বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে বিদায় নিল ২০২৪। নতুন বছর কেমন যাবে? এ বছর নির্বাচন হবে নাকি রাজনীতিতে নতুন করে সংকট এবং সহিংসতা দানা বেঁধে উঠবে? বাংলাদেশ আবার রক্তাক্ত হবে কি না ইত্যাদি নানা প্রশ্ন নিয়েই নতুন বছরকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ। বছরের শেষ দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি পালন করে। এ কর্মসূচির লক্ষ্য জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র। হঠাৎ করেই বছরের শেষদিকে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা করেন নাউ অর নেভার। প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করল? এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হলো তোলপাড়। সরকারের...
বিএনপিকে মাইনাসের নীলনকশা চলছে
অদিতি করিম
বিনিয়োগ ও জীবনমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে
ড. মোস্তাফিজুর রহমান
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব অর্থনীতির প্রতিটি খাতকেই প্রভাবিত করবে। আমাদের উৎপাদন খরচ, পরিচালন খরচ বিবেচনা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আগের ভ্রান্ত নীতির কাফফারা এখন দিতে হচ্ছে। গ্যাস উত্তোলনের জন্য যে ধরনের বিনিয়োগ দরকার ছিল, যে ধরনের এক্সপ্লোরেশন দরকার ছিল; সেগুলো আমরা আগে করিনি। এর ফলে, এখন একটা বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বেশি মূল্যে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। আগের পুঞ্জীভূত যে সমস্যা, সেই সমস্যাই এখন আমাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। অবশ্যই আমাদের বিনিয়োগকারী বলি, আমাদের ভোক্তা বলি, উৎপাদন বলি; সব জায়গায়ই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার অন্যদিক থেকে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতাও অনেক সীমিত। সুতরাং এটা অবশ্যই অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু আবার এটার বাধ্যবাধকতাও আমরা বুঝি। এই...
শিল্প না বাঁচলে কর্মসংস্থান হবে না
শওকত আজিজ রাসেল
শিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ ছাড়াই হঠাৎ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন শিল্প মালিকরা। এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিল্পের জন্য আত্মঘাতী। শিল্প না বাঁচলে কর্মসংস্থান হবে না। শ্রমিকরা বেকার হবেন। শ্রম অসন্তোষ হবে। এতে দেশের অর্থনীতি টেকসই হওয়ার বদলে একটা চাঁদাবাজির মডেলে রূপান্তর হবে। কেননা উদ্যোক্তারা যখন গ্যাসের দাম কমার আশা করছিলেন, তখন গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে শিল্পের ইউটিলিটি ব্যয় বাড়বে। ফলে বিদ্যমান ভঙ্গুর অর্থনীতে কোনো মিল-কারখানা টেকসই হবে না। তাই সরকারকে অথনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবসা সহায়ক উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া শিল্পের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির এমন উদ্যোগে পতিত সরকার আর অন্তর্বর্তী সরকারের চরিত্র একই ধরনের হয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের শিল্প সবচেয়ে বড় ভোক্তা। ফলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ...
উৎপাদন খাত থাকুক সরকার তা চাচ্ছে না
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী
বাংলাদেশে গ্যাস পর্যাপ্ত ও দাম সস্তা হওয়ার কারণেই ব্যাপক হারে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছিল। কারণ বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট অনেক হাই, অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সব কিছুই ডেভেলপমেন্ট করতে হয়। ব্যাংক সুদের হারও অনেক হাই। যেহেতু গ্যাসের দাম অনেক সস্তা ছিল এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় কম টাকায় শ্রমিক পাওয়া যেতএসব কারণে দেশে শিল্প-কারখানা হয়েছিল। বর্তমানে গ্যাসের দাম এমনিতেই অনেক বাড়তি, তার পরও যখন আরো বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তার মানে এই বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা চাচ্ছে না ম্যানুফ্যাকচারিং খাত থাকুক। সরকারের এসব সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে, তারা সার্ভিস সেক্টরে চলে যাবে। এই দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আর দরকার নেই। স্পষ্টভাবেই বুঝা যাচ্ছে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বাংলাদেশে থাকুক এই সরকার সেটি চাচ্ছে না। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ালে কোনো অবস্থায়ই...