ইসলামে মানবতার সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে যাকাত বিতরণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিধান রয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানে দান-খয়রাত ও মানবসেবার গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সারাজীবন দানশীল ছিলেন, বিশেষত রমজান মাসে তিনি দানের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতেন। হাদিস অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি ভালো কাজের সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে, যাকাতের টাকা কি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের দেওয়া যাবে? মুহাম্মাদ এজহারুল হক (প্রিন্সিপাল,গাওছিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা, ঢাকা) তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম, তাই সাধারণ দান-সদকা বা নফল সাহায্য-সহযোগিতা অমুসলিমদের দেওয়া যাবে। যদি কোনো অমুসলিম বিপদে পড়ে, ইসলামের শিক্ষানুযায়ী তাকে সাহায্য করা অবশ্যই একটি মহৎ কাজ। তবে যাকাত একটি বাধ্যতামূলক...
অমুসলিমদের যাকাত দেওয়া যাবে? ইসলাম কী বলে
অনলাইন ডেস্ক

রোজা অবস্থায় বমি হলে যা করতে বলছে ইসলাম
অনলাইন ডেস্ক

চলছে সিয়াম-সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। যদি কেউ রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা আদায় করতে হবে। তবে রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি হলেও রোজা ভাঙবে না, কাজাও আদায় করতে হবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ. অনিচ্ছাকৃত কারো বমি হয়ে গেলে তার কাজা আদায় করতে হবে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাযা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোযা ভেঙে যাবে)। (সুনানে তিরমিজি: ৭২০) আমাদের দেশে অনেকের ভুল ধারণা আছে যে রোজা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তার কাজা করতে হবে। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হওয়ার পর এ ধারণার কারণে রোজা ভেঙে গেছে মনে করে যদি ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা ওয়াজিব...
রমজান ঐতিহ্য ইস্তাম্বুলে রোজা ও রমজান
আলেমা হাবিবা আক্তার

রমজান হলো রোজা, ইবাদত এবং কোরআন চর্চার মাস। রমজান এমন একটি পবিত্র মাস যখন মুসলমানরা খাদ্য ও পানীয় এবং শরিয়ত নির্ধারিত বিষয় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করে এবং আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয়। রমজানে পাল্টে যায় মুসলিম জীবনের চিরায়ত ধারা। ঐতিহাসিক ইস্তাম্বুল নগরেও এই আধ্যাত্মিকতা, আল্লাহপ্রেমে ও পরিবর্তিত জীবনধারা চোখে পড়ে। রমজান মাসে তুর্কি মুসলিমরা সাধারণত উসমানীয় সাম্রাজ্যের সময় গড়ে ওঠা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলো মেনে চলে। তাদের কাজে পুনরুজ্জীবিত হয় হারিয়ে যাওয়া মুসলিম ঐতিহ্য। যারা ইস্তাম্বুলে রমজান উপভোগ করার সুযোগ পায় তারা প্রায়শই গণ ইফতারের বড় বড় আয়োজন, রমজানের রাতে নাগরিক জীবনের কোলাহল এবং শহরের আলোকিত মসজিদগুলো তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর বাইরে ইস্তাম্বুলের একটি লুকানো ঐতিহ্য রয়েছে। যা কেবল তারাই দেখতে পায় যারা গভীরভাবে...
রমজানে ভোজন নিয়ে ইসলাম কী বলে?
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ

ইবাদত-আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। এমাস অন্তত চারটি বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র মর্যাদাপূর্ণ- (ক) এমাসে কোরআন নাজিল হয় (খ) এমাসেই রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর (গ) এমাসে শয়তান বন্দি থাকে (ঘ) এ মাস মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমায় সমুজ্জ্বল। সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে আছে তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। যার ইংরেজি Who is present during that month should spend it in fasting। দুঃখজনক সত্য, কিছু মানুষ রমজানে বেশি কেনাকাটা, ভোজন রসিকতায় মেতে ওঠেন, ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। মনে রাখা ভালো, রোজা ভোজনে সংযমের মাধ্যমে খাদ্য-পুষ্টি ও সুস্থতার শিক্ষা দেয়। সুস্থতা ও অবসর মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। প্রিয়নবী (সা.) বলেন, স্বাস্থ্য ও অবসর এই দুই নিয়ামতের বিষয়ে অধিকাংশ মানুষ ধোঁকার মধ্যে রয়েছে। (বুখারি)মানুষের মধ্যে কে উত্তম? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়নবী...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত