদিস শ্রবণকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। বিখ্যাত এই নারী মুহাদ্দিসার সম্পর্কে...
মিসর বিজয় করেছেন যে সাহাবি
মাইমুনা আক্তার
নবীজির বীর সাহাবির অন্যতম একজন হজরত আমর ইবনে আস (রা.)। ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন নবীজি ও মুসলমানের কট্টর বিরোধী। সেই তিনিই আল্লাহর রহমতে ইসলামের পরম বন্ধু হয়ে উঠলেন। হজরত আমর ইবনে আস (রা.) নিজের ইসলাম গ্রহণের পটভূমি নিজেই বর্ণনা করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে নাজাশী বাদশাহর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রথমে বিষয়টি তিনি গোপন রাখেন। পরবর্তী সময়ে হাবশা থেকে মদিনায় গিয়ে তিনি নবীজি (সা.)-এর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের কিছুকাল আগে [অষ্টম হিজরির সফর মাসে (আত-ত্বাবাক্বাতুল কুবরা : ৭/৩৪২ পৃ.)] আমি রাসুল (সা.)-এর হাতে ইসলামের বায়াতের জন্য হাবশা থেকে রওনা হলাম মদিনার উদ্দেশে। পথে দেখা হলো খালিদ ইবনে ওয়ালীদের সঙ্গে। তিনি মক্কা থেকে মদিনায় যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার দৃঢ়বিশ্বাস এই...
মসজিদে গমনের দোয়া
অনলাইন ডেস্ক
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজআল ফি কালবি নুরান, ওয়া ফি লিসানি নুরান, ওয়াজআল ফি সামঈ নুরান, ওয়াজআল ফি বাসারি নুরান, ওয়াজআল ফি খালফি নুরান, ওয়া মিন আমামি নুরান, ওয়াজআল মিন ফাওকি নুরান, ওয়ামিন তাহতি নুরান, আল্লাহুম্মা আতিনি নুরান। অর্থ : হে আল্লাহ, আমার হৃদয় মনে আলো (নুর) সৃষ্টি করে দাও, আমার দৃষ্টিশক্তিতে আলো সৃষ্টি করে দাও, আমার পিছন দিকে আলো সৃষ্টি করে দাও, আমার সামনের দিকে আলো সৃষ্টি করে দাও, আমার ওপর দিক থেকে আলো সৃষ্টি করে দাও এবং আমার নিচের দিক থেকেও আলো সৃষ্টি করে দাও। হে আল্লাহ! আমাকে নুর বা আলো দান করো। সূত্র : ইবনে আব্বাস (রা).-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) তাঁর খালা মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে রাত যাপন করলেন। তিনি নবী (সা.)-এর তাহাজ্জুদ নামাজের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, যখন মুয়াজ্জিন ফজরের আজান দিতেন, তখন তিনি নামাজের জন্য বের হতেন এবং এই দোয়া পড়তেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৮৪)...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর